নিজের খেলোয়াড়ি জীবনের ওপর থিসিস লিখে ডিগ্রি পেয়েছেন যে ফুটবলার

রবার্ট লেভানডফস্কিছবি: সংগৃহীত

১. ১৯৮৮ সালের ২১ আগস্ট পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে জন্মগ্রহণ করেন রবার্ট লেভানডফস্কি। তিনি যে ফুটবলার হবেন, তা যেন বিধিবদ্ধই ছিল। তাঁর বাবা ক্রজিসটফ লেভানডফস্কি ছিলেন জুডো চ্যাম্পিয়ন ও পেশাদার ফুটবলার। মা ইওনা লেভানডফস্কি ছিলেন পেশাদার ভলিবল খেলোয়াড়। আর বোন মিলেনা পোল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ জাতীয় দলের হয়ে ভলিবল খেলেন।

শৈশবে মা–বাবা ও বোনের সঙ্গে লেভানডফস্কি
ছবি: সংগৃহীত

২. গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে চারবার নাম লিখিয়েছেন এই ফুটবলার। ২০১৫ সালে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে উলফসবার্গের বিপক্ষে ৯ মিনিটে ৫টি গোল করেন রবার্ট লেভানডফস্কি। তা–ও আবার বদলি খেলোয়াড় হিসেবে। এ ছাড়া গিনেসের সবচেয়ে দ্রুততম হ্যাটট্রিক, ৪ ও ৫ গোলের অনন্য রেকর্ডও তাঁর।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে চারবার উঠেছে লেভানডফস্কির নাম
ছবি: সংগৃহীত

৩. ২০১৭ সালে বিশ্বখ্যাত এই স্ট্রাইকার ওয়ারশর ‘স্কুল অব স্পোর্টস এডুকেশন’ থেকে ‘ট্রেনিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ইন স্পোর্ট’-এর ওপর স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। নিজের খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারের ওপর থিসিস লিখে এই ডিগ্রি পান তিনি।

নিজের খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারের ওপর থিসিস লিখে ডিগ্রি পেয়েছেন লেভানডফস্কি
ছবি: সংগৃহীত

৪. লেভানডফস্কির স্ত্রী অ্যানা লেভানডফস্কা একজন কারাতে খেলোয়াড়। ২০০৯ সালের কারাতে বিশ্বকাপে তিনি ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেন।

লেভানডফস্কির স্ত্রী অ্যানা একজন কারাতে খেলোয়াড়
ছবি: সংগৃহীত

৫. তিনি ও তাঁর স্ত্রী নিয়মিতই বিভিন্ন দাতব্য সংস্থায় অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকেন। বিশেষত ওয়ারশর ‘চিলড্রেন মেমোরিয়াল হেলথ ইনস্টিটিউট’-এর জন্য অর্থ দানের পাশাপাশি তহবিল সংগ্রহেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ২০১৪ সালে ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হয়েছিলেন লেভানডফস্কি। ২০২০ সালের মার্চে, কোভিড-১৯ অতিমারির সময় তিনি ও তাঁর স্ত্রী ১০ লাখ ইউরো দান করেন।

২০১৪ সালে ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হয়েছিলেন লেভানডফস্কি
ছবি: সংগৃহীত

সূত্র: ডিসকভার ওয়াক্স, এফসিবার্সেলোনা ও কিডস ডট কিডল ডটকম