মনের বাক্স
যদি একবার খুঁজে পাই
আপনার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল এই বছরের মার্চের ১ তারিখ, রোববার। কীভাবে, কোথায়, তা অবশ্যই আপনি জানেন। আপনাকে শুধু একটা কথাই বলতে চাই, সেই মার্চের ১ তারিখ থেকে আজ পর্যন্ত আমার মনের জানালায় আপনি ছাড়া আর কাউকে দেখতে পাইনি, দেখতে চাইও না। যা-ই ভাবি, আপনাকে নিয়ে ভাবি।
কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমি আপনার নামটাও জানি না। আপনাকে যখন নাম জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আপনি একটা হাসি দিয়ে বলেছিলেন, ‘ওটা জানার দরকার নেই, ওটা তোমাদের পরীক্ষায় আসবে না।...’ সাবধানে থাকেন। কারণ, আমি যদি আপনাকে একবার খুঁজে পাই আর কোনো দিন হারিয়ে যেতে দেব না।
আপনার পাগলি
আমার কাছ থেকে অনেক দূরে
তুমি যখন হাসতে আমার বুকের ভেতর ভালোবাসার রঙিন প্রজাপতিগুলো ওড়াউড়ি করত। আমার ঊষর মরুভূমিতে রিমঝিম বৃষ্টির ধারা বয়ে যেত। আজ তুমি আমার কাছ থেকে অনেক দূরে। তাই আজ আর রঙিন প্রজাপতিরা আসে না। ঊষর দেহে বৃষ্টি হয় না। কী করে হবে বলো? এখানে আজ আলো-আঁধার প্রায় সমান।
মোয়াজ্জেম আনাম
তাহিরপুর।
তোর ডাইনি বুড়ির কাছে
বুড়ো তোকে খুব মিস করছি রে। হয়তো মন খারাপগুলোই তোকে ফেরাতে পারে আমার কাছে। এতগুলো দিন পেরিয়ে গেল কিন্তু তুই আমার একটা খোঁজও নিসনি। বেঁচে আছি নাকি মরে গেছি। এত দিনে কি তোর একটুও সময় হয়নি আমার জন্য? আমি ভালো নেই বুড়ো। ফিরে আয় না তোর ডাইনি বুড়ির কাছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
‘কোথায় হারিয়ে গেলি তুই’
আপু রে, এই আপু, কোথায় তুই? আজ খুব বেশিই মনে পড়ছে তোকে। তিনটি বছর কেটে গেল, তুই আমার সঙ্গে কথা বলিস না। ভালোই তো ছিল আমাদের সেই দিনগুলো। একটু ঝগড়া, একটু মারামারি আর অনেকটা আদর আর ভালোবাসা। ইচ্ছা ছিল অনেক মজা করব তোর বিয়েতে। তুই না বলতি কখনো ছেড়ে যাবি না আমাকে। কোথায় হারিয়ে গেলি তুই। কোথায় আছিস, কেমন আছিস কিছুই জানি না। আর কি কখনো কথা বলবি না তুই, তোর এই দুষ্টু ভাইটির সঙ্গে?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
প্রিয় পাঠক
আপনার মনের না-বলা যেকোনো কথা বা স্বীকারোক্তি বলে ফেলুন অধুনার ‘মনের বাক্স’ বিভাগে। ফেসবুক, ই-মেইল বা চিঠি লিখে জানাতে পারেন মনের কথা।
লেখা পাঠানোর ঠিকানা: অধুনা, প্রথম আলো, সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। ই-মেইল: [email protected] ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject-এ লিখুন ‘মনের বাক্স’