ডাইনিং সেজে উঠুক হাতিলের আসবাবে

ব্যস্ত জীবনে পরিবারের সবার সঙ্গে একত্র হওয়ার সুযোগ আসে ডাইনিংরুমে। সারা দিন নানাবিধ কাজের পর আর ছুটির দিনে খাবারের টেবিলেই জমে গল্প, আড্ডা। এ ছাড়া বাড়িতে অতিথি এলে বা কোনো অনুষ্ঠান থাকলে খাওয়াদাওয়া তো জমজমাট হবেই, এ ক্ষেত্রেও ডাইনিং স্পেসই বেশি প্রাধান্য পায়। ডাইনিংরুমে শুধু ডাইনিং টেবিল ও চেয়ারই থাকে না, ফ্যাশনসচেতন মানুষেরা রুমটি সাজিয়ে তোলেন বিভিন্ন ফার্নিচার দিয়ে। আর ডাইনিংরুমের জন্য রুচিশীল সব ধরনের ফার্নিচারের সমাহার রয়েছে ফার্নিচারের দেশি ব্র্যান্ড হাতিলে।
ডাইনিং টেবিলই মূলত ডাইনিংরুমের প্রধান আসবাব
ছবি: সংগৃহীত

ডাইনিংরুম সাজানোর যত আয়োজন

ডাইনিং টেবিলই মূলত ডাইনিংরুমের প্রধান আসবাব। এর পাশাপাশি হাতিলের রয়েছে ডাইনিং চেয়ার, ডিনার ওয়াগন, শোকেজ, টি–ট্রলি, মিনি ক্যাবিনেট, ওপেন সেলফ ইত্যাদি।
হাতিলে রয়েছে বিভিন্ন সাইজের ডাইনিং টেবিল। চার, ছয় ও আট—এই চার ধরনের আসনের ডাইনিং টেবিল পাওয়া যায় হাতিলে। হাতিলের পরিচালক শফিকুর রহমান বলেন, ‘গ্রাহকদের রুচিবোধের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিই আমরা। অত্যাধুনিক ডিজাইন ও নিখুঁত নির্মাণশৈলীর জন্য হাতিলের ডাইনিং টেবিলগুলো গ্রাহকদের বেশ পছন্দের। হাতিল থেকে আলাদাভাবে শুধু ডাইনিং টেবিল ও চেয়ার কেনার সুযোগ রয়েছে।’
হাতিলের কাঠ কোথা থেকে আসে?

উড, ইঞ্জিনিয়ারিং উড ও এমডিএফ বোর্ড—এই তিন ধরনের উপকরণ দিয়ে হাতিলের ডাইনিংরুমের ফার্নিচার বানানো হয়। কিছু কিছু ডাইনিং টেবিলে মেটাল ও গ্লাসও ব্যবহার করা হয়।
শফিকুর রহমান জানান, ইঞ্জিনিয়ারিং উডগুলো তাঁরা নিজেরাই তৈরি করেন। আর সলিড উড জার্মানি থেকে আমদানি করেন। আমদানি করা কাঠগুলো এফএসসি (ফরেস্ট স্টুয়ার্ডশিপ কাউন্সিল) থেকে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। হাতিলের ফার্নিচার তৈরির জন্য নির্দিষ্ট বন থেকে কাঠ সংগ্রহ করা হয়। সেগুলো পরে প্রক্রিয়াজাত করে দেশে আনা হয়। ফার্নিচার বানাতে বাংলাদেশের কোনো কাঠ ব্যবহার করে না হাতিল।

হাতিলের ডাইনিংরুমের সব ফার্নিচারই রুচিশীল ও অত্যাধুনিক ডিজাইনের সমন্বয়ে তৈরি
ছবি: সংগৃহীত

হাতিলের ডাইনিংরুমের সব ফার্নিচারই রুচিশীল ও অত্যাধুনিক ডিজাইনের সমন্বয়ে তৈরি। হাতিলের ফার্নিচার কেবল পরিবেশগতভাবে টেকসই নয়, এটি আলট্রাভায়োলেট রশ্মির বিকিরণ থেকেও সুরক্ষিত। হাতিলে এমন কিছু ডাইনিং টেবিলের সেট রয়েছে, যেগুলো চমৎকার ভিনটেজ বার্নিশের। আলতোভাবে হেলান দেওয়া ছয়টি আসনের সমন্বয়ে তৈরি এই সেটগুলো সবার নজর কাড়তে বাধ্য।

কেমন দাম?

সর্বনিম্ন ৫৮ হাজার ৩৩০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৪৩ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে হাতিলের ডাইনিংরুমের ফার্নিচার। আলাদাভাবে চেয়ারের দাম ২ হাজার ৮৫০ টাকা থেকে শুরু, সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ১৫০ টাকা। ডিনার ওয়াগনের দাম ৭৩ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ১৪ হাজার ২৮৫ টাকার মধ্যে। শোকেস পাওয়া যাবে ২২ হাজার ৪৬৮ থেকে ৪৯ হাজার ৫০ টাকার মধ্যে। মিনি ক্যাবিনেটের দাম ৩৩ হাজার ৭৫০ থেকে ৪৫ হাজার ১২৫ টাকার মধ্যে। টি–ট্রলির দাম ১১ হাজার ৭০০ থেকে ১৮ হাজার ১৯৩ টাকার মধ্যে।

আলাদাভাবে শুধু ডাইনিং টেবিল ও চেয়ার কেনার সুযোগ রয়েছে
ছবি: সংগৃহীত

বিক্রয়োত্তর সেবা

হাতিলের সব ফার্নিচারে রয়েছে এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা (ওয়ারেন্টি)। ক্রেতারা চাইলে বাসায় গিয়েও হাতিল এই সেবা দেয়। গ্রাহকের ব্যবহারের কারণে যদি সমস্যা হয়, সেটাও হাতিলের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট মজুরির বিনিময়ে ঠিক করে দেওয়া হয়। একই সুবিধা রয়েছে বিক্রয়োত্তর সেবার সময় শেষ হয়ে গেলেও।

ঈদ অফার

প্রতিবারের মতো এবারের ঈদেও আকর্ষণীয় অফার দিয়েছে হাতিল। ‘উৎসবে চাই নতুন ফার্নিচার’ শিরোনামে এ অফারে হাতিলের সব পণ্য পাওয়া যাবে ৫ থেকে ১০ শতাংশ ছাড়ে।

ঈদ উপলক্ষ্যে হাতিলের সব পণ্য পাওয়া যাবে ৫ থেকে ১০ শতাংশ ছাড়ে
ছবি: সংগৃহীত

ইএমআই সুবিধা

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেও কেনা যাবে হাতিলের ফার্নিচার। হাতিলের সঙ্গে ১৮টি ব্যাংকের ইএমআই সুবিধা রয়েছে। ৩ থেকে ১২ মাসের শূন্য শতাংশ সুবিধায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে হাতিলের পণ্য কিনতে পারবেন ক্রেতারা। এ ছাড়া প্রাইম ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে হাতিলের ফার্নিচার কিনলে থাকছে ক্যাশব্যাক অফার।
সারা দেশে ৭৪টি এবং দেশের বাইরে ২০টি শোরুম রয়েছে হাতিলের। এ ছাড়া গ্রাহকেরা হাতিলের ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেজ থেকেও ডাইনিংরুমের আসবাব কিনতে পারবেন।