ক্যারিয়ারের জন্য তৈরি হতে সাহায্য করছে বিইউপির এই ক্লাব

ক্লাবের নতুন সদস্য সংগ্রহের আয়োজনটিকে বলা হয় ‘ইনিসিয়েশন’
ছবি: সংগৃহীত

‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার বাইরে তুমি আর কী করেছ?’ চাকরির ইন্টারভিউতে এমন প্রশ্ন করা হলে মুশকিলেই পড়ে যাবেন সাইয়ারা ইবনাত। তাঁর মনে হতেই পারে, ‘কত কীই–তো করেছি। কোনটা রেখে কোনটা বলি!’

অবশ্য ইন্টারভিউতে ঘাবড়ে যাওয়ার মতো লোক সাইয়ারা নন। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড লিডারশিপ ক্লাবের তিনি সভাপতি। ভবিষ্যতে করপোরেট দুনিয়ায় যেন মাথা উঁচু করে পা রাখতে পারেন, আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিতে না ভোগেন, সে প্রস্তুতিই নিচ্ছেন তিনি ও তাঁর ক্লাবের সদস্যরা। কীভাবে? চলুন জানা যাক।

আরও পড়ুন

২০১৭ সালের কথা। বিইউপির শিক্ষার্থী সৌমেন গুহের মনে হলো, করপোরেট জগতের প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে শুধু ক্লাসরুমের পাঠই যথেষ্ট নয়। এর জন্য নেতৃত্বের দক্ষতাসহ আরও নানা অভিজ্ঞতা থাকা চাই। কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। তাঁরাও পাশে থাকার আশ্বাস দেন। লম্বা সময় ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পর ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করে বিইউপি হিউম্যান রিসোর্স এবং লিডারশিপ ক্লাব।

শুরু থেকেই তাদের লক্ষ্য ছিল নিজেদের দক্ষতা উন্নয়ন। সংগঠনটির ফেসবুক পেজে ঢুঁ মারলেই বুঝবেন, ক্যাম্পাসের ভেতরে-বাইরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাঁরা লক্ষ্য পূরণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কখনো ঘটা করে চলছে নতুন সদস্য নিবন্ধন, কখনোবা সিনিয়র সদস্যরা পরিচালনা করছেন কর্মশালা। কীভাবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ইন্টারভিউ মোকাবিলা করতে হয়, কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে হয়, নিয়মিতই এসব বিষয় নিয়ে হয় আলোচনা। পাশাপাশি ক্যাম্পাসের ভেতর কিংবা জাতীয় পর্যায়ে নানা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ক্লাব। এসবের মধ্য দিয়ে সৃজনশীলতা, বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধান, এমন নানা দক্ষতার চর্চা হয়।

ক্লাবের নতুন সদস্য সংগ্রহের আয়োজনটিকে বলা হয় ‘ইনিসিয়েশন’। জানা গেল, এর চতুর্থ সংস্করণে প্রায় চার শর বেশি শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছেন। আরও নানা আয়োজনের মধ্যে রয়েছে মানবসম্পদ–বিষয়ক বিজনেস কেস কম্পিটিশন ‘অ্যাডভেন্ট এইচআর’, নতুন উদ্যোগের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার মঞ্চ ‘হাউস অব ভেঞ্চারস’, অন্তবিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস কেস কম্পিটিশন ‘মাইন্ড প্রোপেলার’ ইত্যাদি।

সংগঠনটি তার সদস্যদের বৈচিত্র্যকে সাদরে গ্রহণ করে বলেই এটি আর দশটা সংগঠন থেকে আলাদা বলে মনে করেন ক্লাবের সভাপতি সাইয়ারা ইবনাত। তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় সদস্যদের সৃজনশীল হতে অনুপ্রাণিত করি। পরিবর্তন ও নতুনত্বকে সাদরে গ্রহণ করি। ফলে প্রত্যেক সদস্য নিজেকে মেলে ধরতে পারে। ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্রের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমরা প্রস্তুত হতে চাই। সেভাবেই একে অপরকে সাহায্য করছি।’