মিরান্ডার তারুণ্যের রহস্য পেঁপে আর পালং

মডেলিং জগতে অস্ট্রেলিয়ার সাড়াজাগানো সুপারস্টার মিরান্ডা কার। দুনিয়াজোড়া ভক্তের নজরে থাকেন সব সময়। তাই সৌন্দর্য ধরে রাখতে নিয়ম মেনে খাওয়া, ব্যায়াম আর ঘুমের সঙ্গে কখনোই আপস করেন না তিনি।

প্রচুর পানি পান করেন

মিরান্ডা মে কার। ভিক্টোরিয়াস সিক্রেটের ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণকারী প্রথম অস্ট্রেলীয় মডেল। পাশাপাশি অস্ট্রেলীয় ফ্যাশন চেইন পোর্টম্যান ও ডেভিড জোন্স লিমিটেডেরও প্রতিনিধিত্ব করেন। মাত্র ১৩ বছর বয়সেই তাঁর মডেলিং জগতে পা রাখা, আর জয় করে নেওয়া। ১৯৯৭ সালে ডলি ম্যাগাজিন ও ইম্পালস সুগন্ধির এক যৌথ মডেল অনুসন্ধানের মাধ্যমে সুযোগ পান। এরপর পুরোদমে মডেলিং জগতের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন।

কঠোর আর সুশৃঙ্খল রুটিন অনুসরণ করেন

খুব অল্প সময়ের ব্যবধানেই প্রতিভাবান এই শিল্পী সবার মন জয় করে নিয়েছেন।

অসাধারণ ব্যক্তিত্ব আর কাজের প্রতি অনুরাগ তাঁর সফলতার সঙ্গী। এ জন্য প্রচুর সময় ও শ্রম দিয়েছেন তিনি। তবে হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও নিজেকে ফিট রাখার ব্যাপারে বেশ সচেতন মিরান্ডা। কঠোর আর সুশৃঙ্খল রুটিন রয়েছে তাঁর।

মিরান্ডা মনে করেন, প্রত্যেকেরই উচিত জীবনকে উপভোগ করা। এ জন্য সুস্থ থাকা খুবই জরুরি। আর এর জন্য প্রয়োজন নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট মেনে নিজের শরীর ও মনকে সুস্থ ও সবল রাখা। ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় তিনি প্রচুর পানি পান করেন। নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠেন তিনি। ভোরে উঠেই লেবুর রস মিশ্রিত গরম পানি পান করে থাকেন। এটি তাঁকে সারা দিন কর্মক্ষম ও সুন্দর রাখে।

নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট মেনে চলেন

এরপর তিনি বিভিন্ন ধরনের ফল দিয়ে তৈরি স্মুদি পান করেন। এটি তাঁর শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিত করে। এর উপকরণগুলোর মধ্যে পেঁপে, পালংশাক, বেরি ও আমন্ড বাটার অন্যতম।
মিরান্ডার খাদ্যতালিকায় যথাসম্ভব স্বাস্থ্যকর খাবার থাকে। সাধারণত সকালের নাশতায় তিনি ডিম, ওটমিল ও কলা খান। সঙ্গে থাকে নারকেল তেল মিশ্রিত ঘরে তৈরি মিনি প্যানকেক। আর নাশতায় তিন থেকে চার রকমের ফল খেয়ে থাকেন। এ ছাড়া তিনি আমন্ড ও পিনাট বাটার খান।

দুপুরের খাবারে তিনি সাধারণত গ্রিল করা সামুদ্রিক মাছ আর মিক্সড সালাদ খান। তবে স্লো-রোস্ট চিকেন তাঁর খুব পছন্দের খাবার। সঙ্গে থাকে বিভিন্ন পদের সবজি। বিশেষ করে সবুজ শাকসবজি। খাওয়ার শেষভাগে তিনি বিভিন্ন রকম ডেজার্ট খেতে খুব ভালোবাসেন। বিকেলে হালকা স্ন্যাকস খান। এ সময় তিনি সাধারণত পিনাট বাটার, আপেল ও পনির খান।

রাতের খাবারে গ্রিলড চিকেন পছন্দ

তবে ভ্যানিলা কফি ফ্রেইপ, পুডিং ও পেস্ট্রি তাঁর খুবই পছন্দের খাবার। মাঝেমধ্যে মিরান্ডার বিকেলের নাশতার টেবিলে সেগুলোও দেখা যায়।

রাতের খাবারে তিনি গ্রিলড চিকেন খেতে পছন্দ করেন। এ ছাড়া অন্যান্য মিক্সড আইটেমও থাকে। বিশেষ করে মিক্সড ভেজিটেবল উইথ চিলি চিকেন তাঁর খুবই প্রিয়। কখনো কখনো তিনি রাতে এক বাটি স্যুপ খান। অল্প মসলাযুক্ত খাবার খেতে পছন্দ করেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে তিনি প্রচুর পরিমাণে গ্রিন জুস ও অ্যালকালাইন–জাতীয় খাবার খান।

৩৮ বসন্ত পেরোনো সতেজ মিরান্ডা সাধারণত রাত আটটার মধ্যে তাঁর রাতের খাবার সারেন। এরপর কিছুক্ষণ হালকা ব্যায়াম করেন। তারপর অল্প বিশ্রাম নিয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েন। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে বাদাম মেশানো উষ্ণ দুধ পান করে থাকেন। তবে প্রতিদিনের খাবারে পেঁপে, পালং আর বাদাম থাকেই।

রাতের খাবারপর কিছুক্ষণ হালকা ব্যায়াম করেন

মিরান্ডা নিয়মিত জিম ও অন্যান্য ব্যায়াম কিংবা সাঁতারের মাধ্যমে তিনি নিজেকে সতেজ ও প্রাণবন্ত রাখেন। তবে যোগব্যায়াম তাঁর খুবই পছন্দ। খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে যোগব্যায়াম না করলে তাঁর ঘুম ঘুম ভাব কাটে না। যোগব্যায়ামের পাশাপাশি নিয়মিত ওয়ার্কআউট করতেও ভোলেন না। এভাবে তিনি নিয়মমাফিক খাওয়া, ঘুম, ব্যায়াম ও পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে ফিট রাখেন।

ছবি: মিরান্ডা কারের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল