মন খারাপ হলেই আইসক্রিম নয়!
আইসক্রিম অনেকেরই ‘গিল্টি প্লেজার’। মন খারাপ হলেই আইসক্রিমের কথা মনে পড়ে। তখন আমরা অনেকেই নিজের অজান্তেই হাত বাড়াই আইসক্রিমের দিকে। আইসক্রিম সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়ায়। এটা নিউরোট্রান্সমিটার বা মানুষের ভালো অনুভূতির হরমোন (একধরনের ফিল গুড হরমোন) হিসেবে কাজ করে। তবে এখন থেকে নিজেকে সামলে নিন।
আইসক্রিমে দুধ যেভাবে ব্যবহার করা হয়, তাতে সেখানে ১০ থেকে ২০ ভাগই ফ্যাট। ১০০ গ্রাম আইসক্রিমে সাধারণত ১৫ থেকে ২০ গ্রাম ফ্যাট থাকে। আর এর পুরোটাই মিল্ক ফ্যাট, মানে হলো কোলেস্টেরল আর স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যেটা শরীরের জন্য মোটেই ভালো নয়। হার্ট ফেইলিওর আর স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ। চিনিতে ভরপুর আইসক্রিম, দাঁতের ক্ষয় আর ক্যাভিটির কারণ। সম্ভব হলে আইসক্রিম কৃত্রিম গন্ধ, রং বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যকর উপাদানে বাড়িতে বানিয়ে খান। তবু মাসে দুটির বেশি নয়।
আইসক্রিম মানে হাই ক্যালরি, লো ফাইবার। এ ছাড়া ভিটামিন আর মিনারেল নেই বললেই চলে। ফলে অল্প বয়সেই যদি হার্টের অসুখ, স্ট্রোক ও ডায়াবেটিসের সমস্যা বাধাতে না চান, তাহলে মাসে একটার বেশি আইসক্রিম খাবেন না। এ ছাড়া আইসক্রিমে থাকে কৃত্রিম রং ও ফ্লেভার, যা হতে পারে বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের কারণ।
যাঁদের ইতিমধ্যেই ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, হার্টের অসুখ রয়েছে, তাঁরা আইসক্রিম থেকে দূরে থাকুন। কেননা, এ রকম পরিস্থিতিতে কয়েকটা আইসক্রিমই নতুন করে জটিলতা সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট!
ইনস্ট্যান্ট নুডলস
ক্রমেই আমরা ব্যস্ততম জীবনের দিকে ধাবিত হচ্ছি। তাই ‘ইনস্ট্যান্ট’ যেকোনো কিছুই পাচ্ছে জনপ্রিয়তা। ব্যস্ততম দিনে ইনস্ট্যান্ট নুডলসের চেয়ে ‘পারফেক্ট’ লাঞ্চ বা ডিনার আর হয় না। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে এটা খুবই জনপ্রিয়। এখানে যেসব প্রিজারভেটিভ, সিজনিংস, কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয়, সোডিয়াম আর অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটে ভরপুর এসব নুডলস মারাত্মক ক্ষতিকর, আর তেমন পুষ্টিগুণ নেই বললেই চলে। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন যাঁরা খান, তাঁদের মেটাবলিক সিনড্রোম, ব্লাড সুগার, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল আর অ্যাবডোমিনাল ফ্যাট বেড়ে যাওয়ার উচ্চঝুঁকি থাকে। ওগুলো আবার ডায়াবেটিস ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
সূত্র: মেডিকেল নিউজ