‘সিঙ্গেল ফাদার’ হিসেবে কীভাবে এক যুগ আগলে রেখেছ, ভাবলে অবাক হই

আজ জুন মাসের তৃতীয় রোববার, বাবা দিবস। এ উপলক্ষে আমার পাঠকের কাছে আহ্বান করেছিলাম ‘বাবার কাছে খোলা চিঠি’। এই চিঠিটি লিখেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী প্রজ্ঞা লাবণ্য খান

বাবার সঙ্গে লেখক

দীর্ঘ সাত বছর ব্রেন টিউমারের সঙ্গে লড়াই করে ২০১১ সালে আমাদের ছেড়ে চলে যান মা। এরপরই নতুন করে তোমাকে আবিষ্কার করি বাবা। মা যখন অসুস্থ, তখনো রান্না থেকে শুরু করে আমাকে স্কুলে দিয়ে আসা—ঘরের–বাইরের সব কাজ তুমি সামলেছ। যে–ই তুমি ছিলে ভীষণ রাগী, যে–ই তোমার শাসন ছিল কড়া, সেই তুমি মা চলে যাওয়ার পর হঠাৎই কেমন চুপচাপ, ধৈর্যশীল হয়ে গেলে!

আমাদের দেশের সামাজিক বাস্তবতায় বাবাদের জন্য একই সঙ্গে মা ও বাবা, দুজনের দায়িত্ব পালন করা সহজ না। সব উপেক্ষা করেই ‘সিঙ্গেল ফাদার’ হিসেবে কীভাবে এক যুগ আমাদের আগলে রেখেছ, ভাবলে অবাক হই। যখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাই, তোমাকে ঢাকায় রেখে এখানে চলে আসাটা ছিল খুব কঠিন সিদ্ধান্ত। যতটা আমার জন্য, তার চেয়ে বেশি তোমার জন্য। কিন্তু আমার স্বপ্ন পূরণ করতে চেয়েছ বলেই হয়তো বাধা দাওনি।

লোকে বলে, ‘একজন অসাধারণ মেয়ের পেছনে একজন অসাধারণ বাবা থাকে।’ আমি অসাধারণ নই। কিন্তু আমি জানি, আমার বাবা অসাধারণ। বাবা, তুমি হাল ছেড়ে দিলে হয়তো আমাদের দুই ভাই–বোনের এতটা পথ আসা হতো না। তুমি আমাদের স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে শিখিয়েছ বলেই আমরা আমাদের মতো হতে পেরেছি।

আরও পড়ুন