স্যার বললেন, ‘কী দারুণ গাইলে তোমরা!’

স্কুলজীবনে জাতীয় সংগীত আমরা সবাই গাই। কিন্তু বড় হওয়ার পর কখনো কখনো, কোনো কোনো পরিস্থিতিতে এই চেনা গানই গায়ে কাঁটা দেয়। সে রকম আবেগময় কিছু মুহূর্তের গল্পই আমরা শুনেছিলাম কয়েকজন তরুণের কাছে। এখানে থাকছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মিহির সাহার কথা।

মিহির সাহা
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর একটি অনুষ্ঠানে আমার জাতীয় সংগীত গাওয়ার সুযোগ হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের সাবেক অধ্যাপক, শিক্ষাবিদ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট অস্টিনের বার্টলেট কক রিজেন্ট প্রফেসর ইমেরিটাস ড. স্টিভেন এ মুর। এ ছাড়া এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশসহ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরব, ভারত ও নেপাল থেকে প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছিলেন।

আরও পড়ুন

দেশি-বিদেশি ৬১টি ইনস্টিটিউট থেকেও প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পরিবেশন করেছিলাম জাতীয় সংগীত। আমার সঙ্গে ছিলেন ক্যাম্পাসের ব্যান্ড ভৈরবীর কয়েকজন সদস্য। জাতীয় সংগীত শেষ হতেই ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার বললেন, ‘কী দারুণ গাইলে তোমরা! এত নির্ভুল জাতীয় সংগীত অনেক দিন শুনিনি।’ স্যারের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিরাও আমাদের জাতীয় সংগীতের খুব প্রশংসা করেছিলেন সেদিন। দিনটি আমার কাছে খুব বিশেষ। কারণ এই দিনেই বুঝেছি, আমরা যাঁরা ভাষাটা বুঝি, শুধু তাঁদের কাছেই নয়, অন্য ভাষাভাষীদের কানেও ‘আমার সোনার বাংলা’ ঠিকই মধুর লাগে।