
বাঙালির জীবনে অনেক কিছুর সঙ্গেই জড়িয়ে আছে গামছা। গানবাজনা থেকে শুরু করে স্নান শেষে গা মুছতে, চুল ঝাড়তে কত কিছুতেই না গামছার ব্যবহার। এখনো গামছার চাহিদা কমেনি। যুগের হাওয়ায় পেয়েছে ভিন্ন মাত্রা। এই গরমে গামছা স্বস্তিই দেবে।

আড়াই হাতের গামছা থেকে এখন ১২ হাত দৈর্ঘ্যের গামছা-শাড়ি পাওয়া যায়। ওড়না, ঘর সাজানোর টুকটাক এমনকি ল্যাপটপ কম্পিউটার বয়ে বেড়ানোর ব্যাগেও স্থান করে নিয়েছে গামছা। জানালেন বিবি প্রোডাকশনসের ব্যবস্থাপক মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাঙালির পুরোনো ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে গামছা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নানা রূপ দেওয়া হচ্ছে। গামছা তৈরির কাপড়টাকে আরেকটু নরম করে গামছায় ব্যবহৃত রং এবং নকশার ধরন বজায় রেখে বানানো হচ্ছে শাড়ি, পাঞ্জাবি, শার্ট, ফতুয়া, ব্লাউজ, র্যা প স্কার্ট ও টুপি। এ ছাড়া এখন বানানো হচ্ছে জুতা, ঝুড়ি সেট, ঝোলা ব্যাগ, ল্যাপটপ ব্যাগ, পানির বোতল রাখার ব্যাগ, মোবাইল ব্যাগ, হাতের বালা ইত্যাদি।’
কথা হলো কেনাকাটা করতে আসা দম্পতি সুমিত্রা রায় ও সজল রায়ের সঙ্গে। তাঁরা বলছিলেন গামছা কাপড়ে একটা আরাম আছে। আর এর চমৎকার রং ও নকশা দেখে মনে হয় যেন উৎসব লেগে আছে।

ফ্যাশন হাউস যাত্রায় মিলবে গামছা কাপড় দিয়ে তৈরি টিস্যু বক্স, ল্যাম্পশেড, টেবিল রানার, জুয়েলারি বক্স, কুশন কভার, শতরঞ্জি, পেইন্টিং ফ্রেম, নোটবুক ইত্যাদি। আসাদ গেটের সোর্সে মিলবে গামছা শাড়ি, গামছা রুমাল, টেবিল ন্যাপকিন। এ ছাড়া নানা রকম গামছা ও শাড়ি মিলবে মোহাম্মদপুরে হ্যান্ড টাচসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে। আর গামছা তো পাওয়া যাবে প্রায় সব খানেই। এমনকি পথে চলতে চলতেও কিনতে পারা যাবে ফেরিওয়ালার কাছ থেকে। কয়েকটা বড় বড় গামছা দিয়ে হতে পারে জানালার পর্দা। ভিন্ন ধাঁচে তৈরি করা যেতে পারে বেডশিট, বালিশের কভার। গামছা জিনস, টি-শাটের সঙ্গে, ধুতি সালোয়ার ও টপের সঙ্গে মাথায় বেঁধে বা গলায় ঝুলিয়ে রেখেও পরতে পারেন বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে।