ভালোবাসার মানুষের জন্য উপহার–ভাবনা

ভালোবাসা দিবসের উপহার কী হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনায় কবি–সাহিত্যিক আনিসুল হক

সবাই চায় তার প্রিয়জনকে ভালোবাসার অনুভূতি জানাতে। বিশেষ দিনগুলোতে উপহারের মাধ্যমে আলাদাভাবে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে। ভালোবাসা দিবসের জন্য উপহার নিয়ে ভাবনা নতুন কিছু নয়। এই বিষয়েই কথা হয়েছিল বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক আনিসুল হকের সঙ্গে। তিনি তো ভালোবাসারই মানুষ, প্রিয়জনকে ভালোবেসে উপহার দেওয়া তাঁর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আমাদের অনুষ্ঠানের সঞ্চালক মৌসুমী মৌয়ের সঙ্গে একটি একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানান তাঁর দেওয়া সব উপহার এবং সেগুলোর পেছনের ভাবনা সম্পর্কে।

অনুষ্ঠানের প্রথমেই মৌসুমী জানতে চান, ‘কেমন আছেন?’ আনিসুল হকের এককথায় উত্তর, ‘ভালো আছি।’ ‘তুই কি আমার দুঃখ হবি?’ এ কবিতা অবশ্যই কোনো নারীকে নিয়ে লেখা। এ লাইন নিয়ে মৌসুমী মৌ জানতে চান, ‘আপনাদের সময় ভালোবাসার অনুভূতিগুলো কেমন ছিল?’ আনিসুল হক দুষ্টুমির সুরে বলেন, ‘এখনই তো আমাদের ভালোবাসার সময়। তখনো আমাদের সময় ছিল, এখনো আমাদের সময়।’
আনিসুল হক আরও বলেন, দশকে দশকে ভালোবাসার অনুভূতিগুলো বদলে যায় না। শেক্‌সপিয়ারের সনেট পড়তে কিন্তু এখনো ভালো লাগে, এমনকি অনেক পুরোনো প্রেমের সাহিত্য পড়লেও ভালো লাগে। তবে সেই সময় ভালোবাসা হলেও নারী-পুরুষের মধ্যে দেখাসাক্ষাৎ কম হতো।

তখনকার আর এখনকার সময়ে ভালোবাসা প্রকাশের ধরন সম্পর্কে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, ‘তখন প্রেম প্রকাশের সবচেয়ে বড় মাধ্যম ছিল চিঠি। হাতে লিখে চিঠিতে প্রেমের কথা বলা হতো। চিরকুট লিখে কারও মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। তখন ভালোবাসার অনুভূতি কম ছিল না, তবে প্রকাশের ধরনটা ছিল ভিন্ন। হয়তো দূরে ঘরের জানালায় একটা মেয়েকে দেখলাম এবং ফিরে এসে একটা কবিতা লিখলাম, এমনটাই ছিল তখন।’

কবি রফিক আজাদের কথার সঙ্গে মিলিয়ে সঞ্চালক বলেন, ‘“যদি ভালোবাসা পাই আবার শুধরে নেব জীবনের ভুলগুলি।” এ জীবনের ভুলগুলো কি আসলেই শোধরানো সম্ভব ভালোবাসা পেলে?’ আনিসুল হকের মতে, ‘ভালোবাসা পেলে সবই সম্ভব। কবিতায় আছে, “ভালোবাসায় ভুবন করে জয় সখ্যে তাহার অশ্রুজলে শত্রু মিত্র হয়, সে যে সৃজন পরিচয়।”’

আনিসুল হককে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘প্রথম ভালোবাসার মানুষকে কী উপহার দিয়েছিলেন?’ তিনি বললেন, ‘মেরিনাকে আমি দিয়েছিলাম শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের লেখা কবিতার বই। ২০ টাকা দাম ছিল।’ ১৯৯২–৯৩ সালে বইটি কিনেছিলেন তিনি। বিষয় হলো, আনিসুল হক উপহার দেওয়ার চেয়ে উপহার পেতে বেশি পছন্দ করেন।
কেনাকাটায় এখন বেশ প্রযুক্তিগত পরিবর্তন এসেছে। চাইলে এখন ঘরে বসেই অনলাইনে কেনাকাটা করা যায়। তবে আমাদের অতিথি অনলাইন কেনাকাটা খুব একটা রপ্ত করতে না পারলেও করোনার মধ্যে বেশ কিছু কেনাকাটা অনলাইনে করেছেন। দারাজ থেকে কিনেছেন টি-শার্ট, উপহার দেওয়ার জন্য।

ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে দারাজে চলছে বিশেষ অফার। এ অফার চলবে ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখ পর্যন্ত। আর সেখানে থাকছে অনেক অনেক অফার। একই সঙ্গে প্রি-পেমেন্ট করলে পাওয়া যাচ্ছে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। তাহলে আর দেরি না করে আপনার ভালোবাসার প্রিয় মানুষের জন্য পছন্দের উপহারটি এখনই ঘরে বসে অর্ডার করে ফেলুন দেশের বৃহত্তম অনলাইন শপ দারাজ ডটকমে (www.daraz.com.bd)।