ঘুমের সঙ্গে সৌন্দর্যের গোপন, গভীর প্রণয়

এভারকেয়ার হসপিটালস ঢাকার প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরীকে ঘুম আর সৌন্দর্যের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করলেই উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন। বললেন, ‘আপনি কি কখনো ইউটিউবে সাপের খোলস বদলানোর ভিডিও দেখেছেন?’ এপাশ থেকে ঢোঁক গেলার শব্দ শুনে বললেন, ‘এটা মূলত ঘটে সাপের ঘুমের ভেতর। যত ধরনের ‘রিপেয়ারিং’ হরমোন আছে, তাদের প্রায় সবই নিঃসৃত হয় ঘুমের ভেতর। তাই যেকোনো কিছু সারিয়ে তোলার জন্য ঘুমের বিকল্প নেই। ঘুমের সঙ্গে কেবল ত্বকের নয়, চুলেরও সম্পর্ক রয়েছে। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার সম্পর্ক রয়েছে। না ঘুমানোর সঙ্গে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মুটিয়ে যাওয়ার ও কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শুকিয়ে যাওয়ারও সম্পর্ক রয়েছে।’  

*তাড়াতাড়ি ঘুমাতে গেলে ‘বুড়িয়ে যাওয়া’ প্রতিরোধ করা যায়। রাতে আট ঘণ্টা ঠিকমতো ঘুমালে মুখে সহজে বলিরেখা পড়ে না।
* ঠিকঠাক ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুললে পেটও ধন্যবাদ জানাবে। যার প্রভাব পড়ে ত্বক ও চোখের সুস্থতায়। রাতে গভীর ঘুমের মধ্যে শরীরের নানা রোগব্যাধির বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
* আপনি যদি একটা ঠিকঠাক ঘুম দিয়ে ওঠেন, তাহলে আপনাকে ফ্রেশ দেখাবে। এ জন্য ফটোশুটের আগে মেকআপ নেওয়ার পর মডেলকে ‘ন্যাপ’ নিতে বলা হয়। এতে মেকআপ যেমন ভালো বসে যায়, তেমনি ত্বকও দেখতে ভালো লাগে। সৌন্দর্যটা পুরোপুরি ফুটে ওঠে।

* রাতে ঘুমের ভেতর নতুন কোষ তৈরি হয়। ক্ষত শুকিয়ে যায়। শরীর, মন আর ত্বকের স্বাভাবিক সুস্থতার জন্য ঘুম খুবই জরুরি।
* রাত জেগে ওয়েব সিরিজ দেখা একটা ট্রেন্ড। রাত যত গভীর হয়, ততই অস্বাস্থ্যকর খাবার মন টানতে থাকে। দেখা যায়, রাত জেগে হাবিজাবি অনেক কিছু খেয়ে ফেলা হয়। সেগুলো ঠিক ধর্তব্যের ভেতর ফেলা হয় না। ফলে ওজন বাড়তে থাকে। আর মুটিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সৌন্দর্যের সম্পর্ক ব্যস্তানুপাতিক বলে মনে করেন অনেকেই।  
মোদ্দা কথা হলো, পর্যাপ্ত ঘুম বাদ দিয়ে হাজার প্রসাধনী ব্যবহারেও কখনোই সৌন্দর্য রক্ষা করা যায় না। তাই নিশ্চিন্তে ঘুমান। সৌন্দর্য অনুভব করুন।