‘সিম্পলের মধ্যে গর্জিয়াস’—এক ঈদে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠা বাক্যটা মনে পড়ল। ক্রেতা নিজেও বোধ হয় জানতেন না, তিনি আসলে কী চান। বেচারা বিক্রেতা তাই পড়লেন মহাফ্যাসাদে। এমন পরিস্থিতি এড়াতে রোজকার জীবনের কেনাবেচার আদবকেতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ক্রেতার কেতা
কোন জিনিস কিনবেন, কতটা কিনবেন, আগেই নির্দিষ্ট করে নিন। সবচেয়ে ভালো হয় বাড়ি থেকে লিখে আনতে পারলে।
এক জায়গায় ভিড় না করে লাইনে দাঁড়ান। লাইন ভেঙে এগোবেন না।
ধাক্কাধাক্কি না করে একটু দূরত্ব বজায় রাখুন। কারও পথে বাধা হবেন না। নারীদের খুব কাছ ঘেঁষে পুরুষ ক্রেতা দাঁড়ালে বা চলাফেরা করলে তাঁরা অস্বস্তি বোধ করতে পারেন, বিষয়টি খেয়াল রাখুন।
সুপারশপে কার্ট রাখার সময় সচেতন থাকুন।
মেজাজ বিগড়ে গেলেও ভাষা প্রয়োগে সচেতন থাকুন। বিক্রয়কর্মীদের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করবেন না।
কাচের সামগ্রী বা সহজে নষ্ট হয়ে যায়, এমন কিছু স্পর্শ করার আগে বিক্রেতার অনুমতি নেওয়া বাঞ্ছনীয়। এগুলো স্পর্শ করতে সাবধানতা অবলম্বন করুন।
অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। হোক সুপারশপ বা কাঁচাবাজার, মাস্ক পরতেই হবে।
মূল্য পরিশোধের সময় মুঠোফোনে ব্যস্ত না থাকাই ভালো। খুচরা টাকার সমস্যা এড়াতে কার্ডভিত্তিক লেনদেন করতে পারেন।
শিশুদের না নেওয়াই ভালো। নিলেও তাকে আগে থেকেই আচরণবিধি শিখিয়ে রাখতে চেষ্টা করুন।
ক্ষুধার্ত অবস্থায় কেনাকাটা করা উচিত নয়। ক্ষুধায় মেজাজ বিগড়ে থাকে, কেনাকাটাও হয় না ঠিকঠাক।
ধৈর্যশীল হোন। উদার হোন। আপনার এবং অচেনা ক্রেতার যদি একই পণ্য পছন্দ হয় এবং সেটি যদি বিক্রেতার কাছে একটিই থাকে, তাহলে দিন না ছেড়ে অপরজনকে; বিশেষ করে যিনি পরে এসেছেন।
বিক্রেতার কেতা
ক্রেতার চাহিদাকে সম্মান করুন। নিজ পেশায় অবশ্যই ধৈর্যশীলতা ও সততার পরিচয় দিন।
দামাদামির সুযোগ থাকলে ক্রেতা দামাদামি করতেই পারেন। কম মূল্য বললে ক্রেতাকে অপমান করবেন না। ক্রেতার বলা দামে বিক্রি করতে না পারলে ভদ্রভাবে দুঃখ প্রকাশ করুন।
ওজনে কম দেওয়া, ভালো পণ্যের মধ্যে একটা পচা পণ্য লুকিয়ে রাখা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করা থেকে বিরত থাকুন।
সূত্র: ট্রেডমিল রিভিউস ডটনেট ও লিংকডইন