নীতা আম্বানি সকালে যে কাপে চা খান, তার দাম জানেন?
একেবারেই মধ্যবিত্ত এক গুজরাটি পরিবারে জন্মেছিলেন নীতা দালাল। লেখাপড়ায় বিশেষ মন ছিল না, তবে নাচতে ভালোবাসতেন। বড় বোন ছিলেন স্কুলশিক্ষিকা। নীতারও স্বপ্ন ছিল সেই পেশাতেই যাওয়ার। তাঁর সঙ্গে যখন মুকেশ আম্বানির দেখা, তখন তিনি একটি স্কুলে শিশুদের ভরতনাট্যম শেখান। প্রেমের বিয়ে, আর এরপরই বদলে যায় নীতার জীবন, নামের শেষে যুক্ত হয় আম্বানি পদবি।
নীতা আম্বানির সবচেয়ে আলোচিত শাড়ি
২০১৫ সালে ভারতের সাবেক সংসদ সদস্য পরিমল নাথওয়ানির ছেলের বিয়েতে শাড়িটি পরেছিলেন তিনি। সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। নীতা যে শাড়িটি পরে উপস্থিত হয়েছিলেন, সেটি তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরমের ৩৫ জন দক্ষ নারী কারিগর মিলে তৈরি করেন। চেন্নাই সিল্কের পরিচালকের নকশা ও তত্ত্বাবধানে শাড়িটি তৈরি হয়েছিল। লাইট ডিপ পিঙ্করঙা শাড়িটিতে হাতে করা এমব্রয়ডারিতে ফুটে উঠেছিল নকশা। বসানো হয়েছে পান্না, রুবি, পোখরাজ, ক্যাট আই স্টোন, মুক্তাসহ দামি সব পাথর। শাড়িটির ওজন আট কেজি। নাম দেওয়া হয়েছিল ‘পাট্টু শাড়ি’। শাড়িটির সঙ্গে নীতা যে ব্লাউজ পরেছিলেন, সেটিও অনন্য, নানা নকশা আঁকা, তবে সবচেয়ে নজর কাড়ে পেছনে কৃষ্ণের ছবি। শাড়িটির দাম ৫০ লাখ টাকা (মাত্র)!
লিপস্টিক ও জুতার সংগ্রহ
নীতার সংগ্রহে থাকা লিপস্টিকগুলো প্রায় সবই পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে বানানো হয়েছে। ‘মার্কেটিং মাইন্ড’–এর এক প্রতিবেদনে জানা যায়, নীতার লিপস্টিকের বোতলগুলো সব সোনা আর রুপার তৈরি। আম্বানি পরিবারের কেউ অলংকার হিসেবে সোনা ব্যবহার করেন না। তবে তাঁদের বাথরুমও সোনায় মোড়ানো। ব্যবহার করেন হীরা, মুক্তা, প্লাটিনাম ও বিভিন্ন দামি আর বিরল পাথরের গয়না। নীতা আম্বানির কোনো জুতার মূল্য এক লাখের কম নয়।
নীতা যে কাপে চা খান, তার দাম কত জানেন?
সকালে নাশতার টেবিলে যে কাপে চুমুক দিয়ে চা খান নীতা, তার দাম শুনলেও অবাক হবেন। সকালে চা খাওয়ার জন্য তিনি যে ক্রোকারি সেট ব্যবহার করেন, তার দাম দেড় কোটি রুপি বা প্রায় দুই কোটি টাকা। আর একটি কাপের দাম পড়ে ৩ লাখ রুপি বা প্রায় ৪ লাখ টাকা। ডিএনএর সূত্রমতে, সেটি তিনি কিনেছিলেন জাপানের সবচেয়ে পুরোনো ও লাক্সারি ক্রোকারি ব্র্যান্ডগুলোর একটি ‘নোরিতাকে’ থেকে। যদিও ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’কে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, সাধারণ জীবনযাপন তাঁকে বরাবরই আকৃষ্ট করে!
নীতার কাছে একটি উপদেশ
‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র ওই সাক্ষাৎকারে নীতার কাছে একটি উপদেশ চাওয়া হয়। নীতা বলেন, ‘আমার মা বলতেন, যখন যে কাজটি করবে, নিজের শতভাগ দিয়ে করবে। কাজটি যত ছোট বা বড়-ই হোক না কেন। আমি সেই উপদেশ মেনে চলার চেষ্টা করেছি, আর আমার সন্তানদেরও এই কথাই বলেছি।’