কক্সবাজারকে আবিষ্কার করুন নতুনভাবে

ছবি: গো যায়ান

দেশের ভেতরে বেড়ানোর জন্য সবার পছন্দের তালিকায় প্রথমেই থাকে পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার। ছুটি পেলেই ছুটতে ইচ্ছা হয় বিশ্বের দীর্ঘতম এ সমুদ্রসৈকতে। বহুবার ঘুরে আসার কারণে কক্সবাজারের কলাতলী, লাবণী পয়েন্ট, সমুদ্রের পাশের হোটেল আর বার্মিজ মার্কেট সবারই পরিচিত। কিন্তু হোটেল আর সুন্দর বিচের বাইরেও যে কক্সবাজারকে অন্যভাবে দেখা ও উপভোগ করা যায়, সেটা হয়তো অনেকেরই অজানা। যাঁরা অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী, যাঁদের ইতিহাসে আগ্রহ আছে, কক্সবাজার তাঁদেরও নিরাশ করবে না। এখন সব বয়সের সবার জন্য নিরাপদে ও নতুনভাবে কক্সবাজারকে জানার ও দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। কক্সবাজার ভ্রমণকে আরও আনন্দদায়ক করতে হোটেল, বাস ও ফ্লাইটের পাশাপাশি গো যায়ান নিয়ে এসেছে নানান রকম নতুন অ্যাকটিভিটি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ব্রাউজ করুন: https://cutt.ly/wW43qKU

কোথাও ঘুরতে যাওয়া মানেই হোটেলে থাকা। কিন্তু ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ পাল্টে যাবে, যদি আকাশের নিচে সমুদ্রসৈকতেই থাকা যায়। অনন্য এই অভিজ্ঞতার জন্য এখন কক্সবাজারের হিমছড়িতে আছে ক্যাম্পিংয়ের সুব্যবস্থা। লোকালয় থেকে একটু দূরে ক্যাম্পসাইটে পড হাউস বা তাঁবুতে থেকে রাতের সৈকত উপভোগ করা যাবে, সঙ্গে থাকবে রাতের আকাশের তারা। লোকালয়ের ভিড় এড়িয়ে খুব কাছে থেকে দেখা যাবে ভিন্ন এক সমুদ্রসৈকত। সমুদ্রের পাশে সারা দিন থেকে দেখা যাবে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত, রাতে ঘুমিয়ে যেতে পারবেন ঢেউয়ের শব্দ শুনতে শুনতেই। ওয়াশরুম আর তিন বেলা খাওয়ার ব্যবস্থা এই ক্যাম্পসাইটে আপনার থাকার অভিজ্ঞতাকে করে তুলবে নিরাপদ ও আরামদায়ক।

ছবি: গো যায়ান

সরু নৌকাতে বসে পেডল ব্যবহার করে কায়াকিং করা বিশ্বের অনেক দেশেই জনপ্রিয়। কায়াকিং করতে চাইলে এখন আর দেশের বাইরে যেতে হবে না, হিমছড়ির রেজু খালেই এখন পাওয়া যাবে কায়াকিংয়ের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। খালের স্বচ্ছ পানি মেশে বঙ্গোপসাগরে। আর এই স্বচ্ছ পানিতে কায়াক চালাতে চালাতেই দেখা যাবে দুই পাশের সবুজ পাহাড়ের সৌন্দর্য। লাইফজ্যাকেট, হেলমেটসহ শান্ত পানিতে একা অথবা বন্ধুদের সঙ্গে মিলে কায়াকিংয়ের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে খুব নিরাপদেই।
আমাদের অনেকেরই হয়তো জানা নেই যে কক্সবাজারেই আছে বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ, যেখান দিয়ে যেতে যেতে কক্সবাজারের সৈকতের সৌন্দর্য দেখা যাবে পুরোপুরি। আর এই সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য কক্সবাজার-টেকনাফ রুটে আছে ট্যুরিস্ট ক্যারাভান। বাসে যেতে যেতে দেখা যাবে কক্সবাজারের দুই রূপ—এক পাশে সমুদ্র, আরেক পাশে সবুজ পাহাড়ের সারি। টেকনাফ যেতে যেতে বাস থেকে নেমে দেখা যাবে হিমছড়ি, পাটুয়ারটেক ও শামলাপুর সমুদ্রসৈকত, যার একটি আরেকটির চেয়ে ভিন্ন। ট্যুরিস্ট ক্যারাভানে টেকনাফ পর্যন্ত গিয়ে ফিরে আসার সময় সেই পাহাড় আর সমুদ্র দেখা যাবে বিকেলের আলোতে। শুধু ঘোরাঘুরিই নয়, ট্যুরিস্ট ক্যারাভানে পাবেন ওয়াশরুম ও কিচেনের সুব্যবস্থা।

ভ্রমণের পাশাপাশি সাগরের তলদেশের রহস্য নিয়ে যাঁদের আগ্রহ আছে, কক্সবাজারে এসে তাঁদেরও নিরাশ হতে হবে না। কক্সবাজার শহরেই আছে রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড। শহরের ঝাউতলাতে রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ডে থাকছে সাগরের তলে যাওয়ার মতো অভিজ্ঞতা। অ্যাকুয়ারিয়ামে গেলে চারপাশে দেখা যাবে দেশি–বিদেশি প্রায় ২০০ প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী, মনে হবে, আপনি সাগরের মধ্যেই আছেন। পরিবারের সবাই মিলে, বিশেষ করে শিশুদের আনন্দের জন্য রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ডের জুড়ি নেই।
যাঁরা ইতিহাসপ্রেমী, তাঁদের জন্য কক্সবাজারে আছে রামুর কয়েক শ বছরের পুরোনো বৌদ্ধমন্দির। রামুর প্রায় ৩৫টি বৌদ্ধমন্দিরে গেলে দেখা যাবে বাংলাদেশে বৌদ্ধধর্মের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। মিঠাছড়ার পাহাড়ে গিয়ে থমকে যেতে হয় গৌতম বুদ্ধের ১০০ ফুট লম্বা সোনালি শায়িত মূর্তির সামনে গেলে। বলা হয়ে থাকে, এটা এশিয়ার সবচেয়ে বড় বৌদ্ধমন্দির।

ছবি: গো যায়ান

কক্সবাজারের চিরাচরিত ট্যুরিস্ট স্পটগুলো থেকে একটু ভিন্ন পথে পা বাড়িয়ে ইতিহাস ও আধ্যাত্মিকতার স্বাদ পাওয়া যাবে রামুর বৌদ্ধমন্দিরগুলোতে। মন্দির থেকে একটু দূরে গেলেই দেখা মিলবে রাবার বাগানের।

চিরচেনা গণ্ডির একটু বাইরেই আছে কক্সবাজারকে নতুনভাবে উপভোগ করার নানা রকম অভিনব অ্যাকটিভিটি। কিন্তু এই অ্যাকটিভিটি সম্পর্কে জানা, দরদাম করা ও বুকিংয়েই সীমিত ছুটির অনেক সময় চলে যায় এবং সবকিছু সব সময়ে পাওয়াও সম্ভব হয়ে ওঠে না। এসব ঝামেলা দূর করতেই আছে গো যায়ান। সব বয়সের ও সব চাহিদার পর্যটকদের জন্য গো যায়ান নিয়ে এসেছে কক্সবাজারে নতুন ও অভিনব সব ট্যুর, যেখানে আপনি জেনে নিতে পারবেন আপনার পছন্দের সব ট্যুরের বিস্তারিত তথ্য আর অল্প কয়েকটি ক্লিকের মাধ্যমে খুব সহজেই ট্যুর বুক করে নিতে পারবেন। ট্যুরের সব বিস্তারিত বিবরণ আর খরচ সম্পর্কেও জেনে নেওয়া যাবে গো যায়ান থেকেই।

বিস্তারিত জানতে ঘুরে আসুন: https://cutt.ly/wW43qKU
অথবা কল করুনঃ +৮৮০৯৬৭৮৩৩২২১১