ভ্রুম...ভ্রুম...

মডেল: সান, কৃতজ্ঞতা: টিভিএস, ছবি: কবির হোসেন
মডেল: সান, কৃতজ্ঞতা: টিভিএস, ছবি: কবির হোসেন

রাজধানীর বাংলামোটরের নাহার এন্টারপ্রাইজ মোটরসাইকেল বিক্রয়কেন্দ্রে ২৩ নভেম্বর বিকেলে দেখা হলো একদল তরুণের সঙ্গে। কজন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সেমিস্টার পার করেছেন, কেউ আরেকটু বড়। মোটরবাইক কিনবেন একজন। দেখতে এসেছেন সাতজন। একেকটি মোটরবাইক নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। তবে সবার আগে বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে দেখতে কেমন, রং কী, স্টাইলিশ কি না! ‘বাইক কিনেই লম্বা ট্যুর’ এমন বাক্যও উড়ে আসছে তরুণদের মধ্যে থেকে।
সেই তরুণদের একজন সিহাব বললেন, ‘সবাই সিম্পলের মধ্যে গর্জিয়াসটাই খোঁজে। বাজেট বেশি হলে সবার প্রথম টার্গেট থাকে আর ওয়ান ফাইভ বা সিবিআর।’ শহরের যানজটের খাঁচায় থেকে তরুণদের যে ডানা ঝাপটানি তা আঁচ করা যায় সহজেই। মোটরসাইকেল মানেই যেন তারুণ্য, স্বাধীনতার স্বাদ।
মোটরসাইকেলের এ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিলেন তারুণ্যের আইকন হয়ে ওঠা বিপ্লবী চে গুয়েভারাও। প্রায় ৮০ বছর আগে মোটরসাইকেল নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকায় যেভাবে বেরিয়ে পড়েছিলেন, তা এখনো এ দেশের তরুণদের কাছে স্বপ্নই। ১৯৩৯ মডেলের নর্টন ৫০০ সিসির মোটরসাইকেলে চেপে দক্ষিণ আমেরিকা চষে বেড়িয়েছিলেন ২৩ বছর বয়সী চিকিৎসাবিজ্ঞানের ছাত্র বিপ্লবী চে। মোটরসাইকেলটির নাম দিয়েছিলেন লা পোদেরোসা (শক্তিশালী একজন)। বন্ধু আলবার্টোর সঙ্গে দুই দফায় পাড়ি দিয়েছিলেন সাড়ে ১২ হাজার কিলোমিটার পথ।
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ মোটরসাইকেল চালান, বিজ্ঞাপন করেছেন। তরুণ দন্ত চকিৎিসক শামীম আজিজ গত বছর কিনেছেন সুজুকির জিক্সার। সপ্তাহে একবার এই বাইক চালিয়ে নরসিংদী যান তিনি। বললেন, ‘ওটা হলো আমার উড়ে বেড়ানোর মেশিন। ফ্যাশন আর প্যাশন দুই কারণে ওটাই কিনলাম।’
সদ্য বুয়েট থেকে বেরোনো আলিউল ইসলাম চালান হিরো হাঙ্ক। বললেন, ‘দুটো টিউশনিতে যাতায়াতে প্রতিদিন রিকশা ভাড়াই লাগত ১৫০ টাকা, সময়ও লাগত অনেক। বাইকে সে খরচ নেমে এল ৩০ টাকায়। এখন টিউশনি, বন্ধুদের সময় দেওয়া, ঘোরাঘুরি, লং ট্যুর সবই চলছে দেদার।’

ছেলেেময়ে সবারই আগ্রহ ট্রেন্ডি বাইকে। কৃতজ্ঞতা: সুজুকি
ছেলেেময়ে সবারই আগ্রহ ট্রেন্ডি বাইকে। কৃতজ্ঞতা: সুজুকি

রাজধানীর বাংলামোটর ও তেজগাঁও এলাকার মোটরসাইকেল ব্যবসাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নগরের যানজট আর বিনোদনের অভাব তরুণদের মোটরসাইকেলপ্রীতি দিন দিন বাড়াচ্ছে। তাঁরা বলছেন, তরুণদের কাছে ১৫০ এবং সম্প্রতি বাজারে আসা ১৬০ সিসির মোটরসাইকেলগুলোর চাহিদাই বেশি। ভারত ও চীনের বেশ কয়েকটি কোম্পানি তরুণদের কথা মাথায় রেখে বাজারে এনেছে এক–দুই ডজনেরও বেশি স্পোর্টস ও ক্রুজ বাইক।
তাই বাজার ঘুরে বেছে নেওয়াও চাট্টিখানি কথা নয়। বেশির ভাগ তরুণের ‘কোনটা ছেড়ে কোনটা নেব’ অবস্থা। টিভিএসের আরটিআর, বাজাজের পালসার, হিরোর হাঙ্ক, এখনো তরুণদের কাছে জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। দুই যুগ আগেও যখন ভারত বা চীনের কোম্পানিগুলো দেশের বাজারে আসেনি, তখন সবার আগেই ভাবা হতো, ‘হোন্ডা এইচ ১০০ এস’–এর কথা। টু স্ট্রোক ইঞ্জিনের এই মোটরসাইকেলকে এখনো বহুমূল্য সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করেন অনেক বাইকার। ইয়ামাহার আরএক্স ‘অক্ষয়’ মর্যাদা পাওয়া আরেকটি বাইক। তখন মানুষ ‘এক জীবন, এক বাইক’ নীতিতে টেকসই আর কম খরচের বাইক খুঁজত। এরপর ঘটে বাজারের পটবদল। এখন বাইক আগে হতে হবে ‘দর্শনধারী’, পরে ‘গুণবিচারি’।
বাজারে এখন এত ধরনের স্টাইলিশ বাইক যে, রীতিমতো ধন্দে পড়তে হয় তরুণদের। তাই বাইক কেনার আগে ফেসবুকের বাইকসংশ্লিষ্ট গ্রুপগুলোতে পোস্ট করাও এখন রেওয়াজের পর্যায়ে চলে গেছে। ‘জিক্সার না এফজেড’, ‘আর ওয়ানফাইভ না সিবিআর’, ‘পালসার না আরটিআর’, ‘পালসার এনএস না হর্নেট’—এসব শিরোনামের পোস্টে গ্রুপগুলোর পাতা ভরা। যাঁরা মোটরসাইকেল নিয়ে অতশত ভাবেন না, তাঁদের অনেকে ওপরের শব্দগুলোর মানে না–ও বুঝতে পারেন। এগুলো সব বাজারে থাকা ১৬০ ও ১৫০ সিসির মোটরসাইকেলের মডেলের নাম।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, তরুণদের কাছে ‘লিকুইড কুলড’ ইঞ্জিনের ১৬০ সিসি বাইকগুলোর সমাদর সবচেয়ে বেশি। লিকুইড কুলড বাইকের মধ্যে রয়েছে ইয়ামাহার আর ওয়ান ফাইভ, হোন্ডার সিবিআর, বাজাজের পালসার এনএস। এই বাইকগুলোতে ইঞ্জিন ঠান্ডা করার জন্য গাড়ির মতো রেডিয়েটর রয়েছে। উচ্চ গতিতে (হাই আরপিএম) লম্বা সময় ধরে চালালেও এগুলোর ইঞ্জিন বেশি গরম (ওভারহিট) হওয়ার আশঙ্কা নেই।
এরপরেই রয়েছে ‘মনোশক’ অর্থাৎ পেছনে একটি ‘শক অ্যাবজরবার’ বিশিষ্ট এয়ার কুলড ইঞ্জিনের বাইকগুলো। এর মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ইয়ামাহা এফজেড ও সুজুকির জিক্সার সিরিজের বাইকগুলো।
চীনা ব্র্যান্ডের মধ্যে লিফানের কেপিআর, কিওয়ে সুনাম কুড়িয়েছে। রানারের নাইট রাইডার মডেলটিও ‘কমের মধ্যে ভালো’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
মোটরবাইক নিয়ে তরুণদের মধ্যে বিতর্ক আর বিশ্লেষণেরও শেষ নেই। কোনটার কী ভালো, কী মন্দ—তা নিয়ে এখন বাইক গ্রুপগুলোতে চলে নিত্য বিতর্ক। এসব নিয়ে ‘মেকানিক মামাদেরও’ জ্বালাতনের শেষ নেই।
ব্যবসায়ীরা বলছেন বাইক কেনার ক্ষেত্রে তরুণেরা খুবই ‘চুজি’। বাংলামোটরের মোটরসাইকেল ওয়ার্ল্ড দোকানটির কর্মকর্তা খালেদ মাহমুদ বলেন, তাঁরা ইতালির তৈরি এপ্রিলা ব্র্যান্ডের বাইক আমদানি ও বিক্রি করেন। এর একটি বাইক কিনতে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকা পড়ে যায়। কিন্তু বিক্রিও তো কম হচ্ছে না।
নতুন বাইকের দাম হাতের নাগালে না হওয়ায় অনেক তরুণ সস্তায় পুরোনো বাইক কিনে বানিয়ে নিচ্ছেন ‘ক্যাফে রেসার’। এখানে স্টাইলটাই মুখ্য, বাইকের গতি বা অন্য বিষয়গুলো সেভাবে ভাবছেন না তাঁরা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পুরোনো টু স্ট্রোক বা জাপানি মোটরসাইকেলগুলো কেটেছেঁটে হচ্ছে ক্যাফে রেসার। ইয়ামাহা ডিলাক্স, আরএক্স, হোন্ডা ৫০ বা ২০০ সিসির রোডমাস্টারও তরুণেরা ‘মডিফাই’ করছেন। নিজেরাই করছেন নিজের স্বপ্নের সারথির ডিজাইন। সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে কিম্ভূত হেডলাইট, মাডগার্ড আর অদ্ভুত রঙে রাঙানো হচ্ছে বাইক। কেউ কেউ চীনা বড় বড় বাইক কেটেছেঁটে বানিয়ে ফেলছেন হার্লি ডেভিডসনের কপি। বিখ্যাত মার্কিন মোটরসাইকেল কোম্পানি হার্লির ট্যাগলাইন ছিল ‘চেপে বসুন, উত্তেজনা উপভোগ করুন, অবাধ্য হোন, হার্লি চালান’। বাংলাদেশের তরুণেরা এখন সেই উত্তেজনায় ডানা ঝাপটাচ্ছে।
গণমাধ্যমকর্মী নুরুজ্জামান চার বছর ধরে চালাচ্ছেন টিভিএসের অ্যাপাচি আরটিআর। বললেন, ‘এটা বেশ জ্বালানি সাশ্রয়ী। যন্ত্রাংশগুলো দীর্ঘদিন টেকে। দূর যাত্রায় এই বাইকটি বেশ ভালো চলে। তবে বৃষ্টি ভেজা পিছলা রাস্তায় বেশ সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়।’
ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও বাইকের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। বেশির ভাগেরই পছন্দ গিয়ার ছাড়া স্কুটিগুলো। টিভিএস, হিরো, হোন্ডা, ইয়ামাহা, মাহিন্দ্রা, ভেসপা, ইটালজেট, জিনানের বিভিন্ন মডেল রয়েছে পছন্দের শীর্ষে। রানারের গিয়ারসহ স্কুটিও চালাচ্ছেন অনেকে।
সংবাদকর্মী নাহিদ আড়াই বছর ধরে মাহিন্দ্রার স্কুটি চালান। তিনি বলেন, স্কুটি কেনার পর থেকে সবকিছু অনেক মসৃণ হয়েছে। টাকা বাঁচে, সময় বাঁচে।

বাইক চালানোয় চাই সতর্কতা। মডেল: রাতুল,মডেল: তানহা, কৃতজ্ঞতা: টিভিএস
বাইক চালানোয় চাই সতর্কতা। মডেল: রাতুল,মডেল: তানহা, কৃতজ্ঞতা: টিভিএস

চাহিদা ফ্যাশনেবল বাইকের
বাজারে বেশ কয়েক ধরনের মোটরবাইক পাওয়া যায়। তরুণদের কাছে ফ্যাশনেবল বাইকের চাহিদা বেশি। চলতি বছরের শুরু থেকে বাংলাদেশের বাজারে আমদানি হতে থাকে ১৬০ সিসির বাইক। এটি আসার পরপরই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বিশেষ করে তরুণ ক্রেতাদের কাছে। রাজধানীর ইস্কাটন রোডের টিভিএস অটো বাংলাদেশের শাখা ব্যবস্থাপক মো. জাকারিয়া খান জানালেন, ১৬০ সিসির বাইকে তরুণ ক্রেতাদের কাছে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সাড়া পাচ্ছি। ফ্যাশন সচেতন তরুণরা এই বাইক বেশি কিনছেন। বেশি স্বাচ্ছন্দ্য আনতে এ বাইকগুলোতে শক্তিশালী ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। মাসকুলার ডিজাইন, স্পোর্টি লুক এবং টিউবলেস টায়ারের প্রশস্ত চাকার কারণে বেশি সিসির বাইকটি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
ক্রুজ বাইকের প্রতিও আছে তরুণদের আগ্রহ। ক্রুজ বাইকের মধ্যে বাজাজের অ্যাভেঞ্জার, রানারের ইউএম কমান্ডোর চাহিদা বেশি। সুজুকির ইন্ট্রিউডরও আছে পছন্দের তালিকায়।
নিকেতনের থ্রিএস সার্ভিস সেন্টারে কথা হয় ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আদনান হাসানের সঙ্গে। তিনি জানান, গতি ও আকর্ষণীয় ডিজাইন যাঁদের পছন্দ, তাঁদের জন্য ১৫০ থেকে ১৬০ সিসির বাইক আদর্শ। এগুলোতে পাওয়া যায় দুর্দান্ত গতি। রয়েছে শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং নান্দনিক ডিজাইন।
বেসরকারি একটি িবশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কাজী এম আনিসুল ইসলাম চালান বাজাজের পালসার। তিনি বললেন, ‘পালসারের বড় বৈশিষ্ট্য হলো—যত্ন নিলে এটি কখনোই বেঁকে বসে না। চালিয়ে আরাম, সাশ্রয়ী এবং ফ্যাশনেবলও।
তেজগাঁও লিংক রোডে সুজুকির শোরুমে র‌্যানকন মোটরবাইক লিমিটেডের বিক্রয় ব্যবস্থাপক মো. ফাহিম বললেন, প্রয়োজনের ধরন অনুযায়ী ক্রেতারা বাইক পছন্দ করেন। তরুণ ক্রেতাদের কাছে প্রথম পছন্দ ১৫০ থেকে ১৬০ সিসির ফ্যাশনেবল বাইক। এই শ্রেণির বেশির ভাগ ক্রেতা মাইলেজের চেয়ে ফ্যাশনের কথা বিবেচনা করেন। আর ১২৫ বা তার বেশি সিসির মোটরবাইক ক্রেতারা মূলত মাইলেজ ও ফ্যাশন দুই দিকেই নজর দেন। যাঁরা মূলত একই সঙ্গে মাইলেজও বেশি চান এবং ফ্যাশনটাও গুরুত্ব দেন তাই ১২৫ সিসির বাইক কেনেন। তুলনামূলক কম দামে বাইক কিনতে চান যাঁরা, তাঁদের পছন্দ ১০০ থেকে ১২৫ সিসির বাইক। এই ক্রেতারা অল্প জ্বালানিতে বেশি মাইলেজ পেতে চান।
বাজেট যাই হোক, সুন্দর আর গতিশীল বাইক কিনতে চান তরুণেরা। ভ্রুম...ভ্রুম...শব্দে যেন শুরু হয় তারুণের গতিশীল যাত্রা।

বাইকের বাজার
দেশের বাজারে অনেক ব্র্যান্ডের মোটরবাইক পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে কিছু বাইকের দাম নিচে দেওয়া হলো।
বাজাজ
 বাজাজ পালসার এনএস। ১৬০ সিসি। দাম: ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০।
 বাজাজ অ্যাভেঞ্জার স্ট্রিট । ১৫০ সিসি। ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা।
 বাজাজ ভি১৫। ১৫০ সিসি। দাম: ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।
 বাজাজ পালসার। ১৫০ সিসি। ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯০০ টাকা।
 বাজাজ ডিসকভার। ১১০ সিসি। দাম: ১ লাখ ১৯ হাজার ৫০০ টাকা।

টিভিএস
 টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর। ১৬০ সিসি। দাম: ২ লাখ ৪ হাজার ৯০০ টাকা।
 টিভিএস জুপিটার। ১১০ সিসি। দাম: ১ লাখ ৬৪ হাজার ৯০০ টাকা।
 টিভিএস মেট্রো প্লাস। ১০০ সিসি। ১ লাখ ১৬ হাজার ৯০০ টাকা
 টিভিএস স্ট্রাইকার। ১২৫ সিসি। ১ লাখ ২২ হাজার ৯০০ টাকা।

সুজুকি
 সুজুকি জিক্সার। ১৫৪ সিসি। দাম: ২ লাখ ৯ হাজার ৯৫০ টাকা।
 সুজুকি লেটস। ১১০ সিসি। দাম: ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
 সুজুকি হায়াতে। ১১০ সিসি। ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৫০ টাকা।

হোন্ডা
 হোন্ডা সিবি হর্নেট। ১৬০ সিসি। দাম: ১ লাখ ৯৯ হাজার ৮০০ টাকা।
 হোন্ডা সিবি টাইগার। ১৫০ সিসি। দাম: ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
 হোন্ডা শাইন। ১২৫ সিসি। দাম: ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
 হোন্ডা লিভো। ১১০ সিসি। দাম: ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
 হোন্ডা নিও। ১১০ সিসি। দাম: ১ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টাকা।

ইয়ামাহা
 ইয়ামাহা ফ্রেজার এফআই ভি২। ১৪৯ সিসি। দাম: ২ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
 ইয়ামাহা স্যালুটো। ১২৫ সিসি। দাম: ১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা।

হিরো
 হিরো হাঙ্ক। ১৫০ সিসি। দাম: ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৯০ টাকা।
 হিরো অ্যাচিভার। ১৫০ সিসি। দাম: ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৯০ টাকা।
 হিরো গ্রামার। ১২৫ সিসি। দাম: ১ লাখ ১১ হাজার ৯৯০ টাকা
 হিরো আই স্মার্ট। ১০০ সিসি। দাম: ৯৯ হাজার ৯৯০ টাকা।
 হিরো স্প্লেন্ডার প্লাস। ১০০ সিসি। দাম: ৯৩ হাজার ৯৯০ টাকা।

রানার
 রানার বুলেট। ১৩৫ সিসি। দাম: ১ লাখ ২২ হাজার টাকা।
 রানার কাইট। ১০০ সিসি। দাম: ৮০ হাজার টাকা।
মাঝেমধ্যেই ক্রেতাদের জন্য বিশেষ সুবিধা, ছাড় দিয়ে থাকেন বিক্রেতারা। ঢাকার বিভিন্ন বাজার থেকে সংগৃহীত এই দামে তারতম্য হতে পারে।