অলিম্পিক গেমসের শহর থেকে

টোকিওর অলিম্পিক স্টেডিয়াম

কাজের সূত্রে বছর দুই আগে জাপানের রাজধানী টোকিওতে আসা। এই শহরে অলিম্পিক গেমসের আসর বসছে ভেবে তখন ভীষণ উচ্ছ্বসিত ছিলাম। ভেবেছিলাম, নিশ্চয় কিছু খেলা মাঠে বসে দেখার সৌভাগ্য হবে। কিন্তু করোনা মহামারি কারণে ঘরে বসে এখন অলিম্পিকের খেলা উপভোগ করছি। তবে অলিম্পিকের শহরে আছি, বিশ্বসেরা ক্রীড়াবিদেরা এখন টোকিও শহরে, এই ভেবেও যেন আমার বাড়তি আনন্দ!

অলিম্পিক গেমস চলার সময়ে টোকিওসহ পার্শ্ববর্তী শহরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বের হওয়ার ফুরসত রয়েছে। ছুটির দিনগুলোতে তাই অসংখ্য মানুষ অলিম্পিক স্টেডিয়ামের আশপাশে ভিড় করেন।

টোকিওর অলিম্পিক স্টেডিয়ামের সামনে লেখক

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরই অলিম্পিক মশাল জনসাধারণের জন্য অলিম্পিক সেতুতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে সেখানেও দর্শনার্থীদের ভিড় জমতে শুরু করে। আমিও আগ্রহ নিয়ে ঘুরেছি, ছবি তুলেছি।

অনেকের জানা, পৃথিবীর অন্যতম পরিচ্ছন্ন নগরী টোকিও। অলিম্পিক গেমস উপলক্ষে শহরজুড়ে নেওয়া হয়েছে বাড়তি পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ, করা হয়েছে সাজসজ্জা। টোকিওর পথে-ঘাটে এখন বাড়তি ইংরেজি সংকেত এবং দিকনির্দেশনা লক্ষণীয়। ক্রীড়াবিদদের জৈব সুরক্ষাবলয়ের প্রটোকল নিশ্চিত করতে অলিম্পিক ভিলেজের রাস্তাগুলোর আশপাশে কয়েক হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মানুষও নিয়ম মেনে চলাচল করছেন।

টোকিওর রেলস্টেশনে অলিম্পিকের ছোঁয়া

করোনার কারণে জাপান বিদেশি পর্যটকদের টোকিও ভ্রমণের অনুমতি দেয়নি। এমনকি স্থানীয় দর্শকদেরও স্টেডিয়ামে সরাসরি খেলা দেখার অনুমতি নেই। তাই বলে আয়োজনের উৎসাহ-উদ্দীপনায় কোনো কমতি নেই।

অলিম্পিকের আনন্দের মধ্যেই সেদিন বিষাদ ছুঁয়ে গেল রোমান সানাকে হারতে দেখে। টোকিও অলিম্পিকের শুরু থেকেই এই স্বপ্নে বিভোর ছিলাম, বাংলাদেশকে অন্তত একটা অলিম্পিক সোনা এনে দেবেন।

আশাবাদী মানুষ আমি। এবারের আসরে হলো না, হয়তো পরের অলিম্পিক গেমসের আসরে সোনাজয়ী দেশের তালিকায় নাম উঠবে বাংলাদেশের।