সড়কে মোটরযান চালানোর সময় যেসব কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হয়

ড্রাইভিং লাইসেন্স

যে ধরনের মোটরযান নিয়েই সড়কে নামুন না কেন, সঙ্গে রাখতে হবে ড্রাইভিং লাইসেন্স। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে যেকোনো গাড়িই আপনি চালাতে পারবেন। এই লাইসেন্সের জন্য ন্যূনতম ২০ বছর বয়সী ব্যক্তিরা আবেদন করতে পারেন। আর অপেশাদার শ্রেণির ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী ব্যক্তিরা মোটরসাইকেলসহ হালকা যান চালাতে পারেন। অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে বয়স ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে।

মোটরযানের নিবন্ধন সনদ

যে মোটরযান নিয়ে সড়কে নামছেন, তার নিবন্ধন সনদ আছে তো? বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ এ সনদ দিয়ে থাকে। গাড়ি কেনার সময়ই যথাযথ নিয়ম মেনে নিবন্ধন করে নিন।

হালানাগাদ ট্যাক্স টোকেন

মোটরযান নিবন্ধনের সময় প্রথম ট্যাক্স টোকেন বিআরটিএ ইস্যু করে থাকে। পরবর্তী সময়ে বিআরটিএ ফি গ্রহণের কাজে নিয়োজিত ব্যাংক বা অনলাইনে নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে ব্যাংক থেকে ট্যাক্স টোকেন নবায়ন করা যায়। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও ফি প্রদান করে ট্যাক্স টোকেন নবায়ন করা যায়। সব ধরনের মোটরযানের চালককেই এই ট্যাক্স টোকেন সঙ্গে রাখতে হয়।

হালনাগাদ ফিটনেস সনদ

মোটরসাইকেল ছাড়া অন্য সব মোটরযানের ক্ষেত্রে বিআরটিএ থেকে ফিটনেস সনদ নিতে হয়। চালকের সঙ্গে মোটরযানের ফিটনেস সনদ রাখতে হবে।

মোটরযানের ধরন ও তৈরি সালের ওপর ভিত্তি করে মোটরযান নিবন্ধনের সময়ই ৫ বছর, ২ বছর ও ১ বছরের ফিটনেস সনদ দেওয়া হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগেই মোটরযানের ফিটনেস নবায়ন করে নিন। বর্তমানে বিআরটিএর যেকোনো সার্কেল অফিসেই মোটরযানসহ হাজির হয়ে ফিটনেস নবায়ন করা যায়। ঢাকা বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিভাগের আওতাধীন সার্কেল অফিসগুলোয় ফিটনেস সনদ নবায়ন করার ক্ষেত্রে অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণ করতে হয়।

হালনাগাদ রুট পারমিট

বাস, মিনিবাস, মালবাহী ট্রাক, লরির মতো বাণিজ্যিক মোটরযানের ক্ষেত্রে চালককে হালনাগাদ রুট পারমিট সঙ্গে রাখতে হয়। রুট পারমিট হলো, সংশ্লিষ্ট মোটরযানের নির্দিষ্ট সড়কে চলাচলের অনুমতি। এটিও আবেদনপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিআরটিএ থেকে সংগ্রহ করতে হয়।

সূত্র: বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ওয়েবসাইট