অনুষঙ্গ
নাকফুল শিউলি ফুল
নাকের নথ সাজের অনুষঙ্গ হিসেবে জনপ্রিয় অনেকদিন ধরেই।কিছুদিন পরপর অবশ্য নকশায় চলে আসে নতুনত্ব। এখন যেমন শিউলি ফুলের সময়, নাকফুলেও চলে এসেছে সেই নকশার ধারা
‘শিউলি ফুলের মালা দোলে শারদ-রাতের বুকে ঐ
এমন রাতে একলা জাগি সাথে জাগার সাথি কই।’
শরৎকাল এলেই কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার লাইন দুটি মনে পড়ে যায়। গাছজুড়ে সাদা শিউলি আর সকালে আলো ফোটার আগেই শিউলিবৃষ্টি।
ছোটবেলার স্মৃতিতে শিউলি মানেই ফুল তুলে মালা গাঁথা। এরপর সেটা হয়ে যেত সাজের অনুষঙ্গ। কখনো গলায়, কখনোবা হাতে। এ সময়ে শিউলির একটু ছোঁয়া থাকুক না সাজে। সাদা-কমলা রঙের এই ফুলের আদলের নাকফুল বা নথই নাহয় চেহারার শোভা বাড়াল।
নাকের নথগুলো পুরোপুরি কাঠের হয় না। পাতলা একধরনের বোর্ড কেটে আকার দেওয়া হয় ফুলের। এরপর রংতুলির ছোঁয়ায় ফোটানো হয় শিউলি ফুল। অ্যাক্রিলিক রং ব্যবহারের পর ওপরে দেওয়া হয় একধরনের বার্নিশ। এতে রঙের স্থায়িত্ব বাড়ে আর চকচকে ভাবও আসে। নথের আংটা তৈরি হয় একেবারে হাতেই। গাম দিয়ে নথে আটকে দেওয়া হয়। এমনটাই জানালেন দেশি ফ্যাশনের অনলাইন দোকান বাঙালির স্বত্বাধিকারী ও টিপশিল্পী ঊর্মি রহমান।
কিন্তু কাপড় বা ফোমের উপাদান নয় কেন? এ দুই উপাদানে নাকফুল সুন্দর দেখা গেলেও সহজে ধুলা জমে যায়। পানি দিয়ে পরিষ্কারও করা যায় না। অন্যদিকে কাঠের নথ চাইলেই পানি দিয়ে পরিষ্কার করা সম্ভব। ওপরের বার্নিশের কারণে রংও নষ্ট হয় না। নাকজুড়ে নথ পরলে সাজে চলে আসে বাঙালি আমেজ। কৃত্রিম ফুল হলেও হঠাৎ দেখে মনে হবে, সত্যিই বুঝি নাকজুড়ে শিউলি ফুল।
তবে মুখের আকার বুঝে নথ পরার পরামর্শ দিলেন ঊর্মি রহমান। ছোট মুখের আকৃতির সঙ্গে ছোট বা মাঝারি নথ পরাই ভালো। যাঁদের মুখ কিছুটা আকারে বড়, চাইলে নাকজুড়ে ফুলের কোনো নথ পরে ফেলতে পারেন। অনলাইন পেজ তাহিতী, বাঙালি, কাঠের শহর, অনূঢ়া, কাঠের মলাটসহ অনেক গয়নার দোকানেও পেয়ে যাবেন কাঠের ফুলের নথ।