গরমের সময় পানিশূন্যতা দূর করতে কী করবেন

গরমকালে দিনের বেলা শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ঘাম হয়ে বের হয়। এতে দেখা দেয় পানিশূন্যতা। দুর্বলতা, মাথা ঘোরানো, মাথাব্যথা, খিটখিটে মেজাজ, গলা শুকিয়ে যাওয়া, অচেতন হয়ে পড়া, বুক ধড়ফড়, কোষ্ঠকাঠিন্য, প্রস্রাব হলুদ হওয়া বা প্রস্রাব কমে যাওয়ার মতো বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। পবিত্র রমজানে যেহেতু দিনের বেলা পানি পান করা হয় না, তাই পানিশূন্যতা বেশি হয়।

আসুন জেনে নিই, এ গরমে ও রমজানে পানিশূন্যতা দূর করতে কী করবেন। 

পানি: ইফতারের শুরুটা হতে পারে লেবু বা ফলের শরবত দিয়ে। ডাবের পানিও খাওয়া যেতে পারে। ডাবের পানি ও ফলের শরবত খেলে পানির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের চাহিদাও পূরণ হবে। 

সবজি: ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, লাউ, পেঁপে ও পালংশাকে পানির পরিমাণ ৯০ শতাংশের বেশি থাকে। পানিশূন্যতা দূর করতে এই খাবারগুলো খাদ্যতালিকায় রাখুন। রাতের খাবারে বা সাহ্‌রিতে এ জাতীয় সবজি সতেজ রাখতেও সাহায্য করে।

স্যুপ: ইফতারিতে বিভিন্ন প্রকার সবজি ও মুরগির মাংস দিয়ে স্যুপ রান্না করে খেতে পারেন। সবজি ও মুরগির মাংস দুটিই সহজপাচ্য। এগুলোয় পানির পরিমাণ বেশি থাকায় (প্রায় ৯২ শতাংশ) পানিশূন্যতাও দূর করে।

তরমুজ: এ সময়ের সুস্বাদু ও জনপ্রিয় ফল তরমুজ, যার প্রায় ৯২ শতাংশই পানি। পানিশূন্যতা দূর করতে তাই তরমুজের ভূমিকা অপরিসীম। ফল হিসেবে অথবা জুস কিংবা স্মুদি, যেকোনো উপায়ে তরমুজ খাওয়া যায় ইফতারিতে। 

কলা: কলায় প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। পানিশূন্যতা ও দুর্বলতা দূর করতে কলার বিকল্প নেই। ইফতারি বা সাহ্‌রিতে কলা খেলে যেমন শক্তি পাওয়া যায়, তেমনি শরীরের পানির চাহিদা পূরণ হয়।

শসা: শসার প্রায় ৯৬ শতাংশই পানি। সালাদে শসার সঙ্গে লেটুসপাতাও রাখতে পারেন। লেটুসপাতায়ও ৯৬ শতাংশ পানি থাকে। শসার জুস করেও খেতে পারেন। এতে সহজেই শরীর ও মনে সতেজ ভাব আসে।

টমেটো: টমেটোর প্রায় ৯৪ শতাংশ পানি। সালাদ, স্যুপ, জুসসহ বিভিন্নভাবে টমেটো খাওয়া যেতে পারে। টমেটোর তরকারিও পানির চাহিদা পূরণে সহায়ক। নিয়মিত টমেটো খেলে পানির পাশাপাশি শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ লবণের চাহিদাও পূরণ হয়।

দই: দই হলো প্রোবায়োটিকসমৃদ্ধ খাবার। এতে প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি ৮৮ শতাংশ পানি থাকে, যা এ গরমে পানিশূন্যতা দূর করার পাশাপাশি পেট ঠান্ডা রাখে, হজমেও সাহায্য করে।

যা মনে রাখতে হবে

চা, কফি দুবারের বেশি পান না করাই উচিত। ভাজা-পোড়াজাতীয় খাবার না খেয়ে সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে। প্রতিদিন ২০০ মিলিলিটারের মতো লো ফ্যাট মিল্ক বা ননিবিহীন দুধ খেতে হবে।