
ঈদের সাজে জ্ুতা ও ব্যাগের নকশা এনে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। পোশাকের সঙ্গে এখন শুধু মিলিয়ে পরার ব্যাপারটা নেই, বরং পায়ের জুতা জোড়া ও হাতের ব্যাগটা দিয়ে বোঝা যায় রুচি। নকশা এখন এতখানিই নজরকাড়া যে মাঝেমধ্যে মনে হয় পোশাকটাই বোধ হয় অনুষঙ্গ। ঈদের বাজার ঘুরে সেটাই বোঝা গেল।
একটা সময় ছিল যখন শুধু কালো বা খয়েরি রঙের জুতাই বেছে নিত সবাই। এখন বর্ণিল নকশার পাশাপাশি আরামের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। ব্যাগের বেলাতেও দেখা যাচ্ছে আজকাল রঙিন ব্যাগের চলটাই বেশি। তরুণীদের কাছে বর্তমানে চিকন চেইন দিয়ে আটকানো মাঝারি স্লিম ব্যাগগুলোই বেশি জনপ্রিয়। অন্যদিকে ত্রিশোর্ধ্ব ব্যক্তিরা ছোট বেল্টের মাঝারি আকৃতির লেদার ব্যাগ বেশি পছন্দ করছেন। আর পার্টি ব্যাগ বা ক্লাচ তো বরাবরই প্রিয় তালিকায় আছে।
শিমার এক্সক্লুসিভ সুজ অ্যান্ড ক্লাচ স্টোরের সিইও মাহজাবিন সাইদ বলেন, ‘কুর্তা, ফতুয়া, জিনস, টপের সঙ্গে উজ্জ্বল রঙের পাম্প শুর এবং পিপ-টো শুমগুলো বেশি মানায়। সঙ্গে নিতে পারেন স্লিম ব্যাগগুলো। সালোয়ার-কামিজ এবং শাড়ির সঙ্গে ক্লোজড হিল বা পেনসিল হিল পরলে আকর্ষণীয় লাগে। তবে যাঁরা ব্যালান্স বা শারীরিক অসুবিধার কারণে পেনসিল হিল পরতে পারেন না, তাঁরা ফ্যাশনেবল ওয়েজেজ হিলগুলো বেছে নিতে পারেন।’
পাশ্চাত্য ধাঁচের জুতাগুলোর মধ্যে বর্তমানে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে বক্স হিল, ওয়েজেজ হিল, ক্লোজড শুন, সেমি হিল, পাম্প বা ব্যালোরিনা শুে, পিপ-টো শুচ ইত্যাদি। এ ছাড়া এশিয়ান নাগরা বা কলাপুরি সান্ডেল তো আছেই।
পোশাকের সঙ্গে বিপরীত রঙের ব্যাগটি যদি হয় সাদার মধ্যে কালো রেখার, তাহলে আপনার হিল জুতাটি হতে পারে কালোর মধ্যে সাদা পলকা ডটের। আবার নীল রঙের ব্যাগের সঙ্গে নীলের বিভিন্ন শেড যেমন হালকা নীল, আসমানি, কালচে নীল বা কাছাকাছি রঙের জুতা বেছে নিতে পারেন। যদি অ্যানিমেল প্রিন্টের ব্যাগ নিয়ে থাকেন, তাহলে এর সঙ্গে কালো বা বাদামি রঙের জুতা বেশি মানাবে। লেদারের হ্যান্ডব্যাগ বা ক্লাচের সঙ্গে ক্যাজুয়াল অথবা ফরমাল লুক নিতে চাইলে পরতে পারেন প্রিন্টের পিপ-টো শুমজ।
রাতের বেলার জমকালো সাজের সঙ্গে ছোট ব্যাগ যেমন—ক্লাচ নিতে পারেন। সেই সঙ্গে বাকি সবকিছু মাথায় রেখে রঙিন, চোখধাঁধানো ওয়েজেজ হিল বা পেনসিল হিল পরতে পারেন। দিনের বেলায় বেশি সময় ধরে ঘুরতে বের হলে প্ল্যাটফর্ম ফ্লাট স্যান্ডেল বা ফ্লাট হিল বেছে নিতে পারেন।