এক দিনের সান্তা

বাবার কোলে চড়ে এসেছে দুই বছরের ছোট্ট মাপসুরা। লাল ওভারঅল গায়ে রঙিন একটা রিকশার ওপর সে বসে আছে। একে তো ২০২০ সাল ছিল মহামারিকাল, তার ওপর তার বয়স ছিল সবে এক! এবারই প্রথম তার বড়দিন দর্শন। রিকশাটি রাখা রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমের সামনে। লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে আরও দুই অভিভাবক। তাঁদের সঙ্গেও শিশু। তারাও উঠবে রিকশায়। সমগ্র সোনারগাঁও সেজেছে বড়দিনের উৎসবে। বড় বড় চুমকি, মেরি ক্রিসমাস আর হ্যাপি নিউ ইয়ার লেখা বেলুন, ছবি, রঙিন কাগজ, ফিতা, ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা নানান উপহার দিয়ে পাঁচ তারকা এই হোটেলের পুরোটা মোড়ানো। পুলসাইডের পাশেই শিশুদের জন্য বিশেষায়িত চত্বর ‘কিডস ক্যারাভান’। সেখানে একপাশে মঞ্চের ওপর চলছে ক্রিসমাস সং ‘গেট অন দ্য ফ্লোর’, ‘রেইন ওভার মি’—এসব গানে নাচানাচি। সেই নাচানাচির কোনো নির্দিষ্ট মুদ্রা নেই। অনেকটা ‘যেমন খুশি তেমন নাচো’র মতো। মাঝখানে শিশুরা উঠেছে রেলগাড়িতে। একপাশে হয়েছে বিশাল বড় কিডস হোম। সেই ঘরভর্তি বল। সেখানেও খেলছে কয়েকজন। ইংরেজি গানের পর সন্ধ্যা নামলে বেজেছে বাংলা গান। বাইরে ছিল খাওয়াদাওয়া আর নাগরদোলা। বাদ যায়নি ঘোড়ার গাড়িও। সব মিলিয়ে পশ্চিম আর পূর্বের সংস্কৃতির মিশেলে, শিশুদের কোলাহলে মুখর ছিল সবটা।

১ / ১২
মঞ্চের ওপর শিশুদের উপহার দিচ্ছেন সান্তা
সাবিনা ইয়াসমিন
২ / ১২
প্রায় সবার মুখে ছিল মাস্ক , ছিল বেশ কিছু ক্রিসমাস ট্রি। সেগুলোর সামনেও ছিল শিশুদের ভিড়
সাবিনা ইয়াসমিন
৩ / ১২
শিশু সন্তান কোলে মেজর সাদিয়া এসেছেন ঘুরতে, সন্তানের মা-বাবারা জানিয়েছেন, এখানে এসে তাঁরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। কেননা, এখানে খুব ভিড় নেই। ঘুরে বেড়ানোর যথেষ্ট জায়গা আছে
সাবিনা ইয়াসমিন
৪ / ১২
ছিল জম্পেশ খাওয়াদাওয়া। পিৎজ্জা আর ফুচকায় আগ্রহ ছিল বেশি। অনেকের টেবিলের সামনেই দেখা গেছে জিলাপির প্লেট
সাবিনা ইয়াসমিন
৫ / ১২
ছিল রিকশা, নাগরদোলা আর ঘোড়ার গাড়ি
সাবিনা ইয়াসমিন
৬ / ১২
শিশুদের চকলেট উপহার দিয়েছেন সান্তা ক্লজ
সাবিনা ইয়াসমিন
৭ / ১২
সান্তা ক্লজ সেজেছেন এই পাঁচ তারকা হোটেলেরই এক কর্মী। তিন বছর ধরে তিনিই এখানকার সান্তা। জানালেন, প্রতিবছর সান্তা সাজতে তাঁর বেশ লাগে
সাবিনা ইয়াসমিন
৮ / ১২
রেলগাড়িতে চড়েছে শিশুরা। মা–বাবাদের প্রধান কাজ ছিল এসব আনন্দস্মৃতিকে মুঠোফোনে বন্দী করা
সাবিনা ইয়াসমিন
৯ / ১২
দুই সন্তান আর জীবনসঙ্গীকে নিয়ে এসেছেন মেজর সাদিয়া
সাবিনা ইয়াসমিন
১০ / ১২
ছিল ঘোড়ার গাড়িতে চড়ার আয়োজনও
সাবিনা ইয়াসমিন
১১ / ১২
এক দিনের এই সান্তা বলেন, ‘আমি তিন বছর ধরে এই দিনে এই ভূমিকা পালন করছি। যদিও এটা আমার কাজের অংশ। তবে কাজটা আমি খুবই ভালোবাসি। প্রতিবছর এই দিনে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আমি সান্তা। আমি উপহার দিই আর প্রচুর ছবি তোলা হয়। শিশুদের সঙ্গে এভাবে সময় কাটানো খুবই সুন্দর স্মৃতি হয়ে জমা থাকে।’
সাবিনা ইয়াসমিন
১২ / ১২
শিশুরা ঘিরে রেখেছে সান্তাকে
সাবিনা ইয়াসমিন