দিনে গড়ে ১৪ সেলফি!

কিম কারদাশিয়ান সেলফি তুলতে মগ্ন। এদিকে হাতি এসে তাঁকে প্রায় আক্রমণ করে বসছে। এ সেলফিটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়েছে।
কিম কারদাশিয়ান সেলফি তুলতে মগ্ন। এদিকে হাতি এসে তাঁকে প্রায় আক্রমণ করে বসছে। এ সেলফিটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়েছে।

সেলফি তোলাকে কেউ বলেন হাল আমলের উন্মাদনা কেউবা বলেন ‘আসক্তি’। তবে যে যাই বলুন না কেন, তরুণেরা যে সেলফি ভক্ত তা গুগলের সাম্প্রতিক এক গবেষণাতেই দেখা গেছে। গোটা বিশ্বের তরুণ-তরুণীরা এখন প্রতিদিন গড়ে ১৪টি করে সেলফি তোলে বলেই জানিয়েছে গুগল।
তরুণ প্রজন্মের ইন্টারনেট ব্যবহারের অভ্যাস নিয়ে গুগল সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দিনে ১১ ঘণ্টা বা তার চেয়েও বেশি সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করে দিনে গড়ে ১৪টি সেলফি তোলে তারা, পাশাপাশি ১৬টি ছবি বা ভিডিও ধারণ করে, ২১ বার সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে যায় এবং ২৫টি বার্তা আদান-প্রদান করে।
অন্যদিকে, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে গড়পড়তা দৈনিক চারটি ছবি বা ভিডিও ও দুইয়ের সামান্য বেশি সেলফি তোলার হার দেখা গেছে। গড়পড়তা কিশোরদের ক্ষেত্রে দৈনিক গড়ে ছয় দশমিক নয়টি ছবি বা ভিডিও ও চার দশমিক সাতটি সেলফি তুলতে দেখা যায়।
এ ছাড়াও সারা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রের তারকা ও রাজনীতিকেরা সেলফি তুলে নিজেদের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টাম্বলারে পোস্ট করে থাকেন।
সবচেয়ে জনপ্রিয় সেলফির মধ্যে রয়েছে এলেন ডিগেনার্সের অস্কার সেলফি, মার্স রোভারের সেলফি, কিম কারদাশিয়ানের সেলফি প্রভৃতি।
এদিকে বিশ্বময় সেলফির এই উন্মাদনা নিয়ে অনেক গবেষক আবার সেলফি তোলা ‘মানসিক সমস্যা’ কিনা সে বিষয়টি নিয়েও গবেষণা করছেন। পক্ষে বিপক্ষে যত গবেষণাই হোক না কেন, সেলফি যে প্রবলভাবে আমাদের সবার জীবনেই জাঁকিয়ে বসেছে তা অস্বীকারের কোনো উপায় আর নেই।