লম্বা ছুটিতে যেখানে যাবেন, যেভাবে যাবেন

ছবি: গোযায়ানের সৌজন্যে

অক্টোবর মানেই উৎসবের আমেজ। সাধারণত চারদিকে শীতের আগমনী এবং অনুষ্ঠানের ছড়াছড়ি। এ সপ্তাহেই হাতে চলে আসবে প্রায় পাঁচ দিনের একটি লম্বা ছুটি। এ ছুটিতে কোথায়, কীভাবে ঘুরতে যেতে পারেন, সেই পরিকল্পনায় সহযোগিতা করতেই এ গবেষণা।
দীর্ঘ দুই বছর নানা পর্যায়ে নিষেধাজ্ঞার পর ঘোরাঘুরির ওপর বাধা-নিষেধ পুরোপুরি উঠে গেছে। এখন ভ্রমণে যাওয়ার সুযোগ বা বিকল্প অনেক। দেশের ভেতরে হোক বা বাইরে—সব জায়গায় পর্যটন এখন জমজমাট। বেশির ভাগ মানুষই চান দীর্ঘ ছুটিগুলো একটু দূরে কোথাও কাটাতে। এমনই দূর দেশগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ভারত, নেপাল, থাইল্যান্ড ইত্যাদি। আর একটু বেশি বাজেটের মধ্যে ঘুরতে চাইলে আছে বসফরাসের দেশ তুরস্ক ও দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ। ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রধান খরচটাই হয় সাধারণত ফ্লাইটে। এককালীন ফ্লাইটের খরচ দেওয়াটা অনেকের ভ্রমণ-পরিকল্পনার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তবে বাজেটের কারণে এই সুন্দর ছুটি হাতছাড়া করার এখন কোনো প্রয়োজনই নেই। প্রযুক্তির কল্যাণে এখন আছে ইএমআই সুবিধা, যেটা ব্যবহার করে এখনই ঘুরতে গিয়ে টাকা পরিশোধ করতে পারবেন সুবিধামতো সময় নিয়ে। ক্রেডিট কার্ড না থাকলেও ব্যবহার করতে পারেন ‘ট্রাভেল লোন’। বর্তমানে ফ্লাইটের ক্ষেত্রে গোযায়ানই একমাত্র অনলাইন ভ্রমণবিষয়ক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে শূন্য শতাংশে ইএমআই সুবিধাটি পাওয়া যায়। সুতরাং ভ্রমণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সময় এখনই।

ফ্লাইটের পরই বুক করার প্রয়োজন হবে হোটেল। বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে আগে থেকে হোটেল বুক করে যাওয়া শুধু সুবিধাজনকই নয়, অনেক সময় বাধ্যতামূলকও। ভিসার আবেদন করার আগেই দেখতে হয় থাকার জায়গা। তবে বাংলাদেশ থেকে হোটেল বুকিং করার প্রক্রিয়াটা বেশ জটিল। অনলাইনে বুক করতে গেলে বিদেশি ওয়েবসাইটের সাহায্য নিতে হয়, যেখানে পেমেন্টের একমাত্র মাধ্যম ক্রেডিট কার্ড। অথচ এই ক্রেডিট কার্ডের ব্যাপারটা বাংলাদেশে এখনো তুলনামূলকভাবে কম প্রচলিত। অফলাইনে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে বুক করলে অনেক সময় পাওয়া যায় না পছন্দমতো অপশন। এ সমস্যার সমাধান করতে গোযায়ান নিয়ে এসেছে প্রায় সাত লাখ হোটেলের বিশাল সমাহার। তাদের প্ল্যাটফর্মে আরও আছে দেশে প্রচলিত সব ধরনের পেমেন্ট মাধ্যম। চাইলে পাবেন শূন্য শতাংশ ইএমআই সুবিধাও, যা আগে সম্ভব ছিল না। যে দেশের যে হোটেলই পছন্দ করুন, পেমেন্ট হবে বাংলাদেশি টাকায়।

বিদেশ ভ্রমণের জন্য দরকার হয় বিস্তৃত পরিকল্পনা। ফ্লাইট, হোটেল ঠিক করার পাশাপাশি ভিসা করতেও সময় লাগে। তাই অল্প সময়ের মধ্যে বিদেশ ভ্রমণ সম্ভব না হলে ঘুরে আসতে পারেন দেশের ভেতরের কোনো দর্শনীয় স্থান। সেন্ট মার্টিনে ঘুরতে যাওয়ার হিড়িক এখন বাড়বে। ৩ অক্টোবর থেকে পুনরায় চালু হবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপগামী সব জাহাজ, ক্রুজ ইত্যাদি। এই ছুটিই তাই ছবির মতো সুন্দর দারুচিনি দ্বীপ ঘুরে আসার সেরা সময়। শুধু সেন্ট মার্টিনই নয়, সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরে আসার মৌসুম এখনো আছে। স্থির নীল পানির মাঝে ভালোই কেটে যাবে ছুটির কয়েকটা দিন। এ ছাড়া ছুটি কাটাতে যেতে পারেন ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে। সুন্দরবনের ক্রুজগুলো বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ এই ক্রুজগুলোতে পানির ওপর থেকেই উপভোগ করা যায় বনের সৌন্দর্য। পাখি, হরিণ, কপাল ভালো থাকলে বেঙ্গল টাইগারও দেখতে পারবেন জাহাজের ডেক থেকেই।
এ ছুটিতে তাই ঘুরে আসুন কক্সবাজার বা সাজেক, সুন্দরবন বা সেন্ট মার্টিন, টাঙ্গুয়ার হাওর ইত্যাদি যেকোনো স্থান। এসব ট্যুর অনলাইনে বুক করতে চাইলে দেখে নিতে পারেন গোযায়ান। প্রতিটি ট্যুরের আলাদা আলাদা ছবিসহ খরচের হিসাব, ভ্রমণসূচি ইত্যাদি বিস্তারিত দেওয়া আছে তাদের ওয়েবসাইট ও অ্যাপে।
তাই তুরস্ক কিংবা টাঙ্গুয়ার হাওর—গন্তব্য যেখানেই হোক, ভ্রমণের সুবর্ণ সময় এখনই।