তুমি সত্যিই অপরূপ

পাঠকের সুখ–দুঃখ, হাসি–আনন্দ, পছন্দ, ভালোলাগা, ভালোবাসাসহ যে কোনো না বলা কথা শুনতে চায় মনের বাক্স। প্রতি সপ্তাহে পাঠকের পাঠানো সেসব লেখা থেকে নির্বাচিত কিছু লেখা আজ প্রকাশিত হলো এখানে

মনের বাক্স

তুমি সত্যিই অপরূপ

সেদিন রাতে তোমার দিকে প্রথম যখন তাকিয়েছিলাম, তখন মনে হচ্ছিল আমার সামনে একটা সাদা পরি দাঁড়িয়ে আছে। সাদা পোশাক আর গোলাপি লিপস্টিকে তোমাকে সত্যিই ভালো লাগে। তোমার ঠোঁটজুড়ে মুচকি হাসি যেন আমাকে মুগ্ধ করে বারবার। আমি সেদিন আড়াল থেকে তোমাকে যতক্ষণ দেখেছি, একবারও চোখ সরাতে ইচ্ছা করে না।

যতই তোমাকে দেখছিলাম ততই মনে হচ্ছিল আরেকটু দেখি। তুমি যখন কথা বলছ, তোমার গালে টোল পড়ছে, আহ্ কী অপূর্ব! তোমাকে বারবার দেখতে ইচ্ছা করে। ভাইয়ার বিয়ের সেই রাতে তোমার কণ্ঠে আমার নামটা শুনে সত্যি খুব ভালো লেগেছিল। মৌমিতা, তুমি সত্যিই অপরূপ।

সোহানুর রহমান, শিক্ষার্থী, বলদিয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়

চাহিবার নেই তো শেষ

কত করে চেয়েছি তোমায়। কত বাহানায় চেয়েছি। কতবার করেছি প্রোপোজ। তুমি নানা অজুহাতে ফিরিয়েছ আমায়। সেদিন রাতে তোমাকে পাঠানো মেসেজগুলোয় আমার মনের কথাই ছিল। কিন্তু ভোররাতে কথাগুলোকে অন্য মানুষের বলে চালিয়ে নিতে হয়। তোমাকে চাই সব সময়। পারো নাকি তুমি আসতে আমার এই ধুলাবালুর শহরে?

বাবলু হক

তোমার নামের প্রথম অক্ষর হোক তোমার মতো

ভোরের আবছা আলো যখন জানালা ছেদ করে ঘরে ঢোকে, আমি ঘুমের ঘোরেই ডান হাতে তোমার বালিশে স্পর্শ করি। না, তুমি পাশে নেই। তোমার শূন্যতাকে সঙ্গী করেই জেগে উঠি রোজ। আজকাল আমার মাঝে বেশ পরিমিতিবোধ তৈরি হয়েছে। তোমার শূন্যতা আমাকে যে কতটা শক্তি দিয়েছে, তা কখনো প্রকাশ করা হয় না, হবেও না।

আমার সব চাওয়াকে বিসর্জন দিতে পারি আজকাল। এই যে দীর্ঘ প্রতীক্ষার প্রহর! সবশেষে যদি এক বৃষ্টিভেজা বিকেলে ভিজতে ভিজতে উল্লাস করতে পারি, তা–ই বা কম কী। অপেক্ষার হৃদ্‌কম্পন ভুলে যেতে এক বিকেলই তো যথেষ্ট। আমি চাই, তোমার ছোট ছোট ইচ্ছাগুলো পূরণ হোক। তোমার টেবিলের ডান পাশে থাকা ডায়েরিতে লেখা থাকুক সঞ্চিত স্বপ্নগুলো। আর তোমার নামের প্রথম অক্ষর হোক তোমার মতোই মায়াবী। অপেক্ষার দেয়ালের আড়ালে তোমাকে ঘিরে থাকে কতই না অনুভূতি। এক আকাশ দূরত্বের মাঝখানেও কী মায়াজাল।

রেদ্বওয়ান মাহমুদ, সিলেট

বেস্ট ফ্রেন্ড

শোন না।

বল।

আচ্ছা, আমি কি তোর বেস্ট ফ্রেন্ড?

হঠাৎ এমন প্রশ্ন?

বল না...

হুমায়রার এমন প্রশ্নে আমি রীতিমতো স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। ওর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল মাস ছয়েক আগে। অনার্সের নিবন্ধন করতে গিয়ে। এরপর থেকে রোজ ফেসবুকে কথা হয়। যদিও সামনাসামনি দেখা মাত্র একবারই। তবু এত অল্প দিনে এতটা মিশে যাব, ভাবতেই কেমন যেন অবাক লাগে। ওর সঙ্গে যখন কথা হয়, বেশির ভাগ সময়ই হয় ঝগড়া। ওকে খেপাতে আমি যেন আলাদা এক আনন্দ পাই।

ইতিহাসের ছাত্রী সে, আমি যদিও গণিতের ছাত্র। অনার্সে ভর্তি হওয়ার পর ক্লাস তেমন একটা করা হয়নি বলেই হয়তো ডিপার্টমেন্টে আমি এক অপরিচিত মুখ। যদিও এখন অনেকের সঙ্গেই বন্ধুত্ব হয়ে গেছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে তেমন একটা মেশা হয় না, কথাও হয় না। স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গেও আর আগের মতো করে কথা হয় না। একাকিত্বই আমার ভীষণ আপন আজকাল।

আর সেই একাকিত্বে আমার একমাত্র বন্ধু হুমায়রা। ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ কাকে বলে আমার জানা নেই। তবে তোর সঙ্গে কথায় কথায় ঝগড়া করা। অনলাইনে না থাকলে খারাপ লাগা, অপেক্ষা করা। মেসেজের রিপ্লাই দিতে দেরি হলে মন খারাপ হওয়া। আর নিজে মেসেজ করলে সবকিছু ফেলে রিপ্লাই দেওয়া। এসবকে কী বলে, সেটাও আমার অজানা।

আকাশ মুহাম্মাদ, হবিগঞ্জ