ঝুঁকিতে নাজিরহাট কাজিরহাট সড়ক

ফটিকছড়ির বিভিন্ন এলাকায় হালদা নদীর ভাঙন চলছেই। ইতিমধ্যে উপজেলার সুয়াবিল, হারুয়ালছড়ি, সুন্দরপুরসহ 
কয়েকটি গ্রামের অনেক বসতবাড়ি ও ফসলি জমি হালদার গর্ভে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে নাজিরহাট-কাজিরহাট সড়কটিও
হুমকির মুখে পড়েছে।
এলাকাবাসীর আশঙ্কা, এখনই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আগামী বছরের মধ্যে সড়কটির নাজিরহাট ডিগ্রি
কলেজসংলগ্ন অংশটি ভাঙনের কবলে পড়বে। এতে উপজেলার উত্তরাঞ্চলের অন্তত দুই লাখ মানুষ দুর্ভোগে পড়বেন।
নাজিরহাট ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আর কয়েক হাত ভাঙলেই হালদার পেটে পড়বে
সড়কের নাজিরহাট ডিগ্রি কলেজসংলগ্ন অংশটি।্রএতে বন্ধ হয়ে যাবে উপজেলার সঙ্গে উত্তর ফটিকছড়ির পাঁচ-ছয়টি
ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ।
সরেজমিনে দেখা যায়, নাজিরহাট ডিগ্রি কলেজসংলগ্ন নাজিরহাট-কাজিরহাট সড়কের ২০০ ফুটের বেশি অংশ হালদা
নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। হালদাপাড় থেকে সড়কের দূরত্ব মাত্র সাত-আট ফুট।
স্থানীয় লোকজন জানান, কয়েক বছর ধরে হালদার ভাঙনে সুয়াবিল ইউনিয়নের বৈদ্যরহাট, পূর্ব সুয়াবিল ও সুন্দরপুর
গ্রামের অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ও প্রায় ১০০ একর ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ভাঙন রোধে কোনো
পদক্ষেপ নেয়নি।
সুয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তালেব চৌধুরী বলেন, হালদার ভাঙনের মুখে পড়ে এলাকার অনেকে
সহায়-সম্পত্তি হারিয়েছেন। নাজিরহাট-কাজিরহাট সড়কটিও যেকোনো সময় তলিয়ে যেতে পারে। ভাঙন প্রতিরোধে উদ্যোগ
নেওয়া না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ভাঙনকবলিত অংশে জরুরি ভিত্তিতে বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। এ ছাড়া, ঝুঁকিতে থাকা নাজিরহাট-কাজিরহাট সড়কটি শিগগিরই মেরামতের উদ্যোগ
নেওয়া হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রামের বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আশরাফ জামান বলেন, উপজেলায় অনেক এলাকা ভাঙনকবলিত
হিসেবে চিহ্নিত। এটিও তার ব্যতিক্রম নয়। অর্থসংকটের কারণে কাজ করা যাচ্ছে না। অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে ভাঙন
রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।