দাদু, বাবা আর কাকাকে পরে অনেক খোঁজা হয়েছে। যেখানেই মৃতদেহ দেখা গেছে, সেখানেই ছুটে গেছেন কাকারা। কিন্তু কোনো খোঁজে পাননি। অনেক পর জানা যায়, তাঁদের হত্যা করে সালুটিকর বধ্যভূমিতে গণকবর দেওয়া হয়েছিল।
বাবা ছিলেন ইউনাইটেড ব্যাংকের (পরে জনতা ব্যাংক) ক্যাশিয়ার। ১৯৬৮ সালের জানুয়ারিতে বাবা-মায়ের বিয়ে হয়েছিল। দুই বছর পর আমার বড় ভাই প্রভাত চক্রবর্তীর জন্ম। আর আমার জন্ম একাত্তরের ২৫ ডিসেম্বর। শৈশবে সেভাবে বাবার শূন্যতা বুঝতে পারিনি। তবে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাবার অভাব বুঝতে শুরু করলাম। স্কুলে সবার বাবা আসে, আমার আসে না। কেমন যেন শূন্য শূন্য লাগত। তখনো আমাদের সবার বিশ্বাস ছিল, আমাদের মাঝে তিনি একদিন ফিরে আসবেন। দিন যত গেছে বা যত বড় হয়েছি, সেই বিশ্বাস ফিকে হয়ে এসেছে। বাবা নেই, এটা যে কত বড় সংগ্রাম, তা বলে বোঝানো যাবে না। জন্মেছি যেমন সংগ্রামের সময়ে, বেড়েও উঠেছি সেই সংগ্রামেই।
অনুলিখন: মোছাব্বের হোসেন