চাপে পড়ে বিচ্ছেদ...?

.
.

নিজেদের পছন্দে বিয়ে করলেন প্রাপ্তবয়স্ক দুজন ছেলেমেয়ে। দুজনেরই বিয়ের বয়স হয়েছে কিন্তু উভয় পক্ষের কেউ-ই বিয়েটা মেনে নিচ্ছেন না। তাঁরা চাইছেন বিবাহবিচ্ছেদ হোক। অভিভাবকেরা ছলনার আশ্রয় নিয়ে বিয়েটা মেনে নেওয়ার ভান করলেও পরে বিচ্ছেদের জন্য চাপ দিতে থাকেন। এ ধরনের পরিস্থিতিতে কী করতে পারেন ছেলেমেয়ে দুটি?

তাহলে উপায়
যাঁরা এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন, তাঁদের জন্য আইনি প্রতিকার রয়েছে। যদি কোনো স্বামী-স্ত্রী নিজেরা তালাক বা বিবাহবিচ্ছেদ না চান, তাহলে তাঁদের মধ্যে জোর করে বিচ্ছেদ ঘটানো যাবে না। যদি ভুয়া তালাকের নোটিশ তৈরি করা হয়, তাহলে এর বিরুদ্ধে আইনি প্রতিকার পাওয়া সম্ভব। কারও নাম করে যদি তালাকের নোটিশ পাঠানো হয়, তা অস্বীকার করা যেতে পারে। মেয়েকে যদি নির্যাতন করা হয়, তাহলে এ অভিযোগ এনে দাম্পত্য অধিকার চেয়ে তিনি পারিবারিক আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন।

এমন যদি ঘটার আশঙ্কা থাকে
এ রকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যদি ঘটে বা ঘটার আশঙ্কা থাকে, তাহলে সবচেয়ে যেটি প্রয়োজন, সেটি হলো নিজেদের মধ্যে প্রতিশ্রুতি ঠিক রাখা, নিজেদের নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দেওয়া। এ জন্য পারলে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে রাখা যেতে পারে। কোনো তালাকের নোটিশ পেলে এ বিষয়ে সালিস পরিষদে গিয়ে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে দেখা উচিত যে তালাকের নোটিশ সঠিক কি না। যেকোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হলে পরিবারের সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সমাধানের পথ খুঁজে নেওয়া উচিত। নিজেদের সম্মতিতে বিবাহবিচ্ছেদ না ঘটালে তা কার্যকর করা যায় না। কোনো চাপের কারণে যদি বিচ্ছেদ ঘটানোর চেষ্টা করা হয়, তাহলে তালাকের নোটিশ পাঠানের তারিখ থেকে তিন মাসের মধ্যে তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার সুযোগ আইনে আছে।
লেখক: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
ই-মেইল: [email protected]