অনলাইন কর্মশালায় সেরা ১০ দল

‘জিপিএইচ ইস্পাত-প্রথম আলো ইন-জিনিয়াস’-এর পুরো আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো ভৌত স্থাপনার প্রকৌশলচর্চা বিষয়ে সচেতনতা তৈরি, পুরকৌশল শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তাঁদের আন্তর্জাতিক মানে গড়ে উঠতে অনুপ্রেরণা দেওয়া। এটি মূলত পুরকৌশলের শিক্ষার্থী ও স্নাতকদের জন্য একটি ‘কাঠামোগত প্রকৌশল নকশা’ প্রতিযোগিতা। আয়োজনের একাডেমিক সহযোগী বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগ ও বুয়েট-জাপান ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার প্রিভেনশন অ্যান্ড আরবান সেফটি (বুয়েট-জেআইডিপিইউএস)। দুটি ধাপ পেরোনোর পর চূড়ান্ত পর্বে পা রাখা সেরা ১০ দলকে নিয়ে ২৫-২৭ আগস্ট—তিন দিনব্যাপী অনলাইনে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

সেরা ১০ দলের সঙ্গে আগে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাক—বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বুয়েট স্পার্কলার্স ও টিম ডেক্সট্রস, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাস্ট ক্রিপ্টোনাইট ও সাস্ট ইনভিনসিবল, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির মিস্ট টাস্কফোর্স ও স্পার্কস অব মিস্ট, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনারশিয়া, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্য কনকিওরার, সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিল্টেক, ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্স থেকে টিম ইউআইটিএস।

২৫ আগস্ট সকাল ১০টায় চূড়ান্ত পর্বের কর্মশালার প্রথম দিনের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। বক্তা হিসেবে ছিলেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সাইদ মাহবুব মোর্শেদ। তিনি নবীন প্রকৌশলীদের শিক্ষানবিশির মাধ্যমে কাজের চর্চা করতে অনুপ্রাণিত করেন। তিনি বলেন, দক্ষ প্রকৌশলীদের সঙ্গে কাজ করলে প্রকৌশলবিদ্যা শেখা সহজ হয়। দ্বিতীয় অধিবেশনের বক্তা হিসেবে ছিলেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী নিশাত নোমান। নবীন প্রকৌশলীদের সূর্যসন্তান হিসেবে উল্লেখ করে তিনি এমনভাবে কাজ করতে বলেন, যেন ভবিষ্যৎ জীবনে তাঁদের কাজের মাধ্যমে দেশ ও সরকার লাভবান হতে পারে।

২৬ আগস্ট প্রথম অধিবেশনে বক্তা ছিলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহাম্মেদ খান। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অগ্নিনিরাপত্তাবিষয়ক গবেষণার ওপর জোর দেওয়া উচিত বলে মনে করেন এই অভিজ্ঞ প্রকৌশলী। নিরাপদ শহর ও নিরাপদ দেশ নির্মাণে তরুণদের এগিয়ে আসতে উৎসাহ দেন তিনি। দ্বিতীয় অধিবেশনে ইউটিলিটি প্রফেশনালসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী হাসমত উজ জামান মূলত পুরকৌশলের সঙ্গে তড়িৎ ও যন্ত্রকৌশলের যে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক, সে বিষয়ে আলোকপাত করেছেন।

প্রতিটি অধিবেশনই তরুণ প্রকৌশলীদের অনুপ্রাণিত করেছে। শেষ দিনের বক্তা প্রকৌশলী শামসুল আলম দালান নির্মাণে মান নিয়ন্ত্রণ ও দালানের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের ব্যাপারে আন্তরিকভাবে জোর দিতে আহ্বান করেছেন। অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য মাঠে সশরীর কাজ করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি। দ্বিতীয় অধিবেশনের বক্তা হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চের নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাদেকও বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে নবীন প্রকৌশলীদের টেকসই বাড়ি নির্মাণের পরামর্শ দেন।

২৭ আগস্ট এই তিন দিনব্যাপী অনলাইন কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এবং এই প্রতিযোগিতার প্রধান বিচারক খান মাহমুদ আমানত। চূড়ান্ত পর্বের বিভিন্ন বিষয় ধরে আলোচনা করেন তিনি। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী মাহবুব মোর্শেদ ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক এইচ এম এ মাহফুজ, জিপিএইচ ইস্পাতের কারিগরি উপদেষ্টা মোশাররফ হোসেন এবং প্রথম আলোর যুব কার্যক্রমের প্রধান মুনির হাসান।