আজ নৈঃশব্দ্য দিবস, চলে যেতে পারেন কোনো নির্জন স্থানে

কোলাহলে, গোলমালে একটু বিরতি নিয়ে নীরবতার আওয়াজ উপভোগের দিন
ছবি: সংগৃহীত

চারদিকে এত কথা, এত শব্দ, এত কোলাহল! কী ঘরে, কী বাইরে—সবখানে হইচই-হট্টগোল। বাসে, ট্রেনে, স্কুলে, রেস্তোরাঁয়, অফিসে, আড্ডায়, খেলার মাঠে, বাজার-হাটে—কোথাও নেই এতটুকু নীরবতা। অথচ শরীর ও মন উভয়ের জন্য নির্জনতা-নৈঃশব্দ্য যে কত জরুরি, তা তো আমরা সবাই জানি। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘নির্জনতা আত্মার উন্নতির একটি প্রধান উপায়।’ ঠিকই তো, আত্মার উন্নতি, আত্মশুদ্ধি, সাধনা, প্রার্থনা কিংবা ধ্যান বা গবেষণা—সব ক্ষেত্রেই অখণ্ড নীরবতা অনিবার্য। কিন্তু সেই পরম নৈঃশব্দ্য পাচ্ছি কোথায়। বরং তথাকথিত এই আধুনিক সভ্যতা ক্রমেই বাড়িয়ে চলছে শব্দদূষণ। বিশেষত শহরে শব্দদূষণের যে মাত্রা, তাতে শহুরে সব নাগরিক যে এখনো বধির হয়ে যায়নি, এ-ই তো অনেক! তবে নাগরিকদের শ্রবণক্ষমতা যে দিনের পর দিন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তা অস্বীকারের উপায় নেই।

শব্দহীন কোনো নির্জন স্থানে চলে যেতে পারেন আজ
ছবি: সংগৃহীত

আচ্ছা অন্তত একটা দিন এমন হতে পারে না, যে দিনটা হবে একেবারেই নিঃশব্দ! বছরজুড়ে তো কম কথা হয় না। একটা দিন হোক নির্বাক, নিশ্চুপ। চারপাশের বাকি সব শব্দদূষণ হয়তো থামাতে পারবেন না, কিন্তু কথার দূষণ তো থামানো যেতেই পারে।

আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি, নৈঃশব্দ্য দিবস বা কোয়ায়েট ডে। কথায়, চিৎকারে, কোলাহলে, গোলমালে একটু বিরতি নিয়ে নীরবতার আওয়াজ উপভোগের দিন। শব্দহীন কোনো নির্জন স্থানে চলে যেতে পারেন আজ। ঘরে থাকলেও সচেতনভাবে কথাহীন থাকা যেতে পারে সারা দিনমান। কিছু সময় ধ্যানে বসে খুঁজতে পারেন নিজের ভেতরের মানুষটাকে।

সূত্র: ন্যাশনাল টুডে