চোখে চোখে খুঁজি তোমাকে

.
.

তোমাকে আমার প্রেমহীন জীবনে পেয়ে আমার জীবন ধন্য। আমি পথহারা, নীড়হারা পাখি, খুঁজে পেয়েছি তোমার মধ্যে সুখের ঠিকানা। তোমাকে ‘সুলতান সোলায়মান’ বলে যখন মধুর সুরে ডাকি, তখন আবেগে তুমি কাতর হয়ে পড়ো। তুমি আমার জীবন উত্তর মেরুর ধ্রুবতারার মতো উজ্জ্বল করেছ বলে আজ প্রেমের পথ চলাতে আনন্দ খুঁজে পাই। তুমি আমাকে শিখিয়েছ কীভাবে ভালোবাসতে হয়। তোমার ভালোবাসায় আমার জীবন গোলাপ ফুলের মতো সুবাসিত হয়েছে। অতীতের দুঃখভরা জীবনের স্মৃতি এখন আমাকে কাঁদায় না। এখন আমি নতুন স্বপ্ন বুনি প্রতিদিন। তুমি আমার জীবনে এখন স্বপ্ন নও, বাস্তব।
তোমার সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় রাজশাহীর প্রেমকানন বলে পরিচিত পদ্মার পারে। ঘুরে বেড়িয়েছি পদ্মার চর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোড, সিনেট হলের বারান্দায় বসেছি তোমার হাত ধরে, চা খেয়েছি লিচুবাগানের চা-স্টলে, এঁকেছি ভবিষ্যতের স্বপ্ন। আমি ধরেছি তোমার হাত মিষ্টি ছোঁয়া পাই বলে আর তুমি না-ও করোনি। প্রেমের মধ্য দিয়ে আমরা খুঁজে পেয়েছি নতুন আনন্দযাত্রার প্রেরণা। জীবন মানে হলো যে সুখ-দুঃখের আনন্দমেলা, তা তোমার সঙ্গে প্রেম না হলে বুঝতেই পারতাম না। তুমি আছ, তুমি থাকবেই আমার জীবনে চিরদিন, চিরসকাল।
সাহেব বাজারের চিলিস চায়নিজ রেস্টুরেন্টে থাই স্যুপ খাওয়ার ছলে তোমার চোখে আমার চোখ রেখে দেখেছি ভালোবাসার সেতু বানানোর স্বপ্ন। এখন আমি চোখ বুজলেও তোমাকে ছাড়া আর কাউকে দেখি না। তোমার প্রতি আমার এই গভীর প্রেম সত্যি কি তুমি অনুভব করতে পারো? তোমাকে ভুলতে পারি না দিবারাত্রি ২৪ ঘণ্টা।
আমি চাই জীবনতরি বেয়ে তোমাকে নিয়ে চলে যেতে ভালোবাসার অজানা বন্দরে। তোমাকে হারাব, এ কথা ভাবতেই পারি না কোনো দিন আমি। তুমি আমার স্বপ্ন, তুমি আমার ভালোবাসার সাত রং। পথ চলতে তোমাকে খুঁজি চোখে চোখে। আমার ভালোবাসার স্বপ্ন তুমি, বেঁচে থাকো চিরদিন আমার হৃদয়ে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

রাজশাহী।

লেখা পাঠানোর ঠিকানা

অধুনা, প্রথম আলো, সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

ই-মেইল: [email protected] ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA.

খামের ওপর ও ই-মেইলের subject-এ লিখুন ‘মনের বাক্স’