টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজনাবিষয়ক কোর্স

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (বিসিটিআই) এক বছর মেয়াদি দ্বিতীয় ব্যাচে টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজনার ওপর প্রশিক্ষণ দেবে l ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (বিসিটিআই) এক বছর মেয়াদি দ্বিতীয় ব্যাচে টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজনার ওপর প্রশিক্ষণ দেবে l ছবি: সংগৃহীত

দেশে এখন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল রয়েছে প্রায় ২৫টিরও বেশি। আরও কয়েকটি চ্যানেল সম্প্রচারের অপেক্ষায় আছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মিডিয়া প্রোডাকশন হাউসগুলো। প্রায়ই এসব চ্যানেলে দক্ষ লোক প্রয়োজন হয়। আর দক্ষ হতে হলে নিতে হবে প্রশিক্ষণ। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (বিসিটিআই) এক বছর মেয়াদি দ্বিতীয় ব্যাচে টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজনার ওপর প্রশিক্ষণ দেবে বলে জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির উপপরিচালক মো. আবু সাদেক জানান, আগে এ কোর্সটি ছয় মাসের হলেও এবারই প্রথম কোর্সটি এক বছর মেয়াদি হবে। তাই যাঁরা টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে কাজ করতে চান, তাঁরা এ প্রশিক্ষণটি নিতে পারেন। আবেদন করতে হবে ৩১ আগস্টের মধ্যে।
প্রশিক্ষণের বিষয়াদি: বিসিটিআই যেসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে এর মধ্যে রয়েছে টেলিভিশনের ইতিহাস, ভাষা, নন্দনতত্ত্ব, চিত্রনাট্য, ভিডিওগ্রাফি, ক্যামেরা ও আলোকসম্পাত, শব্দ সংযোজন, সম্পাদনা, শিল্প নির্দেশনা, পরিচালনা, অভিনয়, উপস্থাপন, আর্কাইভিং, ডিজিটাল প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়সহ টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ পদ্ধতি বিষয়ে।
আবেদন প্রক্রিয়া ও যোগ্যতা: যাঁরা আবেদন করতে চান, আবেদনপত্রে প্রার্থীর নিজের নাম, বাবার নাম, মাতার নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, মুঠোফোন নম্বর প্রভৃতি উল্লেখ করে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, নাগরিকত্ব ও চারিত্রিক সনদ আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করে বিসিটিআইয়ের অফিসে সরাসরি বা ডাকযোগে জমা দিতে হবে। আর এই প্রশিক্ষণটি নেওয়ার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে ন্যূনতম স্নাতক পাস।
পরীক্ষা পদ্ধতি ও ভর্তি ফি: আবু সাদেক জানান, আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা হবে মোট ১০০ নম্বরে। বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান, টেলিভিশন সম্পৃক্ত ও সাম্প্রতিক বিষয়াবলি ইত্যাদি বিষয় থেকে প্রশ্ন থাকবে। যাঁরা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন, তাঁদের মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্য ২০ হাজার টাকা করে ভর্তি ফি নেওয়া হবে। দুটি সেমিস্টারে মোট ২৫ জন প্রার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আবু সাদেক আরও জানান, এই প্রশিক্ষণগুলো দেওয়া হবে সপ্তাহে পাঁচ দিন, সকাল নয়টা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত। আর প্রশিক্ষণগুলো দেবেন দেশের স্বনামধন্য টেলিভিশন চ্যানেলের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।
কাজের ক্ষেত্র ও সুযোগ-সুবিধা: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট থেকে টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজনার ওপর প্রথম ব্যাচে প্রশিক্ষণ নেন শাহ আলম জয়। তিনি ইতিমধ্যে কয়েকটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে কাজ করেছেন। যাঁরা টেলিভিশনে কাজ করতে চান, তাঁদের জন্য এই কোর্সটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান জয়। তাঁর মতে, এই প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশের টিভি চ্যানেলগুলোতে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সার হিসেবেও চ্যানেলগুলোতে কাজ করার সুযোগ আছে। এ ছাড়া বিভিন্ন মিডিয়া প্রোডাকশন হাউসে কাজ করেও আয় করা যাবে। বর্তমান সময়ে অনুষ্ঠান নির্মাণের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই অনুষ্ঠান তৈরি করে বিভিন্ন চ্যানেলে তা প্রচার করেও ভালো অর্থ উপার্জন করা যায় বলে জানান জয়। বর্তমানে চ্যানেলগুলোতে খণ্ডকালীন কাজেরও সুযোগ রয়েছে।
আরও জানতে: এই প্রশিক্ষণ-সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন নিচের ঠিকানায়। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট, অস্থায়ী কার্যালয়: জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট, ১২৫/এ, দারুস সালাম, এ ডব্লিউ চৌধুরী রোড, ঢাকা ১২১৬। এ ছাড়া ভিজিট করতে পারেন www.bcti.gov.bd এই ঠিকানায়।