এখন সময় চোখ সাজানোর
চোখই এখন ভরসা মনের অভিব্যক্তি প্রকাশের জন্য। তাই চোখ সাজানোও হচ্ছে মনের মতো। করোনার কারণে মাস্কে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে ঠোঁট ও মুখের একটা অংশ। চোখের সাজ এ কারণে আরও বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে এখন।
নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে
রয়েছ নয়নে নয়নে,
হৃদয় তোমারে পায় না জানিতে
হৃদয়ে রয়েছ গোপনে।
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
চোখই এখন ভরসা ভাষা প্রকাশের জন্য। চেহারার এই অংশই এখন জানিয়ে দিচ্ছে সব রকম অনুভূতির কথা। বার্তাবাহক যখন চোখ, সেটি সাজানোও হচ্ছে মনমতো। আবহাওয়ার চাহিদা অনুযায়ী বছরের এ সময়ে সাজের গুরুত্ব বেড়ে যায় এমনিতেই। তবে এবার করোনার কারণে মাস্কে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে ঠোঁট ও মুখের একটা অংশ। চোখের সাজ এ কারণে আরও বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।
চোখের প্রসাধনসামগ্রী অন্যগুলোর চেয়ে বেশি কেনা হচ্ছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি, ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের দ্য নিউইয়র্ক টাইমস–এ তুলে ধরা হয়েছে মজার এই তথ্য। কারণ একটাই, মাস্কের ব্যবহার।
সৌন্দর্যচর্চাকেন্দ্র পারসোনার পরিচালক নুজহাত খান জানান, চোখের সাজে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগও বেশি। লিপস্টিকে লাল, গোলাপি, বাদামি, বাঙ্গি রংগুলোই বেশি চলে। এর বাইরে অন্য রংগুলো দিয়ে চলতি ধারা তৈরি করার প্রয়াস খুব একটা জনপ্রিয় হয় না। কিন্তু চোখের সাজে অনেক বেশি ভিন্নতা নিয়ে আসা যায়।
একটি ধারা অনুসরণ না করে বিভিন্নভাবে সাজানো হচ্ছে চোখ। পেস্টাল, মেটালিক, গ্লিটারের ব্যবহার এখন লক্ষণীয়। মোটা করে আইলাইনার দেওয়া, গ্রাফিকস, রঙিন আইশ্যাডো চলছে এ বছর। স্মোকি বা কালচেভাবে চোখ সাজানো এখন কম। গাঢ়ভাবে রঙের ব্যবহার করতে চাইলে সেটা চোখের নিচের অংশেই দেখা যাচ্ছে বেশি। একই ধরনের চোখের সাজ বা জ্যামিতিক নকশার ব্যবহার রাত ও দিন দুই বেলাতেই করা যাবে। তবে বদলে যেতে হবে আইশ্যাডোর ব্যবহার। রাতের বেলা গ্লিটার ও মেটালিক আইশ্যাডো আর দিনের বেলায় পেস্টাল রঙের আইশ্যাডো পার্থক্য তুলে ধরবে।