বাজার আসবে ঘরে

করোনাকালের লকডাউন উঠে গেলেও অনেকে বাজারে গিয়ে কেনাকাটায় ভয় পাচ্ছেন। বিকল্প হিসেবে অনলাইনভিত্তিক দোকানগুলোকেই বেছে নিচ্ছেন ক্রেতারা। মুদিসামগ্রী, শাকসবজি, কাঁচা মাছ-মাংস থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁর মুখরোচক খাবার—সবই মিলছে অনলাইনে। শুধু ঘরে বসে এক ক্লিকেই প্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে যাচ্ছে ঘরের দোরগোড়ায়। একনজরে জেনে নেওয়া যাক আপনার প্রয়োজনীয় পণ্যটি কোথায় মিলবে?

চালডাল

কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদিসামগ্রীর ওয়ানস্টপ সেবা পাবেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান চালডালে। দিনের যেকোনো সময় চালডালের ওয়েবসাইট (www.chaldal.com) অথবা মুঠোফোনের অ্যাপের মাধ্যমে পছন্দের পণ্যটির ফরমাশ দিতে পারবেন। ন্যূনতম এক ঘণ্টার মধ্যেই ঢাকার নির্দিষ্ট কিছু পয়েন্টে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাজধানীজুড়ে বাড়িতে পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে তারা। এদিকে পণ্য হাতে পেয়ে মূল্য পরিশোধের সুবিধা ছাড়াও রয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং ও অনলাইন ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পণ্য কেনার সুযোগ।

নদীর মাছ ডটকম

রুই, কাতল, বোয়াল, চিংড়ি, আইড়, টেংরাসহ ছোট থেকে বড় বিভিন্ন ধরনের টাটকা মাছ পাবেন নদীর মাছ ডটকমে। এ ছাড়া দেশি মুরগিও পাবেন এই ওয়েবসাইটে (www.nodirmach.com)। বাড়িতে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য কোনো টাকা নিচ্ছে না প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় শুধু ঢাকা শহরে পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। সরাসরি ফোন করে (০১৭০৬৪৪৫৮৮৮) কিংবা নদীর মাছের মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে পণ্য ফরমাশ করারও সুযোগ রয়েছে।

বেঙ্গল মিট

গরু, খাসি, ভেড়া ও মুরগির প্রক্রিয়াজাত ও হিমায়িত মাংস মিলবে বেঙ্গল মিটে। হাড়সহ কিংবা হাড়ছাড়া মাংস, মাথার মাংস, কলিজা, মগজ ছাড়াও রয়েছে সসেজ, পিৎজা টপিংস, গরু–মুরগির বেকন, মুরগির চিজ কাবাবের মতো প্রক্রিয়াজাকৃত পদগুলো পাওয়া যাবে বেঙ্গল মিটে। সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টার মধ্যে চালডাল, ফুডপান্ডা, সহজফুড ও খাওদাও অ্যাপের মাধ্যমে পণ্য অর্ডার করতে পারবেন।

গোয়ালা

দুধ ও মিষ্টান্নজাত খাবারের জন্য গোয়ালা অন্যতম সেরা সমাধান। গাভির দুধ, দই, ক্ষীরসা, ঘি, সন্দেশ, রসমালাইসহ হরেক রকমের খাবার পদ। এ ছাড়া চাল, ডাল, ছোলা, আটা, চিনির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদিসামগ্রীও মিলবে এখানে। ঘরে বসে যেকোনো সময় ফরমাশ করতে পারেন গোয়ালার ওয়েবসাইটে (www.gowalafoods.com)। এ ছাড়া সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে সরাসরি ফোন করে (০৯৬৩৮৬৬৬৫৫৫) ফরমাশ জানাতে পারবেন। এদিকে করোনাকালীন সর্বোচ্চ গ্রাহকসেবা নিশ্চিতের জন্য অভিযোগ কেন্দ্র খুলেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ ক্ষেত্রে ফোন কল অথবা ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে ভোক্তারা নিজেদের অভিযোগের ব্যাপারে জানাতে পারবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।

সহজ

অনেকেই হয়তো ভুলতে চলেছেন রেস্তোরাঁর বার্গার কিংবা পিৎজার স্বাদ। তবে সহজফুড থেকে অর্ডার করে বাসায় বসে নিরাপদে খেতে পারবেন ঢাকার বিভিন্ন রেস্তোরাঁর সুস্বাদু সব খাবার। সহজের মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে বাসায় বসে ফরমাশ করতে পারবেন। এ ছাড়া মীনা বাজার, আগোরা, ইউনিমার্টসহ বিভিন্ন সুপারশপ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার এবং ওষুধসামগ্রী কিনতে পারবেন সহজ অ্যাপের মাধ্যমে।

পাঠাও

আপাতত রাইড শেয়ারিং সার্ভিস বন্ধ থাকলেও থেমে নেই পাঠাও অ্যাপের অন্যান্য সেবা। নিকটবর্তী রেস্তোরাঁগুলোর মুখরোচক খাবার, প্রয়োজনীয় ওষুধ, মোবাইল রিচার্জ ও কুরিয়ার সার্ভিস সুবিধা দিচ্ছে পাঠাও অ্যাপ। এ ছাড়া পাঠাও অ্যাপে নতুন সংযোজন হয়েছে পাঠাও টং ও পাঠাও শপ নামের দুটি সেবা। এই দুটি অপশনের মাধ্যমে এলাকার মুদি কিংবা টংদোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন নামীদামি সুপারশপ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জামাকাপড়, জুতা, প্রসাধনসামগ্রী, ব্যাগ ও ইলেকট্রনিক বিভিন্ন পণ্য কেনাকাটার সুবিধা রয়েছে।

সেবা এক্সওয়াইজেড

বর্তমান পরিস্থিতিতে বাড়ির নিত্যব্যবহার্য কোনো জিনিস নষ্ট হয়ে গেলে মাথায় হাত পড়ে যায়। ওভেন, এসি, ফ্রিজ, চুলা, ওয়াশিং মেশিনসহ বিভিন্ন রকম হোম অ্যাপ্লায়েন্স সারাইয়ের সেবা দিচ্ছে সেবা এক্সওয়াইজেড। এর পাশাপাশি তাদের রয়েছে হোম ক্লিনিং, পেস্ট কন্ট্রোল, লন্ড্রি ও মেয়েদের সৌন্দর্যসেবার সার্ভিস। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট (www.sheba.xyz) অথবা ১৬৫১৬ নম্বরে যোগাযোগ করে বাড়িতে বসেই উল্লিখিত যেকোনো সেবা নিতে পারবেন।