ফেসবুক কর্নার

.
.

আমচোর
বিকেলবেলা, আম্মু আর আমি ঘরে বসে গল্প করছি। হঠাৎ টিনের চালে শব্দ। আম্মু আমাকে বললেন, ‘গিয়ে দেখ তো, কী হলো!’ দৌড়ে গিয়ে টিনের চালের ফাঁক দিয়ে দেখি, হাফপ্যান্ট পরা দুটি পা ঝুলে আছে! নিশ্চয়ই আম চুরি করতে এসেছে! এই মৌসুমে এটা নতুন কিছু নয়। প্রায়ই এমন চোরের দেখা মেলে। আগের রাতেও এসেছিল। পাশের বাড়ির আমগাছের বড় কয়েকটা ডাল আমাদের চালের ওপরে এসে পড়ায় এই অত্যাচার! চোর দেখে চিৎকার করে বললাম, ‘চোর! চোর! চোর!’ আশ্চর্যের বিষয়, চোরটা আমার চিৎকার শুনেও পালাল না! তবে আম না পেড়ে হয়তো ভয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল। কোনো সাড়াশব্দ নেই। আমি তখন পাশের বাড়ির লোকজনকে শুনিয়ে শুনিয়ে আরও জোরে বলতে লাগলাম, ‘ওদের আমের লোভে চোর আসে, আর আমাদের চালটার বারোটা বাজে! উফ্! কেউ চোরটাকে ধরে না কেন?’
আমার চিৎকার শুনে আম্মুও ততক্ষণে বাইরে চলে এসেছেন। বাইরে এসে আমাকে বললেন, ‘এটা তো মনে হয় চোর না! চোর হলে এতক্ষণে পালাত! ওদিকে গিয়ে দেখ তো!’ কথামতো আমি গেলাম দেখতে। গিয়ে চোরের মুখটা দেখে আমার আক্কেলগুড়ুম! চোরটা তো আসলে ওই আমগাছওয়ালা বাসার কর্তা নিজেই! হাফপ্যান্ট পরে দাঁড়িয়ে আছেন, হাতে কয়েকটা আম। ভদ্রলোক আমার দিকে তাকিয়ে লাজরাঙা মুখে বললেন, ‘আমগুলো পেকে যাচ্ছে তো...!’
তাজরিমা সুলতানা

স্মার্ট বানর
স্যার ক্লাস নিচ্ছিলেন। সমাজবিজ্ঞান ক্লাস। স্যার বরাবরের মতো বোরিং। পাহাড়ি এলাকার স্কুলে পড়তাম। আশপাশে বনজঙ্গল। ঘুম আসছিল অনেক। এক গাছে বানর লাফালাফি করছিল, তা–ই দেখছিলাম, ঘুম তাড়ানোর জন্য। বিষয়টা লক্ষ করে স্যার আমাকে দাঁড় করালেন। জানতে চাইলেন, এতক্ষণ কী পড়াচ্ছিলেন। মনোযোগ না থাকায় স্বাভাবিকভাবেই উত্তর দিতে পারলাম না। স্যার বললেন, ‘ক্লাসে মনোযোগ নেই, তাকিয়ে আছ বাইরে বানরের দিকে। পড়া পারবে কী করে! তুমি কি জানো যে বানরের দিকে তাকিয়ে আছ, সেটাও তোমার চেয়ে স্মার্ট? বলো তো কেন?’
উত্তর দিলাম, ‘স্যার, আমি আপনার ক্লাস করছি, আর বানর গাছে গাছে ঝুলছে, এ জন্য?’ জানি না কী হলো, দেখলাম বানরটা স্যারের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিল!
মোস্তফা মনোয়ার

.
.

মিকি মিকি মিকি
আমার ছোট্ট ভাগনি অর্ষা পড়ে কেজি ওয়ানে। সেদিন বাংলা ক্লাসে তার ম্যাডাম রচনা লিখতে দিয়েছেন। রচনার বিষয়বস্তু খুব সহজ, ‘তোমার পোষা বিড়াল’। ম্যাডামের শর্ত, রচনা লিখতে হবে ৩০ শব্দের মধ্যে, কমবেশি হলে চলবে না। বাকি সবার মতো অর্ষাও রচনা লিখেছে। কিন্তু অর্ষার রচনা দেখে ম্যাডামের তো আক্কেলগুড়ুম। কারণ অর্ষা লিখেছে, ‘আমার একটা পোষা বিড়াল ছিল। বিড়ালের নাম ছিল মিকি। একদিন বিড়ালটা হারিয়ে গেল। আমি হারিয়ে যাওয়া বিড়ালটাকে ডাকলাম, ‘মিকি, মিকি, মিকি, মিকি, মিকি, মিকি, মিকি, মিকি, মিকি, মিকি, মিকি, মিকি…!’
অর্পণ দাশগুপ্ত

গোসলের অঙ্ক
অনেক দিন পর গোসলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি দেখে বড় বোন জিজ্ঞেস করল, ‘কী ব্যাপার,
এত দিন পর গোসল করতে যাচ্ছিস যে?’
: অঙ্ক করলাম তো, তাই।

: অঙ্ক করে মাথা গরম হয়ে গেছে, এখন মাথা ঠান্ডা করবি?
: আরে, নাহ্! অঙ্ক করতে গিয়ে হিসাব করে দেখলাম, লাস্ট গোসল করেছি ১৭ দিন আগে!
ফারহান ইশরাক