বাবা যেন ইচ্ছেপূরণের দৈত্য

আজ ২০ জুন, বাবা দিবস। বাবাকে ভালোবাসার বিশেষ এই দিন উপলক্ষে পাঠকের কাছে লেখা আহ্বান করেছিল গোদরেজ প্রটেক্ট ও প্রথম আলো অনলাইন। ‘বাবা, তোমাকে বলা হয়নি’ শিরোনামে বিপুলসংখ্যক পাঠক তাঁদের বাবাকে নিয়ে অনুভূতিমালা লিখেছেন। এখানে নির্বাচিত লেখাগুলোর একটি প্রকাশিত হলো।

ছোটবেলায় ভাবতাম, রাতের আকাশের চাঁদটিও আমাদের সঙ্গেই চলছে। আমরা যেদিকে যাই, চাঁদও সঙ্গী হয়ে আমাদের সঙ্গে ঠিক সেদিকেই যায়। অথচ একদিন জানলাম, চাঁদ তার অবস্থানেই থাকে। কিন্তু বাবার অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। ছোটবেলায় যেভাবে দেখেছি, এখনো সঙ্গে আছেন তিনি।

বিপদ, সমস্যা কখনো জানিয়ে আসে না। যদি কখনো হুটহাট কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হই, তখন অন্তরটা জানান দেয় বাবা তো সঙ্গেই আছেন ছায়ার মতো। বাবার দেখানো পথে চলার সময় আমি তো একা নই।

ছোটবেলায় কৌতূহলী মস্তিষ্কে আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ গল্পটি যখন থেকে জায়গা পেল, তখন থেকে ভাবতাম আমিও যদি আশ্চর্য প্রদীপটি পেতাম, তাহলে কতই না ভালো হতো! কিন্তু আস্তে আস্তে উপলব্ধি করি, রূপকথার সে গল্পে তো মাত্র তিনটি ইচ্ছা পূরণ করা সম্ভব। অথচ বাস্তব জীবনে না চাইতেও তিনটি নয়, যত ইচ্ছা স্বপ্ন-আবদার আছে, নিজে কষ্ট করে হলেও সন্তানের হাতের কাছে এনে দিচ্ছে যে মানুষ, তিনি তো বাবা। বাবা যেন আমাদের ইচ্ছেপূরণের দৈত্যটা।

বাবাকে নিয়ে লিখতে গিয়ে বুঝতে পারলাম সন্তানদের জীবনে বাবার অবদানের কথা নিয়ে, পৃথিবীর প্রতিটি সন্তান যদি একটি করে বাক্য বলে, তাহলে তা–ও কম হবে। কারণ, বাবার জীবনের একমাত্র লক্ষ্যই যেন সন্তানের মুখে হাসি ফোটানো। বাবার জন্য ভালোবাসা।