আপনি কি একাই এক শ?

আমাদের আশপাশে এমন কেউ কেউ আছেন, যাঁরা নিজেদের কাজ নিজেরা করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন
ছবি: সংগৃহীত

আমাদের আশপাশে এমন কেউ কেউ আছেন, যাঁরা নিজেদের কাজ নিজেরা করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। চেষ্টা করেন নিজের কাজ নিজে শেষ করতে, দলবদ্ধ হয়ে কাজ করতে তাঁদের বড্ড অনীহা। এ রকম মানসিকতাকে বলে ‘লোন উলফ’ বা ‘একাকী নেকড়ে’। এই স্বভাবের মানুষেরা নিজেরা একা কাজ করতে ভালোবাসেন; সেটা শুধু পড়াশোনা কিংবা কর্মক্ষেত্রে নয়, চলার পথেও তাঁরা একাকী পথ চলতে ভালোবাসেন। তবে এ ধরনের মানুষকে অনেকেই ভুল বোঝেন। অনেকে ধরেই নেন, তাঁরা সবার সঙ্গে কাজ করতে পারেন না। ফলে নিজেরা না চাইলেও চাপে পড়ে সবার সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করেন কেউ কেউ। কীভাবে বুঝবেন যে আপনিও একজন লোন উলফ বা একাই এক শ!

একাকিত্ব পছন্দ আপনার

আপনি একাকী থাকতে কিংবা কাজ করতে খুব ভালোবাসেন। এমনকি একাকী কাজ করলে আপনার কাজের গতিও বহুলাংশে বেড়ে যায়। সেটা হতে পারে পড়াশোনা কিংবা কোথাও ঘুরতে যাওয়া। যে কাজই করতে যান না কেন, একাকী কাজ করতে আপনার খুবই ভালো লাগে।

আত্মনির্ভরশীলতা

আপনার নিজের ওপর অগাধ বিশ্বাস আছে। কোনো কাজ ধরলে তা শেষ করতে আপনার অন্য কারও সাহায্যের প্রয়োজন হয় না; বরং কাজ ধরলে নিজে শেষ করতে পারেন বলে আপনার যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস রয়েছে।

স্বাধীন চিন্তাভাবনা করতে পছন্দ করেন

আপনি বেশির ভাগ সময়ই স্বাধীনভাবে চিন্তাভাবনা করতে পছন্দ করেন। সামাজিক নিয়মকানুন কিংবা চাপের ব্যাপারে চিন্তা না করে আপনার ভাবনায় থাকে নিজস্বতা। আপনি নিজের স্বাধীন চিন্তাভাবনাকে অন্য কারও মতামতের দ্বারা সহজে প্রভাবিত হতে দেন না।

আপনার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা দারুণ

আপনি প্রায়ই আশপাশের পরিবেশ এবং মানুষকে নিয়ে গভীর পর্যবেক্ষণ করেন। চারপাশে কী ঘটছে না ঘটছে, তা খুবই সূক্ষ্মভাবে আপনার চোখে পড়ে। এই পর্যবেক্ষণক্ষমতা আপনাকে সহজে বিভিন্ন সামাজিক পরিস্থিতিতে মানিয়ে চলতে সাহায্য করে।

আপনি জানেন আপনি কী চান

একাকী কাজ করার সুবিধা হলো, আপনি নিজের লক্ষ্য সম্পর্কে স্পষ্ট। আপনি জানেন আপনার মন কী চায় এবং কীভাবে কাজটি করলে আপনার জন্য সবচেয়ে বেশি ভালো। কাজ, পড়াশোনা কিংবা বন্ধুত্ব, আপনার লক্ষ্য সব সময়ই থাকে অবিচল। যে কারণে আপনি সহজে কোনো কাজ থেকে পিছিয়ে আসেন না।

অনেকেই লোন উলফ মানসিকতা কিংবা একাকী থাকার স্বভাবকে খারাপ চোখে দেখেন। তাঁদের ‘ইন্ট্রোভার্ট’ বলেও ভুল করেন। কিন্তু ব্যাপারটা তেমন নয়। একাকী থাকা কিংবা কাজ করার মানসিকতা থাকলেই যে মানুষটা ইন্ট্রোভার্ট, তা না–ও হতে পারে। হতে পারে কাজের সময়টাতেই তাঁর একাকী হতে ভালো লাগে। তবে একা কাজ করতে গিয়ে যাতে একা না হয়ে পড়েন, সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখা বিশেষ প্রয়োজন।

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস