ছেলেদের পোশাক বানাতে

.
.

শরীরের সঙ্গে মাপ ঠিক রেখে যাঁদের জামা পরা চাই, তাঁদের পছন্দের ঠিকানা তো দরজিবাড়ি। শুধু কি মাপই? নিজের ইচ্ছামতো নকশায় পোশাক বানানো যায় টেইলার্সে। অনেকেই এখন ব্যস্ত পছন্দের কাপড় কিনে তা দরজিকে দিয়ে বানিয়ে নিতে। উপলক্ষ ঈদ। এই ঈদে পরার পোশাকটি যে বিশেষ হওয়া চাই সবারই।
এইচএসসি পরীক্ষার্থী বিশাল চৌধুরী নিজে কাপড় কিনে পোশাক বানাতে এসেছে ঢাকার এক দরজির দোকানে। বলল, ‘বানিয়ে নিলে পোশাক মাপমতো হয়। পছন্দমতো রং ও নকশা বেছে নিতে পারি। এ কারণেই দরজিবাড়িতে পোশাক বানাতে দেওয়া।’
এবার জেনে নেওয়া যাক দরজিবাড়ির খবরাখবর। টপ টেন ফ্যাব্রিকস অ্যান্ড টেইলার্সের এলিফ্যান্ট রোড শাখার ব্যবস্থাপক মো. আনোয়ার হোসেন জানালেন, অনেকেই এখন শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, স্যুট বানাতে দিচ্ছেন। শার্টের চাহিদাই বেশি। শার্টের মধ্যে ফরমাল বেশি চলছে। পাঞ্জাবির ক্ষেত্রে বিভিন্ন নকশা করা কাপড়ের দিকে ঝোঁক বেশি ছেলেদের।
এলিফ্যান্ট রোডে দ্য রেমন্ড শপের ব্যবস্থাপক মো. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে আমাদের এখানে বিশেষ কোনো কিছু থাকে না। সারা বছরই স্যুট, শার্ট, প্যান্ট বানাতে দেন ক্রেতারা। তবে ঈদ মৌসুমে শার্টের চাহিদা বেশি রয়েছে।’ অন্যদিকে পান্থপথে ফেরদৌস ফেব্রিকস অ্যান্ড টেইলার্সের কর্মী মো. আশরাফুল ইসলামও জানান, তাঁদের ওখানে ছেলেদের সব ধরনের জামা বানানো হলেও শার্টের চাহিদা এখন পর্যন্ত বেশি। রঙিন ও ফরমাল শার্টই বেশি বানাতে দেন গ্রাহকেরা।
কয়েকটি দোকান ঘুরে জানা গেল, চাপা শার্ট এবার বানাতে চাচ্ছেন ছেলেরা। যাঁরা এর ব্যতিক্রম, তাঁরাও খুব ঢোলা নয়, হালকা ঢোলা জামা বানাচ্ছেন।

সময় থাকতেই নিজের পছন্দমতো পোশাকটি বানিয়ে ফেলুন। মডেল: আয়াজ, ছবি: সুমন ইউসুফ
সময় থাকতেই নিজের পছন্দমতো পোশাকটি বানিয়ে ফেলুন। মডেল: আয়াজ, ছবি: সুমন ইউসুফ

কোথায় কী কী
ছেলেদের সব ধরনের পোশাকই বানানো হয় টপ টেন, ফেরদৌস, ফিট এলিগেন্টে। স্যুট, শার্ট, প্যান্ট বানানো হয় ব্লেজার বিডি, দ্য রেমন্ড শপে।
খরচপাতি
টেইলার্সভেদে পোশাক বানাতে খরচ পড়বে ভিন্ন ভিন্ন। পাঞ্জাবির ক্ষেত্রে খরচ পড়বে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা। পায়জামা বানানোর মজুরি ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা। শার্ট বানাতে খরচ হবে ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা। প্যান্ট ৪৫০ থেকে ১ হাজার টাকা। স্যুট ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। শুধু কোট বানাতে মজুরি লাগবে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা।
কখন বানাতে দেবেন
যত আগে পোশাক বানাতে দেবেন তত ভালো। রাজধানীর প্রায় সব টেইলার্সে ১৫-২০ রোজা পর্যন্ত জামা বানাতে দেওয়া যাবে। তবে ব্যতিক্রম রয়েছে কয়েকটি দরজির দোকান। যারা বলছে ২৫ রোজা পর্যন্ত তারা জামা বানানোর অর্ডার নেবে।

দরজিবাড়ির খোঁজ
বস, ফেরদৌস, দ্য রেমন্ড শপ, রিচম্যান, টপ টেন, ব্লেজার বিডি, সিটি এলিগেন্স, ফিট এলিগেন্ট, আইকন, সানমুন, ডায়মন্ড, সেঞ্চুরি প্রভৃতি টেইলার্স থেকে বানিয়ে নিতে পারেন আপনার চাহিদামতো ঈদ পোশাক। এসব দরজিবাড়ির অধিকাংশেরই শাখা রয়েছে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে। এছাড়া গুলিস্তানের রমনা ভবনে আছে বেশ কিছু দরজির দোকান।