চেরি খেতে চান কি!

চেরি
চেরি

দেখতে সুন্দর ফল চেরি। কালচে লাল রঙের এই চেরি খেতেও চমৎকার। তবে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী করমচাকে মিষ্টির রসে রং দিয়ে জ্বাল দিয়ে চেরি বলে চালিয়ে দেন। তাই চেরি কিনবেন দেখে-শুনে। এটি খেতে যেমন ভালো, রোগ প্রতিরোধেও অনন্য। বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদ জানালেন, ‘বিভিন্ন খাবার, কেক, পেস্ট্রির সৌন্দর্য বর্ধনে চেরি ব্যবহার করা হয়, কিন্তু চেরি শুধু সুন্দর ফলই নয়, পুষ্টিগুণেও কিন্তু চেরি অনন্য।’ এবার চেরি কেমন করে রোগ প্রতিরোধে অংশ নেয় জেনে নেওয়া যাক।

ঘুম ভালো রাখতে
যাদের ঘুমের সমস্যা আছে তারা চেরি খেতে পারেন। খেলে ঘুম ভালো হয়। ঘুমাতে যাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে চেরির জুস খেয়ে ঘুমালে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

ডায়াবেটিস সুরক্ষায়
ডায়াবেটিসের রোগীরা খেতে পারেন। চেরি ফলে থাকা উপাদানগুলো রক্তের চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

পেটের চর্বি কমায়
নিয়মিত চেরি খেলে পেটে চর্বি জমে না। ওজন কমাতে চাইলে খেতে পারেন।

স্মৃতিশক্তি বাড়ায়
যাঁরা স্মৃতি-দুর্বলতায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য চেরি উপকারী। এটি আলঝেইমারের প্রকোপ কমায় এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কাজ করে।

হৃৎস্বাস্থ্য সুরক্ষায়
হৃৎস্বাস্থ্য সুরক্ষায় চেরি খুব কার্যকর। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা সহনীয় রাখে। হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়।

বয়স ধরে রাখে
চেরির উপাদানগুলো কোষের ক্ষয় রোধ করে। সেই সঙ্গে ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না। তাই নিয়মিত চেরি খেলে বুড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে।

হাড় ভালো রাখতে
হাড়ে ব্যথা কিংবা হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা কিংবা এসব স্থান ফুলে গেলে খেতে পারেন চেরি। দ্রুত আরোগ্য হবে।