আনন্দ তো ওদেরই

ঈদের নতুন পোশাক পরে চলছে ভাইবোনের খুনসুটি। মডেল: ইবসার ও ওয়ারিশা, পোশাক: কিউরিয়াস
ছবি: সুমন ইউসুফ

করোনার প্রকোপ বাড়ায় আবার চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। স্বাস্থ্যবিধি মানতে সবাইকে ঘরেই থাকতে হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়ার উপায়ও নেই। এর মধ্যেই ঈদুল আজহা আসছে। যদিও গত বছর থেকে ঈদসহ অন্যান্য উৎসব উদ্‌যাপন করতে হচ্ছে একটু অন্যভাবে। ঘরে থেকেই। তবে ঈদের আনন্দে কোনো কমতি রাখার অবকাশ নেই। বিশেষ করে বাড়ির ছোটদের ক্ষেত্রে। তাদের আনন্দের উৎস হতে পারে নতুন পোশাকে।

ছোটদের জন্য চাই আরামদায়ক পোশাক। হাল ফ্যাশনেও চলছে এই ধারা। আর করোনাকালে ঘরেই কাটাতে হচ্ছে বেশি সময়। বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়েই দেশের ফ্যাশন হাউসগুলো ছোটদের জন্য তৈরি করেছে আরামদায়ক ঈদ পোশাক।

ফ্যাশন হাউস কিউরিয়াসের বিপণন নির্বাহী তাসনুভা আহমেদ বলেন, ‘আমরা সব সময় আরামের বিষয়টি প্রাধান্য দিয়েই শিশুদের পোশাক তৈরির চেষ্টা করি। এ জন্য আমরা বেছে নিয়েছি সুতি, লিনেন, হালকা ওজনের সিল্কের মতো কাপড়। আবার ছোটরাও এখন চলতি ধারা সম্পর্কে সচেতন। তাই এবার আমাদের সংগ্রহে মেয়েশিশুদের জন্য রয়েছে টপ, জাম্পস্যুট, রাম্পার ইত্যাদি। আর ছেলেদের জন্য রয়েছে পাঞ্জাবি, শার্ট, পোলো শার্ট, টি-শার্ট ইত্যাদি।’

এদিকে ছেলেদের পোশাকে এখন গোল গলার টি-শার্ট বেশি জনপ্রিয়। পাশাপাশি ব্লক প্রিন্টের পাতলা ফতুয়াও ফিরেছে ছেলেদের ফ্যাশনধারায়। এ ছাড়া আরামদায়ক পাঞ্জাবি, ফুলপ্যান্ট, থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্টও রয়েছে বরাবারের মতোই। ছোটদের পাঞ্জাবিতে থাকছে স্ক্রিন প্রিন্ট, কিছু কিছু ক্ষেত্রে হালকা এমব্রয়ডারির কাজ। সঙ্গে সফট কটন বা সিল্কের পায়জামা। আর এক দশকের বেশি সময় ধরে চলা মা–বাবা ও সন্তানের একই রকম পোশাক রয়েছে ফ্যাশন হাউসগুলোর সংগ্রহে। যেমন বাবা-ছেলের সঙ্গে মিলিয়ে পাঞ্জাবি, মা-মেয়ের সালোয়ার–কামিজ, টপ বা শাড়ি। এ ছাড়া নবজাতকদের জন্য আরামদায়ক নিমা, গেঞ্জি সেট, ছোট শার্ট-প্যান্টের সেট, র‌্যাম্পার ও সিঙ্গেল টি-শার্ট পাওয়া যাবে দেশি ফ্যাশন হাউসগুলোতে।

দোকানপাট বন্ধ থাকায় কেনাকাটার একমাত্র ভরসা অনলাইন। ফ্যাশন হাউসগুলোর ফেসবুক পেজ, ওয়েবসাইট থেকেই কিনতে হবে উৎসবের পোশাক। সব হাউসের আছে বাড়িতে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার সুবিধা।