যাঁরা বিদেশে পড়তে চান, তাঁদের সহায়তা করেন দীপ্র
২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেওয়া হচ্ছে ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড। পুরস্কারটি প্রবর্তন করেছে প্রিন্সেস ডায়ানার নামে প্রতিষ্ঠিত একটা দাতব্য সংস্থা। ন্যূনতম এক বছর কোনো মানবিক কাজ করেছেন এবং বয়স ৯-২৫ বছরের মধ্যে, এমন উদ্যমী তরুণদেরই কেবল দেওয়া হয় এই পুরস্কার। গত ১ জুলাই ভার্চ্যুয়াল এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঘোষণা করা হলো এই বছরের প্রাপকদের নাম। বিশ্বের নানা দেশের উদ্যমী তরুণদের পাশাপাশি তালিকায় বাংলাদেশি আট তরুণ ‘চেঞ্জমেকার’-এর নামও আছে। পড়ুন এই আট তরুণের একজনের গল্প।
বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য সঠিক দিকনির্দেশনার অভাব খুব পরিচিত একটা সমস্যা। বিষয়টি নিয়ে কাজ করার জন্যই ২০২২ সালে ‘ডিপি টিউটোরিয়ালস’ খোলেন দীপ্র প্রত্যয়। যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশলের শেষ বর্ষের এই ছাত্র ১ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রীকে এই কার্যক্রমের আওতায় এনেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পৌঁছেছেন ১০ লাখের বেশি মানুষের কাছে। স্যাট, আইইএলটিএস কোর্সসহ যাঁরা বিদেশে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক, তাঁদের সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি ৩০টির বেশি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন দীপ্র। এখন ১৫ জন সদস্য নিয়ে কাজ করছেন তিনি।
তাঁদের সেবাগুলো মূলত অনলাইন ক্লাসভিত্তিক। তবে দীপ্রর প্রত্যয়, দ্রুত সময়ের মধ্যে নিজস্ব প্ল্যাটফর্মেই সেবাগুলো দেবেন। ভবিষ্যতে তাঁর প্রতিষ্ঠানটি এমন একটা শিক্ষাপ্রযুক্তিভিত্তিক স্টার্টআপ হিসেবে আবির্ভূত হতে চায়, যেটি শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তাও দেবে। ‘ডিপি টিউটোরিয়ালস’ থেকে পরামর্শ ও সেবা নিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মতো দেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েছে।
ব্যক্তিগত অর্জনও কম না। কমনওয়েলথ এসে কম্পিটিশনে পুরস্কার জিতেছেন দীপ্র। ৫০টি দেশি-বিদেশি পাবলিক স্পিকিং ও ছায়া জাতিসংঘে অংশ নিয়েছেন বিচারক হিসেবে। ২০১৯ সালে হার্ভার্ড মডেল ইউনাইটেড নেশনসে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশের একটা দলকে। কাজ করছেন ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের বাংলাদেশি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম কালচারাল চেয়ার হিসেবে। দীপ্র বললেন, ‘নিম্ন আয়ের দক্ষিণ এশীয় শিক্ষার্থীদের জন্য বিদেশে পড়াশোনা আরও সহজ করে তোলা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টার্নশিপ সহজলভ্য করাই আমার স্বপ্ন। আমি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এডটেক স্টার্টআপ তৈরি করতে চাই।’