ঘুড়ির সুতোয় কাক

এই তো কদিন আগের কথা, ২৯ জুনের বিকেল বেলা। আমাদের বাসার চারতলার ব্যালকনিতে বসে খেলছিলাম। হঠাৎ দেখি, একটা কাক অস্থিরভাবে ডানা ঝাপটাচ্ছে আর কা কা করছে। একটু কাছে গিয়ে দেখলাম, কাকটির একটি ডানা সুতোয় প্যাঁচানো। ভাবলাম, কাকটাকে কেউ হয়তো পোষ মানাতে চায়। কিছুক্ষণ দেখার পরে বুঝতে পারলাম যে কাকটা বিপদে পড়েছে।

আর কী আশ্চর্য, আশপাশে এর মধ্যে আরও অনেক কাক জড়ো হয়েছে। সব কাক উড়ছে আর কা কা করছে। আমি চিৎকার করে বাবাকে ডাকলাম। বাবা এসে দেখলেন আর আমাকে সুতাটা ধরতে বললেন। আমি সুতাটা ধরতে পারলেও ভয়ে আবার ছেড়ে দিলাম।

তখন বাবা সুতাটা ধরলেন আর আমার ভাইয়াকে কাঁচি আনতে বললেন।

ভাইয়া এসে শক্ত সুতাটা কেটে দিল। কাকটা বিপদ থেকে মুক্তি পেয়ে উড়ে কাছের আমগাছটাতে বসল। বাবা বাকি সুতাটা টানতেই বুঝতে পারলেন যে ছাদে কেউ ঘুড়ি ওড়াচ্ছিল, সেই ঘুড়ির সুতায় বেচারা কাকের ডানা পেঁচিয়ে যায়।

কাকটি ওই শক্ত নাইলনের সুতো ছাড়াতে না পেরে নিচে ঝুলে পড়েছিল আর মুক্ত হওয়ার আশায় ডানা ঝাপটাচ্ছিল। কাকটাকে বিপদমুক্ত করতে পেরে আমার খুব ভালো লেগেছে।

আর এর থেকে এটাও বুঝতে পারলাম যে আমাদের এভাবে ঘুড়ি ওড়ানোর ফলে পাখিদের বিপদ হতে পারে। তাই ঘুড়ি ওড়ানোর সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন পাখিরা বিপদে না পড়ে।