প্রয়োজনে পাশ ব্যাগ

তরুণদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পাশ ব্যাগ। মডেল: বিজু, ব্যাগ: বাটা, ছবি: নকশা
তরুণদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পাশ ব্যাগ। মডেল: বিজু, ব্যাগ: বাটা, ছবি: নকশা

কয়েক দশক আগে সৃষ্টিশীল মানুষের মধ্যে এক ধরনের পাশ ব্যাগের খুব প্রচলন হলো। কবিরা তাঁদের কবিতার খাতাটা কাঁধের পাশ থেকে ঝুলে থাকা তেমনি এক ব্যাগে নিয়ে ঘুরতেন, চিত্রশিল্পী তাঁর আঁকার অনুষঙ্গগুলো নিয়ে নিতেন। যিনি লেখালেখি করতেন, তিনি তাঁর প্রয়োজনীয় বই, খাতা, কলম সব রেখে দিতেন সেই ঝোলা মতন ব্যাগে। সময়ের পরিবর্তনে সে কাঁধের ঝোলা আর খুব একটা দেখা যায় না।  প্রয়োজন কখনো ফুরায় না। প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন এসেছে এই পাশ ব্যাগেও। স্মার্ট যন্ত্রগুলো চার্জ দেওয়ার জন্য পাওয়ার ব্যাংক, বাইকের চাবি, গাড়ির লাইসেন্স, অসংখ্য ডেবিট–ক্রেডিট কার্ড রাখাসহ প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো মানিব্যাগ কিংবা প্যান্টের পকেটে আর আঁটছে না। তাই প্রয়োজন মেটাতে ব্যাগের নকশা এবং আকারে পরিবর্তন হয়ে এসেছে আধুনিক পাশ বা পার্শ্ব ব্যাগ।

চামড়া থেকে শুরু করে জিনস, গ্যাবার্ডিন অনেক ধরনের উপাদানে তৈরি হয়ে থাকে এই ব্যাগ। বসুন্ধরা অ্যাপেক্সের জ্যেষ্ঠ ভান্ডার ব্যবস্থাপক শেখ শামীম বলেন, ‘তরুণদের কাছে খাঁটি চামড়ার তৈরি ব্যাগের কদর বেশি। এখানে বেশ কয়েকটি মাপের ব্যাগ পাওয়া যায় তার মধ্যে এফোর আকার, লিগ্যাল আকার এবং ল্যাপটপ আকার উল্লেখযোগ্য। প্রয়োজন ও ফ্যাশনের কথা মাথায় রেখে ব্যাগগুলোর নকশা করা হয়েছে। শুধু তরুণ নয় পেশাজীবীদের কাছেও পার্শ্ব ব্যাগ এখন দারুণ জনপ্রিয়।’   

ছবি: নকশা
ছবি: নকশা

পার্শ্ব ব্যাগ দেশের প্রায় সব বড় বিপণিবিতানে পাওয়া যায়। ইস্টার্ন প্লাজা, বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, নিউমার্কেটে পার্শ্ব ব্যাগের সম্ভার বেশি। বৈচিত্র্য এবং স্বতন্ত্রতা আনতে নিজেও ব্যাগের নকশা করে নিতে পারেন। ঢাকার রায়েরবাজার-হাজারীবাগে ফরমাশ দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন খাঁটি চামড়ার পার্শ্ব ব্যাগ। আড়ং এবং তাগা ম্যানেও পাওয়া যাচ্ছে চমৎকার সব ব্যাগ।

এই ব্যাগগুলোর যত্নের ব্যাপারটিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। চামড়ার ব্যাগ পরিচর্যার জন্য লেদার ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত একদিন ক্রিম ব্যবহার করলে ব্যাগ ভালো থাকবে। এ ছাড়া লেদার পলিশ ব্যবহারে ব্যাগ উজ্জ্বল দেখাবে। ব্যাগ দীর্ঘদিন ভালো রাখতে আগুন ও পানি থেকে দূরে রাখুন। ব্যাগ বৃষ্টি কিংবা কুয়াশায় ভিজে গেলে দ্রুত মুছে ফেলতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হালকা রোদে অথবা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় শুকিয়ে নিলে আপনার শখের ব্যাগটি বহুদিন ব্যবহারযোগ্য থাকবে।