আমরা যেদিন ডাক্তারের কাছে গেলাম

.
.

: আসিফ, আমার মনে হয় এবার আমাদের ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।

: ডাক্তারের কাছে যাবে মানে? কী হয়েছে?

: বিয়ের পর থেকেই বলব বলে ভাবছিলাম। কিন্তু তারপরই রোজা এসে গেল, তারপর ঈদ। এসবের মধ্যে কিছু বলতেও পারিনি।

: কিন্তু বিয়ের তো মাত্র দুমাস হলো!

: সে জন্যই তো! দুমাস হয়ে গেল! এভাবে আর কত দিন থাকা যায়?

: আর ইউ শিওর? তুমি সত্যিই ডাক্তারের কাছে যেতে চাও?

: অবশ্যই চাই! তুমি রাজি থাকলে কালই অ্যাপয়নমেন্ট নিয়ে রাখি?

: ঠিক আছে। কখন যেতে হবে আমাকে জানিয়ো।

পরদিন আমি আর আসিফ হাসপাতালে গেলাম। ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকতে যাব ঠিক তখনই আসিফ আমার হাতটা খপ করে ধরে বলল, ‘অ্যাই, তুমি এদিকে কই যাও? এটা তো ডায়েটিশিয়ানের চেম্বার। আমরা তো গাইনোকোলজিস্টের কাছে যাব।

: মোটেও না, আসিফ! আমরা ডায়েটিশিয়ানের কাছেই যাব।

: তুমি তো এমনিতেই শুকনা! তুমি ডায়েটিশিয়ানের কাছে গিয়ে কী করবা?

: আমার জন্য না, আসিফ। তোমার জন্য। নিজের শরীরের অবস্থা দেখেছ?

: কিন্তু তুমি না সেদিন বললে, তুমি গাইনোকোলজিস্টের কাছে যাবে, এত দিন লজ্জায় বলতে পারোনি?

: আমি কখন এমন কথা বলেছি! আমি তো বলেছি, বিয়ে গেল, তারপর রোজা, ঈদ এসবের মধ্যে তোমাকে ডায়েট কন্ট্রোলের কথাটা বলতে পারছিলাম না। কিন্তু এভাবে তোমাকে বেশি দিন চলতে দেওয়া যায় না। এখনই সময় ডায়েটিশিয়ানের কাছে যেতে হবে।

আসিফের হতবাক অবস্থা দেখে তাড়া দিলাম, ‘কই, চলো, চলো! দেরি হয়ে যাচ্ছে তো!’