
বিব নেকলেস! নাম শুনলে প্রথমে একটু খটকা লাগে বৈকি। তবে এখন যে এ ধরনের নেকলেসেরই ট্রেন্ড চলছে। গলাজুড়ে এমন একটি নেকলেস থাকলে অন্য কোনো গয়নার প্রয়োজনই পড়ে না। আকৃতিতে বড় ও ডিজাইনে কিছুটা ভিন্ন আঙ্গিকের হওয়ার কারণে সাজপোশাকের মধ্যে এটিই নজর কাড়ে।

বিব নেকলেসের নকশায়ও দেখতে পাওয়া যায় নানা বৈচিত্র্য। কোনোটা বোল্ড প্যাটার্নের, কোনোটা আবার খুব ছিমছাম নকশার। আদিবাসী ধাঁচের কিছু বিব নেকলেসও আজকাল পরতে দেখা যাচ্ছে। কিছু নেকলেস আবার রয়েছে যা একদম শার্ট বা ফ্রকের কলারের আকৃতির হয়ে থাকে।
বিব নেকলেসের ধরন যেমনই হোক না কেন, এর সঙ্গে কখনোই গলায় অন্য কোনো মালা বা চেইন পরলে ভালো দেখাবে না, কানে বড় দুলেও খুব জবরজং দেখাবে। এর সঙ্গে চাইলে কানে ছোট টপ অথবা খুব সাধারণ কোনো রিং পরা যেতে পারে।
ব্লাউজ বা পোশাকের গলায় ঘন কাজ থাকলে তার সঙ্গে এ ধরনের নেকলেস পরার কোনো মানেই হয় না। দেশীয় বা পশ্চিমা—প্রায় সব ধাঁচের পোশাকের সঙ্গেই এটি মানিয়ে যায়। পোশাকটা এ ক্ষেত্রে খুব জাঁকাল নকশার না হয়ে সাদামাটা ধরনের হলেই ভালো। কারণ, নজরকাড়া এমন একটি নেকলেসই আপনার সাজে জমকালো ভাব আনতে যথেষ্ট। হালকা রঙের পোশাকের সঙ্গে বৈপরীত্য এনে গাঢ় কোনো রঙের নেকলেস পরা যেতে পারে, নেকলেসটি রংবেরঙের হলেও দেখতে মন্দ লাগবে না।
মডেল ও অভিনেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়ারও এই নেকলেসগুলো খুব পছন্দ বলে জানান তিনি। তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ইদানীং এ ধরনের নেকলেসগুলোই বেশি পরা হচ্ছে তার এবং এর সঙ্গে কানে কোনো দুল পরছেন না। ‘সাধারণত একটু বড় গলার পোশাকের সঙ্গেই আমি বিব নেকলেস পরে থাকি। এটি ভি আকৃতি ও ব্যান্ড গলার সঙ্গেই বেশি মানায়।’ বললেন পিয়া।
এখন এই নেকলেসের চল এসেছে বলে যেমন-তেমনভাবে এটি পরলেই হবে না। পরার ধরনটি ঠিক না হলে এর পুরো সৌন্দর্যই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পোশাকের নকশা ও গলার কাটিং এ ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নেকলেসের কিছু অংশ কাপড়ে ঢাকা পড়ে থাকলে মোটেও ভালো দেখাবে না। বরং পুরো নেকলেসটি ত্বকের ওপর, নয়তো পোশাকের ওপর ইয়োকের মতো বসে থাকলেই সবচেয়ে ভালো দেখাবে।
ক্যাটস আই, আরবান ট্রুথ, আইডিয়াসসহ অনেক গয়নার দোকানেও খুঁজলে পেয়ে যাবেন বিব নেকলেস। এ ছাড়া বিভিন্ন অনলাইন শপেও এটি পাওয়া যাবে। দাম ৫০০ টাকা থেকে শুরু হতে পারে।