পুতুল বুড়ির পুতুলবাড়ি

শিশুর হাতে পুতুল শিশু, খেলনা না খেলার সাথি! শৈশবে খেলার সাথি খুঁজে পাওয়ার আগেই হয়তো পুতুলের সঙ্গে ভাব হয়। বেড়ে ওঠাও যেন পুতুল সঙ্গে নিয়েই। পুতুল সাজানো, পুতুলের ঘর বানানো, পুতুলের জন্য কত্ত কিছু! পুতুল খেলার দিনগুলো একসময় হারিয়ে যায়। কিন্তু কেউ কেউ কখনোই সেই দিনগুলো ভুলতে পারেন না। আবার কেউ অনেক বড় হয়েও পুতুলের জন্য ভালোবাসা জমিয়ে রাখেন।

আদিলা রোজেস হয়তো আরও অনন্য ব্যতিক্রম। কোস্টারিকার এই নারীর বয়স এখন ৭০। কিন্তু তাঁর পুতুল খেলার দিন যেন এখনো পেরোয়নি। ৫০ পেরোনোর পর যেন নতুন করে পুতুল খেলার দিনে ফিরে গেছেন আদিলা। ছোট্টবেলায় ইচ্ছে হলেই ইচ্ছেমতো পুতুল পাওয়া যেত না। কিন্তু বড় হয়ে পুতুল খেলার মজা তো এখানেই। চাইলেই নিজের মতো করে পুতুল কেনা যায়। পুতুল বানিয়ে নেওয়া যায়। বকা দেওয়ার কেউ নেই, বাধা দেওয়ার কেউ নেই।

গত ২০ বছর ধরে পুতুল জমাচ্ছেন আদিলা। একটার পর একটা পুতুল আনতে আনতে এখন আদিলার ছোট্ট বাড়িটাই হয়ে উঠেছে পুতুলবাড়ি। আলমারি, শোকেস, টেবিল, আলনা তো বটেই ঘরের দেয়াল, কার্নিশ এমনকি সিলিং জুড়েও খালি পুতুল আর পুতুল। পুতুল দিয়েই সাজানো, পুতুল দিয়েই গোছানো সবকিছু। আদিলার এই পুতুলবাড়িতে এখন ৪ হাজার ৫০০ পুতুল আছে!

নানা রঙের নানা ঢঙের পুতুল আছে আদিলার। হরেক রকম পুতুল জমানোর নেশায় তিনি ডুবে আছেন দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে। শত শত পুতুলের মধ্য থেকে কি আলাদাভাবে সব পুতুলকে চেনেন তিনি! জানেন কে কোথায় আছে! হয়তো চেনেন, হয়তো জানেন। কারণ এখনো নিজেই পুতুল সাজান তিনি। পুতুলের চুল আঁচড়ে দেন, পুতুলের জামা পাল্টে দেন, পুতুলকে জুতো পরিয়ে দেন। আর এভাবেই এই পুতুলবাড়িতে দিন কেটে যায় আদিলা রোজেস নামের এই পুতুল বুড়ির।

আরও পড়ুন: পুতুলের হাসপাতাল!