মনেরবাক্স

অলংকরণ: তুলি
অলংকরণ: তুলি

তুমি আমার ভালোবাসা বুঝলে না
কেমন আছ তুমি? আশা করি ভালো আছ। আমি তোমাকে পাঁচ বছর ধরে পছন্দ করি। কিন্তু কখনো বলতে পারিনি। প্রথম যখন দেখি তখনই আমার খুব ভালো লাগে। আর প্রতিদিনের ভালো লাগা একটু একটু জমা রাখতে রাখতে এখন সেটা ভালোবাসায় পরিণত হয়েছে। যেদিন তোমায় প্রথম দেখি সেদিন তুমি বৃষ্টিতে ভিজে বাসায় ফিরছিলে। তুমি একটা অটোরিকশা খুঁজতে বের হয়েছিলে কারণ তোমার বাবা খুব অসুস্থ ছিলেন। রাস্তায় যখন আমার সঙ্গে দেখা হলো তুমি একটা অটোরিকশা আনতে বলেছিলে। আমি এনেছিলামও কিন্তু পেছনে ফিরে দেখি রিকশাওয়ালা চলে গেছে। সেই কথা হয়তো তোমার মনে নেই।
তোমাকে পাঁচ বছর পর যখন আমার ভালোবাসার কথা জানালাম, জানি না তুমি কীভাবে বিষয়টা দেখলে। তবে আমি সেটার উত্তর এখনো পাইনি। সেই প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় আছি।
শামীম রেজা

পাবনা।

কীভাবে বলব জানি না...

প্রথমে আপনি যখন আমাদের বাসায় বড় আপুকে পড়াতে এসেছিলেন। তখন আমি আপনাকে বিড়াল ডাকতাম। তিন বছর আপনি আপুকে পড়ালেন। আমাকে আপনার ছোট বোনের মতো আদর করলেন। আপনার স্নেহের ছায়াতলে আমি বেড়ে উঠলাম। আপু নবম শ্রেণিতে ওঠার পর আপনি তাকে তখন আর পড়াতে পারলেন না। হঠাৎ আপনি চলে গেলেন। তখন বুঝতে পারলাম আমি এই কয়েক বছরে আপনার এত কাছে চলে গেছি এবং আপনাকে বড় ভাই মেনে নিয়েছি। আপনার আর আমার সম্পর্কটা ভাইবোনের মতো গভীর হয়ে গেছে। কিন্তু আমার আপনার রক্তের সম্পর্ক নেই। ভাইয়া আপনাকে অনেক ভালোবাসি।

গুল্লুবাবু ফারি

কথা দাও আমার হবে

ছোটবেলা থেকেই আমি ঘুমের মাঝে যে স্বপ্নগুলো দেখতাম, তার অনেকগুলোই সত্যি হয়েছে। যখন ক্লাস সিক্সে পড়তাম। একদিন স্বপ্ন দেখলাম, মেঘ নামে কাউকে আমি খুব ভালোবাসি, সেও আমাকে অনেক ভালোবাসে। তখন এসব এত বেশি বুঝতাম না। তাই এই আজব স্বপ্ন দেখে আমার ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। কোনো দিন কল্পনাও করিনি আমার এই স্বপ্ন সত্যি হবে। ফেসবুক আমার স্বপ্ন সত্যি করে দিল। তোমার সঙ্গে আমার ফেসবুকেই পরিচয়, ফেসবুকেই আলাপ, ফেসবুকেই আমার তোমাকে ভালোবেসে ফেলা, জানি আজ তুমিও আমার বড় ভালোবাসো। জানো তো মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করে তোমার হাত ধরে বৃষ্টিতে ভিজতে, খুব ইচ্ছে করে তোমার সঙ্গে ঘুরতে। কিন্তু ভাগ্য আমাদের সহায় হয় না বলেই তুমি ঢাকায় আর আমি চট্টগ্রামে। তাতে কী বলো? দূরত্বের জন্য তো আর আমাদের ভালোবাসার কমতি নেই। বাবু, তুমি তো আমাদের এই ১১ মাসের সম্পর্কে আমার কোনো কথা ফেলোনি। আজ তোমায় একটা কথা বলব, রাখবে?

কথা দাও আমার থাকবে সারা জীবন।

দিশা

চট্টগ্রাম।

ভালোবাসি তোকে

সেদিন ছিল রোদেলা দুপুর। তোকে খুব অস্থির লাগছিল। তুই আমাকে নিয়ে গেলি ক্যাম্পাসে একটি বকুলগাছের নিচে। গাছটার নিচে ছিল এক টুকরো ছায়া। সেই ছায়ায় দাঁড়িয়ে সেদিন তুই বলেছিলি, আমাকে ভালোবাসিস। এত বছর বন্ধুরা মিলে একসঙ্গে চলেছি কিন্তু কখনোই বুঝতে পারিনি তুই আমাকে কখনো প্রপোজ করবি। তোকে ভালোবাসব সে রকম ভাবনাও কখনো মাথায় আসেনি। প্রস্তুত ছিলাম না আমি বলব। আমি চুপ করে আছি দেখে তুই জানতে চাইলি, আমি তোকে ভালোবাসি কিনা। আমি বলেছিলাম, তোকে ভালো লাগে, পছন্দও করি। কিন্তু সামনে অনার্স ফাইল পরীক্ষা। এখন যদি আমরা ভালোবাসার সম্পর্কে জড়াই তাহলে আমাদের দুজনেরই পড়াশোনার ক্ষতি হবে। পরীক্ষা ছাড়া এখন আমি আর কিছুই ভাবতে পারছি না। কয়েকটা মাস অপেক্ষা কর। পরীক্ষা শেষে আমি তোকে অবশ্যই জানাব।

তুই অপেক্ষা করিসনি। অন্যের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লি। আমার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করলি। কেন এমন করলি রিমঝিম? আমার জন্য কয়েকটা মাস অপেক্ষা করতে পারলি না?

স্বপন কুমার রায়

টঙ্গী, গাজীপুর।

মোল্লাবাড়ির প্রিন্সেস

কলেজের সবাই তোমাকে বলত ‘সুচিত্রা সেন’। আর আমার কাছে তুমি মোল্লাবাড়ির প্রিন্সেস। সত্যিই, প্রিন্সেসের মতোই তোমার জীবন। হাঁটতে হাঁটতে এক হাত দূরে কোনো ময়লা দেখলেই চেঁচিয়ে উঠতে, এ কেমন শুচিবাই তোমার? একটুখানি হাঁচি দিলেই সঙ্গে সঙ্গে তোমার বাবা তোমাকে নিয়ে ডাক্তারের দুয়ারে হাজির। প্রিন্সেস ছাড়া কী বলব তোমায়? আর তোমার গুণ? যেমন তুখোড় পড়ালেখা, তেমনি হাতের কাজ আর রান্না। একটা সত্যি কথা বলি, তোমার এ গুণের সৌরভ চারদিকে ছড়ানোর জন্যই বোধ হয় আমরা দুই বোন সংসারে অপদার্থ। তোমার অবশ্য এ নিয়ে আফসোসের সীমা নেই! হে ঐশ্বর্যময়ী প্রিন্সেস, বিশ্বাস করো, আমি আর চারণ তোমার মতো হতে পারিনি তাতে কী হয়েছে? এই অপদার্থ দুটো তোমাকে খুবই ভালোবাসে।

মা, ‘বলে বোঝানো যাবে না’ এমন সংখ্যক ভালোবাসা তোমার জন্য।

তোমার বোকা মেয়ে

চর্যা

মুজগুন্নি আবাসিক ​এলাকা, খুলনা 

শেষ দিনটার অপেক্ষায়...

কিছুই আর ভালো লাগে না আমার। একা একা পথচলা তোমার জন্য মিছে মিছে রাতজাগা কিছুই আর ভালো লাগে না। এখন শুধু অপেক্ষা কখন যে জীবন নামের শেষ প্রদীপটা নিভে যাবে তাই প্রহর গুনছি। আমার শুধু দুঃখ একটাই জীবনে কখনো কারও আপন হতে পারিনি। তবে একটি কথা মনে রেখো প্রমি, কেউ তোমাকে ভালোবেসেছিল। জীবনের চেয়েও অনেক বেশি। আর বিনিময়ে পেয়েছিল শুধু দুঃখ, কষ্ট আর যন্ত্রণা। ক্ষমা করে দিয়ো আমায়।

আব্দুল আলীম সাগর

আদৌ কি ভালোবাসোনি আমায়?

প্রথম তুমিই আমাকে চিরকুট দিয়েছিলে। আর তাতে ছিল ভালোবাসার অপরিসীম মহিমা। তোমার প্রেমে পড়ে যাই আমি। সেই আমাদের ভালোবাসার শুরু। কিন্তু তোমার ছেলেমানুষির কারণে ধরা পড়ে যাই তোমার পরিবারের কাছে। তোমার বাবা আমাকে হুমকি দিয়েছিলেন। হয়তো সম্পর্কে চাচাতো বোন বলে। তবুও আমাদের ভালোবাসা আটকে ছিল না। কথাগুলো তোমার কাজিন রূপার কাছ থেকে শুনেছি আমি। তুমি এটাও বলেছিলে, নীরবকে আমার আশা বাদ দিতে বলেন আপু কিন্তু তোমাকে ভুলে যাব বলে তো ভালোবাসিনি ‘স্বর্ণা’। তারপর ধীরে ধীরে তুমি আমাকে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করছ কিন্তু তোমাকে একনজর দেখার জন্য মেস থেকে বাড়িতে যাই। লুকিয়ে লুকিয়ে দেখার চেষ্টা করি। তোমার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার সাহসটুকুও পাই না। তোমার জন্য একটা বিবিএ ছেলে তার বাবার হাতের মারও খেয়েছে। স্বর্ণা বিশ্বাস করো, আমি তোমাকে মন থেকেই ভালোবাসি। কিন্তু তুমি? উত্তর দাও।

মো. ইমাম হাসান

বগুড়া।

ভালোবাসি বন্ধু

ভুলে যাওয়ার ভান করতে পারি কিন্তু ভুলে যেতে পারি না। এ হৃদয়ে বসে আছিস মহারানি হয়ে। কী করব বল বন্ধুত্বে পাগল এ মন। মায়াপরি মনে আছে সেই দিনগুলো একসঙ্গে প্রাইভেট পড়া ও স্কাউটিং করার। কত যে আনন্দের ছিল দিনগুলো। হাসিতে ভরপুর ছিল। তোর সঙ্গে আমার এক দারুণ বন্ধুত্ব ছিল। আমি বন্ধু হওয়ার জন্য তোকে বলেছিলাম তুই আমার বন্ধু হবি। বন্ধু হওয়ার পর বলেছিলি এ বন্ধুত্ব যেন অটুট থাকে। আমি তোকে বন্ধু ভেবে অনেক ভালোবেসেছি। একটা কথা আমি তোকে বলি বন্ধুত্বের কোনো মানে হয় না। বন্ধুত্ব হলো পৃথিবীর সর্বোত্তম সম্পর্ক। আমি ভালোবাসায় বিশ্বাসী না, বন্ধুত্বে।

তোর কথা যখন আমার মনে পরে তখন আমি নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি। আমাদের বন্ধুত্ব রংধনুর মতো রঙিন। তোকে এখন অনেক মিস করি। রাতে যখন তোর কথা মনে পড়ে তখন দুই চোখ বেয়ে পানি ঝরে। আই লাভ ইউ মাই, ফ্রেন্ড।

আশ-শিফা

হাতীবান্ধা, লালমনিরহাট।

লেখা পাঠানোর ঠিকানা

অধুনা, প্রথম আলো, সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

ই-মেইল: [email protected] ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA. খামের ওপর ও ই-মেইলের subject-এ লিখুন ‘মনের বাক্স’