ঝিনাইদহের মানুষের পাশে

গ্রামীণফোন ও প্রথম আলোর পক্ষ থেকে পাঠকের কাছে ভালো কাজের সত্য গল্প আহ্বান করা হয়েছিল। পাঠকের পাঠানো নির্বাচিত কিছু অভিজ্ঞতা প্রকাশিত হচ্ছে ‘ছুটির দিনে’র অনলাইন সংস্করণে।

ঝিনাইদহের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সংগঠনের নাম স্বপ্নবুনন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে আমরা নানাভাবে অবদান রাখার চেষ্টা করছি।

সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, দলিত, হরিজন এবং কামার সম্প্রদায়ের শিশুদের শিক্ষাবিস্তার, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, সামাজিক অধিকার নিশ্চিতকরণ, গ্রন্থাগার সেবা, বিজ্ঞানচর্চায় বিজ্ঞান ক্লাব, মাদকবিরোধী কর্মকাণ্ড, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, ঈদ-পূজায় অসহায় মানুষের মধ্যে নতুন পোশাক বিতরণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি।

প্রতিবছর বিনা মূল্যে ফলদ, বনজ ও ভেষজ গাছের চারা বিতরণের মাধ্যমে সবুজায়ন করা আমাদের অন্যতম অঙ্গীকার। আমরা পাঠাগার স্থাপন করেছি। এর মাধ্যমে যুবসমাজকে বইয়ের প্রতি আগ্রহী করে তোলার কাজ করছি। মাদকবিরোধী নানান কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাদকের কুফল সম্পর্কে অবহিত করি। এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে তাঁরাও বিভিন্ন পরামর্শ দেন। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে আমাদের দুটি স্কুল আছে, যেখানে শতাধিক ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করে। এ ছাড়া ছেলেমেয়দের পড়াশোনায় আগ্রহী করতে আমরা বিনা মূল্যে শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ করি।

করোনাকালে আমরা ‘ঘরে থাকুন, বই পড়ুন’ শিরোনামে একটি কর্মসূচি পরিচালনা করেছি। করোনাকালে মানুষ যেন অযথা বাইরে ঘোরাঘুরি না করে, ঘরে বসে বই পড়ে—এ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করেছি। সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডের বাইরেও বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপনের পাশাপাশি সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে আমাদের এই সংগঠন।

লেখক: সভাপতি, স্বপ্ন বুনন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, আরাপপুর পশ্চিমপাড়া, ঝিনাইদহ।