
ঈদের জামা কেনা হয়েছে। এবার দরকার নতুন জুতা। মেহবুবা আলম এলিফ্যান্ট রোডে ঘুরছিলেন জুতা কেনার জন্য। বললেন, ‘কয়েক বছর আগেও জুতায় এত কালারফুল নকশা খুব একটা দেখা যেত না। এখন জুতার কত ডিজাইন! সব জুতাই কমবেশি স্টোন দিয়ে কাজ করা।’
ফুলেল নকশা, পাথর, পুঁতি, নানা কারুকাজ আর বাহারি রঙে এবারের ঈদে শুধু জামা বা শাড়ি নয়, জুতাও হয়ে উঠেছে জমকালো। তাই ব্যবহারে আরামদায়ক সেই সঙ্গে উজ্জ্বল রঙের জুতা খুঁজছে মেয়েরা। আর ছেলেদের পছন্দ স্লিপার। বিক্রেতারা বলছেন, কালো-বাদামি-লালের মতো প্রচলিত রঙের বাইরে গিয়ে উজ্জ্বল নীল, হলুদ, বেগুনি, গোলাপি রঙের প্রতি ক্রেতাদের ঝোঁক বেশি।
এলিফ্যান্ট রোডের এক জুতার দোকানি বললেন, দু-তিন বছর ধরে জুতায় কারুকাজ বেড়েছে। এখন উঁচু, নিচু গোড়ালির বা সমান্তরাল সব ধরনের জুতাতেই কমবেশি জমকালো নকশা করা হচ্ছে।
ব্যাংককর্মী জান্নাতুল ফেরদৌস মাকে সঙ্গে নিয়ে জুতা কিনতে এসেছেন বসুন্ধরা সিটির ‘বাটা’য়। কী ধরনের জুতা খুঁজছেন জিজ্ঞেস করলে বলেন, ‘চাকরি যেহেতু করি, স্বাচ্ছন্দ্যের কথা চিন্তা করতে হয়। আবার একটু ফ্যাশনেবলও হতে হবে।’
বাটায় ঘুরে দেখা গেল, মেয়েদের ঈদের জুতাগুলো সব বাহারি রঙের। যে পুঁতি, পাথর এত দিন শাড়ি-জামার কারচুপিতে ব্যবহার হতো, তা এবার জুতায় জায়গা করে নিয়েছে। উঁচু থেকে শুরু করে মাঝারি ও নিচু সমান্তরাল সব জুতাতেই চুমকি, পুঁতি, পাথর নকশা করা হয়েছে।
ঈদে পাঞ্জাবির সঙ্গে স্লিপার না হলে চলে না। তার ওপর আবহাওয়াটাও গরম। এবার তাই কিছুটা খোলামেলা নকশার স্লিপারই ছেলেদের পছন্দ। জুতার দোকান ‘অ্যাপেক্স’-এর বিক্রয়কর্মী মো. আলামিন বলেন, পাঞ্জাবির সঙ্গে দুই ফিতা ও পেছনে বেল্ট দেওয়া স্লিপার চলছে বেশি। তবে জুতার মধ্যে সামনে কিছুটা সরু নকশার জুতাও বেশ চলছে বলে জানালেন। জুতার ব্র্যান্ড ‘ওরিয়ন’-এ পাওয়া যাচ্ছে স্লিপার ছাড়াও বিভিন্ন রঙের লোফার।
এবারের ঈদুল ফিতর আষাঢ় মাসে। বৃষ্টি-কাদা-পানির কথাও তাই মাথায় রেখেছে জুতার ব্র্যান্ডগুলো। অ্যাপেক্স রাবার সোলের জুতা এনেছে। কিছুটা উঁচু। ওরিয়নে পাওয়া যাচ্ছে ‘পলিইউরিথিন’ এর ব্যালেরিনা শু ও রাবার সোলের জুতা। বসুন্ধরা সিটির আউটলেট ম্যানেজার আবদুল মালেক বলেন, বর্ষার সময় হওয়ায় এ জুতা বেশি চলছে।