অন্য রকম সিনেমা হল

>

কত বিচিত্র সিনেমা হলই না আছে দুনিয়ায়। পরিচিত হওয়া যাক এমনই পাঁচটি সিনেমা হলের সঙ্গে।


সবচেয়ে ছোট সিনেমা হল

বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে নিয়ে যাঁরা হুল্লোড় করতে করতে সিনেমা দেখতে চান, তাঁদের জন্য জাপানের আপলিংক এক্স সিনেমা হলটি রীতিমতো বিভীষিকা। মাত্র ৪০ জন একসঙ্গে এই সিনেমা হলে চলচ্চিত্র উপভোগ করতে পারেন। আরও মজার ব্যাপার হলো, হলের মধ্যে নেই কোনো নির্দিষ্ট আসনবিন্যাস। আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে সিনেমা হলটিতে টিকিট কেটে চলচ্চিত্র উপভোগ করেন দর্শকেরা।


রাজকীয় ক্যাস্ট্রো সিনেমায়!

সিনেমা হল শব্দটি ছোট মনে হতে পারে ক্যাস্ট্রো থিয়েটারে পা রাখলে, যা কিনা সিনেমা প্যালেস নামেই বেশ জনপ্রিয়। ১৯২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে চালু হয় ক্যাস্ট্রো থিয়েটার। মেক্সিকান ক্যাথেড্রাল ধাঁচে নির্মাণ করা হয় এই সিনেমা থিয়েটারটি। সিনেমা হলটিতে পা রাখলে আপনি নিজেকে হারিয়ে ফেলতে পারেন। নিজেকে নিদারুণ ক্ষুদ্র মানুষ মনে হবে। এক পাশে সাদা সিমেন্টের দেওয়াল  ও মাথার ওপর বিশাল ঝালর আপনাকে অন্য ভুবনে নিয়ে যাবে নিশ্চিত।


চতুর্মাত্রিক সিনেমা হল

দক্ষিণ কোরিয়ার ফোরডিএক্স সিনেমা হলটিকে বলা হয় পৃথিবীর প্রথম ফোরডি সিনেমা থিয়েটার। প্রযুক্তির কল্যাণে সিনেমা হলের কূলকিনারা খুঁজে পেতে কষ্ট হবে। সিনেমা দেখতে দেখতে মনে হতে পারে আপনার পাশে বসে আছেন টম ক্রুজ বা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। সিনেমা হলটি একটু ভয়ংকরই মনে হতে পারে অনেকের জন্য। সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ যাঁদের হৃদ্‌রোগ আছে কিংবা ঘাড়ে ব্যথা আছে, তাঁদের সিনেমা হলে প্রবেশ করতে মানা করে।


সবচেয়ে বড় পর্দা

ভেবে দেখুন টার্মিনেটর সিরিজের কোনো অ্যাকশন ছবি সিনেমা হলে দেখছেন। হুট করে একটি গুলি আপনার দিকেই ছুটে এল! এমনই আবহ তৈরি হয় চীনের জিয়াংসু প্রদেশের একটি সিনেমা হলে। ২০১৫ সালে চীনের জিয়াংসু প্রদেশে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পর্দাওয়ালা এই সিনেমা হলটি তৈরি করে দেশটির গুয়াংজু জিনই মিডিয়া করপোরেশন। প্রতিষ্ঠানটির নামেই পরিচিত এই সিনেমা হলের ১১৩ দশমিক ৫ ফুট প্রশস্ত সিনেমা পর্দাটি বোয়িং ৭৩৭ বিমানের ডানার দৈর্ঘ্যের সমান। 


গ্রিসের খোলা সিনেমা হল

সিনেমা হল বলতেই তো অতিকায় এক স্থাপনা চোখে ভাসে। কিন্তু সিনে থিসিও সিনেমা হলের ধরনটা একদমই আলাদা। গ্রিসের এথেন্সে অবস্থিত এই সিনেমা হলের দর্শকেরা শুধু সিনেমা দেখেই মুগ্ধ হন না, মুগ্ধ হন খোলা প্রকৃতি দেখেও। তারা ভরা আকাশের নিচে প্রিয়তম সঙ্গীর সঙ্গে রোমান হলিডের মতো নান্দনিক চলচ্চিত্র উপভোগের সুযোগ পেলে তো কথাই নেই! ১৯৩৫ সালে চালু হওয়া নিসে থিসিও বছরের এপ্রিল থেকে অক্টোবর, গ্রীষ্মের এই সময়টায় খোলা থাকে। এখানে শুধু সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রই প্রদর্শিত হয় না,  সুযোগ মেলে গত শতাব্দীর ধ্রুপদী চলচ্চিত্র দেখারও।