দরকারি বাসনকোসন

খাবার রান্না ও পরিবেশনের জন্য চাই সুন্দর বাসনকোসন
ছবি: প্রথম আলো

লকডাউনে বাসায় আছেন বেশির ভাগ মানুষ। আর তাই নানা ধরনের খাবার তৈরি হচ্ছে বেলায় বেলায়। আসছে পবিত্র রমজান। তাই সাহ্‌রি থেকে ইফতার—নিত্যনতুন খাবার তৈরি ও পরিবেশনকে কেন্দ্র করে প্রয়োজন হয় অতিরিক্ত বাসনকোসন, হাঁড়ি–পাতিল, কড়াই, ননস্টিক প্যান, প্রেশার কুকার। এই সময়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন তৈরি হবে, সেগুলো পরিবেশনও করতে হবে নানা ধরনের তৈজসপত্রে। ডালের চামচ দিয়ে যেমন ভাজি তোলা মুশকিল, তেমন বেশি ছড়ানো পাত্রে মাংস রান্না করা কঠিন। তাই যেমন রান্না, দরকার পড়বে তেমন পাত্রের। পরিবেশনের বেলাতেও সেই একই পরামর্শ।

ভিন্ন ভিন্ন রান্না করার জন্য আলাদা ধরনের বাসনকোসনের দরকার হয়। খাবারকে দ্রুত সেদ্ধ করতে প্রেশার কুকার, ভাজাভুজিতে কড়াই, তাওয়া আর ননস্টিক ফ্রাইপ্যান বেশ কাজের। রাঁধুনির রান্নার সুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে বাজারে নিত্যনতুন হাঁড়ি–কড়াই, ক্রোকারিজ, ননস্টিক প্যান, সসপ্যান, বড় ডেকচি, প্রেশার কুকার, তাওয়া ইত্যাদি পাওয়া যায়। ছোট থেকে বড় নানান মাপের হাতলওয়ালা থেকে শুরু করে হাতল ছাড়া, ঢাকনাসহ ও ঢাকনা ছাড়া এবং নানান নকশার ও মাপের রান্নার উপকরণ বাজারজুড়ে ছড়িয়ে আছে। সুবিধার সঙ্গে সঙ্গে এসব পাত্র রান্নার সময়ও বাঁচাবে। অনেক সময় রান্নায় তেল–মসলাও কম দরকার হয় পাত্রের গুণে।

রান্না চুলায় বসিয়ে খুন্তি হাতে নিয়ে সচেতনভাবে দাঁড়িয়ে থাকার দায়িত্ব কিছুটা কমে যায় ননস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে। কারণ, ননস্টিকে রান্নার ফলে খাবার পাত্রের সঙ্গে লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কম। তবে সে ক্ষেত্রে রান্নার আঁচ খুব বেশি না বাড়িয়ে মাঝারি বা মৃদু রাখাই ভালো।

ঢাকা নিউমার্কেটের বাবুল স্টোরের বিক্রেতা আবদুল্লাহ জানান, ‘অ্যালুমিনিয়ামের পাতিলের সাইজ ১৬ থেকে ৩৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। কড়াই আকৃতিভেদে শূন্য থেকে শুরু করে ১০ নম্বর মাপের। তাওয়া পাওয়া যাবে নরমাল ও হাই—দুই ধরনের। স্টিলের সসপ্যান পাওয়া যাবে ১ থেকে ১০ নম্বর অনুযায়ী। প্রেশার কুকার পাওয়া যাবে দুই লিটার থেকে সাড়ে আট লিটার পর্যন্ত। যার বাড়িতে মানুষ যত বেশি, সেভাবেই বুঝে কিনতে হবে এসব পণ্য।

বাজারে মিয়াকো, আরএফএল, কিয়াম, ম্যাজিকসহ কয়েকটি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন আকারের ননস্টিকের রান্নাসামগ্রী পাওয়া যায়। প্রেস্টিজ, হকিন্স, কিয়াম, ওয়ালটন, মিয়াকো ব্র্যান্ডের প্রেশার কুকার জনপ্রিয়। কিছুটা কম খরচে মিলতে পারে নন-ব্র্যান্ডের রান্নাবান্ধব পণ্য। আর পরিবেশনপাত্র হিসেবে এখনো জনপ্রিয়তায় আছে সিরামিক পণ্য। এ ছাড়া কাচ, পাইরেক্স থেকে শুরু করে মাটি, কাঠ ও বাঁশের তৈজসও আছে ব্যক্তিভেদে পছন্দের তালিকায়। মুন্নু সিরামিকস, শাইনপুকুর, নাসির, প্যারাগন ছাড়াও নানান ব্র্যান্ডের তৈজস মিলবে বাহারি আকার ও নকশার। থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, চায়নার নানা ধরনের তৈজসপত্র মেলে দেশের বিভিন্ন বাজারে। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, খুলনার নিউমার্কেট, রাজশাহী, বগুড়া, সিলেটসহ বড় শহরে মিলবে দেশ–বিদেশের তৈজস।

ঢাকার মধ্যে নিউমার্কেট, মৌচাক, গুলশান-১ নম্বর মার্কেট, মিরপুর, গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম মার্কেটসহ প্রতিটি এলাকাতেই মিলবে এসব জিনিস। এ ছাড়া সুপারশপগুলোতে গেলেও মিলবে এক ছাদের নিচে সব প্রয়োজনীয় সামগ্রী। স্বপ্ন, আগোরা, মীনাবাজার, ইউনিমার্ট তাদের প্রতিটি শাখায় পসরা সাজিয়েছে এমন পণ্যের। সরাসরি গিয়ে বা অনলাইনে অর্ডার করলেই মিলবে দরকারি রসুইঘরের কেজো অনুষঙ্গ। আইফেরি ডটকম, তৈজসপত্র, আমার বাজার ডটকম, দারাজ, ই–ভ্যালি, আজকের ডিলসহ বিভিন্ন অনলাইন দোকানে ফরমাশ দিলে বাসায় চলে আসবে অনলাইন শপের সাজানো অন্দর থেকে আপনার দুয়ারে।